– কী ভাবছিস? ব্যাটম্যানের কথা?
– হুম?
– হাতে ব্লেড টা নিয়ে কী ব্যাটম্যানের কথা ভাবছিস?
– হাতে ব্লেড নিয়ে লোকে ব্যাটম্যানের কথা ভাবে তোর মনে হয়?
– না মানে খুব বড় ফ্যান তো তাই আর কি!
– ধুর বাল! বাজে বকিস না।
– সুইসাইড করবি?
– অপশন তা মন্দ না। এটাই ভাবছি।
– কিন্তু সুইসাইড তো –
– কাপুরুষ রা করে তো? জানি!
– নাহ আমি বলছিলাম সুইসাইড তো খুব সহজ করা। বেঁচে থাকাটাই কঠিন।
– যাক! আমি ভাবলাম আবার বাগড়া আসবে।
– একদম না। তবে নিজের মা-বাবার কথাটা একবার ভাববি না?
– ওরা ভাবে?
– কী করে জানলি ভাবে না?
– জানি না। মনে হয়। কেউই ভাবে না।
– ঠিক আছে। তাহলে এত ভাবছিস কেন? হাতে তো রয়েছে ব্লেড টা চালিয়ে দে!
– চুপ কর একটু। আমায় ভাবতে দে।
– ভাবার তো কিছু নেই। বাঁচার ইচ্ছে না থাকলে করে ফ্যাল। জাস্ট মেট্রোয় করিস না। নিজেও যাতায়াত করিস। কাজেই বুঝিস একজন সুইসাইড করলে অন্তত ৫-৬ ঘন্টার ধাক্কা। সুতরাং মরলে মর। কিন্তু মানুষকে জ্বালাস না।
– কিন্তু…
– কিন্তু কী?
– পুজোর যে এত জামাকাপড় কিনলাম সেগুলো কী হবে?
– শেষ মুহুর্তে কি পিজে ক্র্যাক করে নিজেকে বড় স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান ভাবছিস?
– সরি। আসলে… নার্ভাস আমি একটু।
– চাপ নিস না। তুই পারবি!
– কী করে জানলি?
– কারণ আমিই তো তুই। আমি জানি তুই পারবি!
– সে তো আমি নিজের সাথে কথা বলি আমি জানি। কিন্তু তাও তুই কিভাবে এতটা Sure যে আমি পারব?
– কারণ আমি তো পাঁচ মিনিট পরের তুই! তুই কান্ডটা ঘটিয়ে বসে রয়েছিস। ইউ আর ডেড অলরেডি। আর ঠিক পাঁচ মিনিট।
– হা হা! সো ফানি! এই দ্যাখ ব্লেড টা আমি ফেলে দিলাম! নে এবার তুই কীভাবে পাঁচ মিনিট পরের আমি হয়ে বসে থাকিস আমিও দেখি।
– শুরুতেই তো বললাম বাবু, তুই ব্যাটম্যানের ফ্যান! তোর ব্যাক আপ প্ল্যান থাকে তো সব সময়। ব্লেড টা তো ফেলে দিলি কিন্তু একটু আগে ১৮ টা স্লিপিং পিল যে একসাথে গিললি সেটা খেয়াল আছে?
কথাটা শোনার সাথে সাথেই খেয়াল হল দীপ্তর। একটু আগেই ব্লেড টা ঠিক ঠাক চালাতে পারবে কি না বুঝতে না পেরে ব্যাকআপ প্ল্যান হিসেবে স্লিপিং পিল খেয়েছে ১৮ টা। চোখের সামনে টা কেমন ভাবে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। নাটকের শেষে যবনিকা পতনের সময় যেভাবে পর্দাটা ঢেকে দেয় সব টা। ঠিক সেরকম।