– ব্যস্ত? (সুনেত্রর সাথে কথা বলছিস?)
– নারে ব্যস্ত না। বল।
– কী করছিস? (জানি সত্যি কথা বলবি না! তাও জিজ্ঞেস করলাম)
– আরে আর বলিস না। অফিসের Whatsapp গ্রুপ এ খুব ঝামেলা লেগেছে। মজা দেখছি!
– বুঝলাম। (জানতাম বলবি না… )
– তুই কি করছিস? খাওয়া হয়েছে তোর?
– হ্যাঁ। খেলাম একটু আগে! (কেন আর এই মিথ্যে কেয়ারগুলো করছিস)
– আচ্ছা। ঘুমোবি কখন?
– এই তো! এক্ষুনি! (নাহ! আর তোকে বিরক্ত করব না! কথা বল ওর সাথে।)
– ঠিক আছে। ঘুমিয়ে পড়। কাল তো অফিস আছে?
– হ্যাঁ আছে তো! (একবার ফোন করব? খুব গলা শুনতে ইচ্ছে করছে!)
– ঠিক আছে। যা তাহলে… ঘুমিয়ে পড়…
– আচ্ছা রে। (হ্যাঁ যাচ্ছি যাচ্ছি। কেন যে লজ্জার মাথা খেয়ে যেচে যেচে মেসেজ করি তোকে!)
– গুডনাইট!
– গুডনাইট রে! ( আর গুড! যা প্রেম কর। বাকি সব ভুলে যা তুই! যখন থাকবো না তখন বুঝবি!)


– ব্যস্ত?
– নারে ব্যস্ত না। বল। (এই রে! ও কি অনলাইন দেখল অনেকক্ষন ধরে!)
– কী করছিস?
– আরে আর বলিস না। অফিসের Whatsapp গ্রুপ এ খুব ঝামেলা লেগেছে। মজা দেখছি! (সরি মিথ্যে বলার জন্য! কিন্তু আমার কিছু করার নেই!)
– বুঝলাম।
– তুই কি করছিস? খাওয়া হয়েছে তোর? (মিস করছিস সেটা খুলে বলিস না কেন বাল!)
– হ্যাঁ। খেলাম একটু আগে!
– আচ্ছা। ঘুমোবি কখন? (ঘুমোনোর আগে একটা ফোন করতে পারিস তো!)
– এই তো! এক্ষুনি!
– ঠিক আছে। ঘুমিয়ে পড়। কাল তো অফিস আছে? (বাল একটা! কবে যে বুঝবে কে জানে!)
– হ্যাঁ আছে তো!
– ঠিক আছে। যা তাহলে… ঘুমিয়ে পড়… (ফোন তো আর করবি না! কাজেই আমি যেটা করছি করতে দে)
– আচ্ছা রে।
– গুডনাইট! (গুডনাইট ছাগল! কাল দেখা হচ্ছে!)
– গুডনাইট রে!


– সুনেত্র!
– বল!
– তুই রাজি তো?
– হ্যাঁ আমার চাপ নেই!
– ঠিক আছে। তাহলে কাল ভোর ৫ টায় আমার বাড়িতে আসবি।
– একদম। যাবো। বিরিয়ানি খাওয়াতে হবে কিন্তু।
– খাওয়াবো খাওয়াবো। তবে পরে। আজ রাতে অনেক কাজ। কেক বানাতে হবে।
– ও বুঝতে পারেনি না?
– নাহ! কিচ্ছু বোঝে না বালটা! প্রোপোজ টা মনে হচ্ছে আমাকেই করতে হবে!
– করে ফ্যাল! শুভ কাজে দেরী করতে নেই!
– হুম। ঠিক আছে। কাল ভোরে তাহলে আমরা ওকে সারপ্রাইজ দেবো! ঘুম থেকে উঠেই চমকে যাবে ব্যাটা। ভেবেছে আমি ভুলে গেছি!
– হা হা! মজা হবে!


ধরে নিন দুটো প্যারালাল ইউনিভার্স এর ঘটনা!

প্রথমটায়, গল্পের নায়িকা সকালে নায়কের বাড়িতে কেক বানিয়ে নিয়ে গিয়ে সারপ্রাইজ দিল! ওদের দু’জনের মধ্যে প্রেম হল। সবাই খুশি! হ্যাপি এন্ডিং যাকে বলে!

আবার দ্বিতীয়টায় গল্পের নায়ক রাগে, দুঃখে ২৭ টা ঘুমের বড়ি খেল! পরের দিন সকালে সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে… দিতে গিয়ে কী হল সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে!

নাহ! এত জটিল করে লাভ নেই। ঘটনাটা সহজভাবেই বলা যাক। প্রথমেরটা স্বপ্ন… এবং পরের টা বাস্তব!

এটাই ফুল অ্যান্ড ফাইনাল ক্লাইম্যাক্স!

হ্যাপি এন্ডিং

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি