– আছিস?
– হ্যাঁ বল…
– অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ? সিরিয়াসলি?
– মানে? তোকে কে বলল?
– তুই ভুলে যাচ্ছিস আমাদের ৫ বছর আগে ব্রেক আপ হয়ে গেলেও ফ্রেন্ড সার্কেল টা এখনও কমন।
– ও… তনয়া বলেছে তার মানে…
– ওসব ছাড়। কথাটা সত্যি কিনা তার আগে বল…
– যদি সত্যি হয় কী করবি?
– জাজ করব সিরিয়াসলি! তুই অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করবি? ইসস!
– বহু ছেলেই করে।
– বহু ছেলে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলে তুইও দিবি?
– এই শোন… মায়েদের মত কথা বলিস না।
– I’m seriously Judging you রে। সিরিয়াসলি! তুই এটা করবি ভাবিনি!
– শোন… নিজে তো বেশ একটা সুন্দর ছেলে পটিয়ে নিয়ে প্রেম করছিস। কয়েকদিন পরেই বিয়ে করবি! আর আমি মেয়ে জোটাতে পারিনি বলে জাজ করছিস?
– শোন! তুই চাইলেই মেয়ে জোটাতে পারতিস!
– না রে। চেষ্টা চরিত্র করেছি… কিন্তু ঠিক জমেনি রে কোনোটাই! কেউ টিকল না!
– নেকুপুষু! জমাতে পারোনি সেটা তোমার সমস্যা! প্রেমিক তো তুমি খারাপ নও বাবা!
– তাই বুঝি? তাহলে তুই ছাড়লি কেন?
– তুই বালগিরি শুরু করেছিলি তাই! প্লিজ পুরোনো কথা থাক!
– আচ্ছা বেশ!
– ক’টা মেয়ে দেখলি?
– ১ টাই আপাতত।
– মেয়ের বাড়ি গিয়ে কানকো টিপে, সিঙাড়া খেয়ে দেখলি মেয়ে ভালো কিনা!
– উফফ! ওরকম না রে। ওসব আগেকার টিপিকাল ব্যাপার স্যাপার এখন আর হয় না!
– তাহলে? ডেটে গেলি নাকি কোথাও?
– ওই আর কি… আমাদের বাড়িতেই এসেছিল ওরা। গল্প করলাম একটু
– ওরে শালা! মানে তুই মেয়ে দেখতে যাসনি? তোকে দেখতে এসেছিল ওরা?
– হ্যাঁ ওইরকমই আর কি!
– কী জিজ্ঞেস করল?… না ওয়েট তুই কী জিজ্ঞেস করলি? ভার্জিন কিনা?
– পাগলা নাকি? জীবনে কি আর প্রশ্ন নেই? ভার্জিন কিনা জেনে আমার কী হবে?
– থাক! তোরা ছেলেপিলে গুলো ওইরকমই… মেয়ে ভার্জিন কিনা আগে জানতে চাস!
– তোর বয়ফ্রেন্ড ওরকম হলে হবে। আমি ওরকম না।
– অ্যাই! একদম বাজে কথা না ওর নামে!
– বাবাহ! প্রোটেকটিভ লাইক এ কনডোম!
– খিস্তিটা কি এখানেই খাবি নাকি বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসব?
– আমার বিয়েতে আসবি তো? তখন দিস!
– বলিস কি?মেয়ে পছন্দ? বিয়ে ফাইনাল?
– মেয়ে পছন্দ। সুন্দরী। স্মার্ট। সেন্স অফ হিউমর টাও…
– আমার থেকে সুন্দরী?
– হ্যাট! খালি বাজে কথা!
– বল না!
– না বলব না ভাগ!
– আরে বল না সিরিয়াসলি?আমার চেয়ে সুন্দরী কি?
– কাছাকাছি…
– What the hell is কাছাকাছি? ঠিক করে বল…
– Honestly বলব?
– হ্যাঁ।
– হুম।
– মানে আমার চেয়ে সুন্দরী?
– হ্যাঁ… মানে ঐ আর কি…
– বুঝলাম।
– খারাপ লাগলো?
– নাহ খারাপ লাগবে কেন? তবে একটা কথা তুইও জানিস আমিও জানিস!
– কী?
– আমার ওই জিনিসটা তুমি কারও মধ্যে পাবে না। ওটা স্পেশাল…
– ইসস! অসভ্যতা করছিস তোর বয়ফ্রেন্ড কে বলছি দাঁড়া।
– আমি নিজেই বলে দেবো। ভাগ শালা।
– তবে কথাটা ঠিক…
– কী?
– তোর ওটা কিন্তু সেরা ছিল!
– I know! 😀
– শোন না…
– কী?
– বিয়ে তে আসবি?
– তুই আগে কর তো বিয়ে! তার আগে মনে হচ্ছে আমার হয়ে যাবে…
– হয়ে যাক! খেতে যাবো!
– তোকে ডাকলে তবে তো?
– ডাকবি না?
– নাহ।
– কেন?
– আমার বরটা ইনসিকিওর হয়ে যাবে?
– সিরিয়াসলি? আমাকে দেখে? Come on! ও আমার চেয়ে বেশী হ্যান্ডসাম!
– হ্যাঁ। But you are bigger.
– না ও তো লম্বা আমার চেয়ে!
– ভালো করে বোঝো বোকসোৎ। You are BIGGER!
– এই সত্যি?
– আই আর বলব না এটা। মেসেজ ডিলিট করলাম…
– না না। থাক থাক প্লিজ! স্মৃতি রয়ে যাবে এটা।
– বাল এর স্মৃতি! ভাগ শালা! 😀
Secular Weirdo
Personal blog of Arnab Mondal