– আপনি টেলিপ্যাথি তে বিশ্বাস করেন?
– হাই! উম… মানে?
– হ্যালো… হ্যাঁ মানে টেলিপ্যাথি! বিশ্বাস করেন?
– না মানে বিশ্বাস করার মত কোনো কারন ঘটে নি!
– কিছু মনে করবেন না ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট টা অ্যাকসেপ্ট করার পরেই মেসেজ করলাম বলে।
– নাহ করছি না। তবে হঠাৎ টেলিপ্যাথির কথা জিজ্ঞেস করলেন কেন?
– হুম? বলছি সে কথা। তার আগে বলুন আপনার ডাকনাম বা অন্য কোনো নাম কি ঋজু বা এরকম কিছু?
– নাহ তো! কেন?
– ওহ! না তাহলে আমার ভুল!
– আরে কী হয়েছে বলুন না।
– অচেনা মেয়ে মেসেজ করেছে বলে বেশী ঘ্যাম নেবেন না। দরকারে না পড়লে মেসেজ করতাম না।
– ঘ্যাম কোথায় নিলাম! এতো আচ্ছা জ্বালা!
– বিরক্ত হচ্ছেন কেন? আমি কি আপনাকে খুব বিরক্ত করছি?
– নাহ। কিন্তু টেলিপ্যাথি কেন বললেন বলুন না!
– কাল রাত্রে আমি একটা স্বপ্ন দেখছি।
– ওহ! আচ্ছা। তো?
– স্বপ্নে আপনাকে দেখেছি!
– আমাকে? মানে? ইয়ার্কি মারছেন কেন মশাই? আপনি আমাকে চেনেন?
– সেইটাই তো মজা! আমি তো আপনাকে চিনি না! কিন্তু স্বপ্নে দেখলাম আপনাকে। খুব স্পষ্ট দেখলাম। আর আজ People You May Know তে আপনাকে দেখালো! তাই সাথে সাথে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালাম!
– অ্যাঁ? এরকম হয় নাকি?
– তাই তো হল! সেই কারনেই অবাক হলাম। ভাবলাম টেলিপ্যাথি হয়তো!
– আর আমার নাম ঋজু কিনা জানতে চাইলেন কেন?
– কারন স্বপ্নে আমি আপনাকে ঋজু বলে ডাকছিলাম!
– আপনি ডাকছিলেন? আপনি কে? মানে স্বপ্নে কীসের রোল করছিলেন?
– এগ চিকেন রোল!
– হ্যাঁ। আমরা ব্লসমের বাইরে দাঁড়িয়ে এগ চিকেন রোল খাচ্ছিলাম!
– সিরিয়াসলি? ব্লসম?
– হ্যাঁ। ব্লসম চেনেন না? হেঁদুয়া পার্ক এর পাশে!
– তা চিনব না কেন? কিন্তু এরকম অদ্ভুত স্বপ্ন কে দেখে!
– দেখুন স্বপ্ন তো আমার হাতে নেই! কী আর করব! দেখলাম।
– তবে আপনার নাম যখন ঋজু নয়! তখন কী আর করা যাবে! অন্য কাউকে দেখেছি হয়তো!
– না মানে…
– কী?
– ছোটোবেলায় দিদা আমার এই নাম টা রেখেছিল। কিন্তু এখন আর কেউ ডাকে না।
– মানে? আপনার নাম সত্যিই ঋজু?
– নাম না। মানে ব্যবহার তো করি না। ওই আর কি! দিদা মারা যাওয়ার পর এই নাম তা ব্যবহারই হয় নি।
– হুম। স্ট্রেঞ্জ!
– কেন স্ট্রেঞ্জ কেন?
– না মানে এত মিল কীভাবে সম্ভব?
– জানিনা! আমারও শুনে অবাক লাগছে!
– যাই হোক… ছাড়ুন! আলাপ হয়ে ভালো লাগল!
– আমারও ভালো লাগল! আচ্ছা ব্লসমের রোল টা অনেকদিন খাওয়া হয় নি। এখন কেমন করে?
– আমারও বেশ অনেকদিন খাওয়া হয় নি। যেতে হবে।
– একসাথে যাওয়া যেতে পারে কী?
– হ্যাঁ। সে আর সমস্যা কী! আপনি কিডন্যাপার না আশা করি।
– না না। স্বপ্নে কী তাই দেখলেন নাকি?
– তা ঠিক। বেশ। তাহলে যাই একদিন না হয়!
– তা ইয়ে… বলছি যে ফোন নাম্বার কী বোনের কাছ থেকে নেবো নাকি আপনি দেবেন?
– এক্সকিউজ মি?
– আপনি অয়ন্তিকা! বোনের অফিস কলিগ তো?
– মানে?আপনি জানেন?
– বোন আমায় সব কথাই বলে। চেপে রাখতে পারে না আসলে!
– What? ও বলে দিয়েছে? Shit!
– না ঠিক আছে। আমি তো বোকা ছেলের রোল প্লে করলাম। এবার রোল টা না হয় খেয়ে আসি।
– ধুর! কী লজ্জা লাগছে এবার! সব বলে দিয়েছে?
– মানে আমার ওপর আপনার চাপের কথা? হ্যাঁ বলে দিয়েছে।
– এটা খারাপ হল কিন্তু!
– আরে চাপ নেই। আমার বিশ্বাস হয় নি?
– মানে? কেন বিশ্বাস হয় নি?
– আমার ওপর কেউ ক্রাশ খেতে পারে এসব ভিত্তিহীন কথা আমার বিশ্বাস হয় না। বাদ দিন।
– সিরিয়াসলি?
– ওসব বাদ দিন। কবে যাবেন রোল খেতে সেটা বলুন।
– আচ্ছা বোন কী এটা বলেছে যে আমিও ভালো রোল প্লে করতে পারি?
– ম-মানে? কী?
– হ্যাঁ। মানে যেখানে আসলে রোল প্লে টার প্রয়োজন হয় সেখানে!
– তাই নাকি?
– হ্যাঁ। আগে রোল টা খান। তারপর বাকিটা দেখবেন না হয়!
– আচ্ছা বেশ!
Secular Weirdo
Personal blog of Arnab Mondal