– তোকে দেখলাম আজ!
– কোথায়?
– মেট্রো তে!
– বিকেলে?
– হ্যাঁ। কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে যাচ্ছিলি।
– ওহ! কোথায় ছিলি তুই?
– তোর একটু বাঁ দিকে। কাছেই।
– ডাকতে পারতিস তো!
– না.. ও ছিল সাথে!
– ওহ। বুঝলাম!
– কোথায় যাচ্ছিলি?
– একটু কাজ ছিল!
– ব্ল্যাক শার্ট টা পরে কীসের এত কাজ তোমার?
– কী?
– আরে কিছু না মজা করে বললাম!
– হুম। কলেজ যাচ্ছিলাম।
– রবিবারেও কলেজ? সিরিয়াসলি?
– হুম। কাল একটা ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের কাজ আছে। সেই বিষয়ে কয়েকজন টিচার কে আজ ডেকেছিল কলেজ। সব ঠিক ঠাক আছে কিনা দেখতে!
– ওহ আচ্ছা!
– তুই কোথায় যাচ্ছিলি?
– ইয়ে.. ডেট ছিল. পার্ক স্ট্রীটে। বারবিকিউ নেশনে!
– ওহ। বাহ! ওখানে আমাকে তোর জন্মদিনের ট্রীট দিয়েছিলি না?
– হ্যাঁ।
– বুঝলাম।
– তুই এভাবে ভাবিস না। সেভাবে দেখলে তো কলকাতার কোনো জায়গাতেই ডেটে যাওয়া যাবে না! সব জায়গাতেই তো তুই আর আমি গিয়েছি!
– আরে কী হল? এত এক্সপ্লেন করছিস কেন? আমি কিছু বললাম নাকি!
– ওহ। তুই ভুল ভাবিস নি তো?
– একদম না। কেন ভাববো!
– আচ্ছা বেশ।
– হুম।
– তুই যাচ্ছিস না?
– কোথায়?
– ডেটে.. ব্রেক আপ হয়েছে বেশ কয়েকদিন তো হল….
– আমি এই ব্যাপারে কথা বলতে কমফোর্টেবল নই। সরি।
– আরে একী? কেন?
– এমনি। ছাড়। কোথায় এখন তুই?
– ফিরছি। নামবো এবার। শ্যামবাজার।
– আচ্ছা। সাবধানে ফের।
– তুই কোথায়?
– ধর্মতলায়!
– এখন? ৮ টা বাজে তো!
– হ্যাঁ তো? কলেজের কাজ শেষ হতে দেরী হল!
– ওহ। কিন্তু এখন ধর্মতলায় কেন? বাড়ি ফিরবি না?
– ফিরবো। একটু রাত হবে।
– কোথাও যাবি?
– হুম।
– ডেট?
– প্লিজ! এসব নিয়ে কথা থাক না। আমি কম..
– ধুর! তোর যত ন্যাকামো! এখনও মুভ অন করলি না।
– ঠিক আছে যা ভাববি! এবার টাটা!
– আরে বল না। কোথায় যাচ্ছিস এত রাতে?
– ডেট আছে!
– তাই?
– হ্যাঁ। কোথায় যাচ্ছিস ডেট কে নিয়ে?
– ইন্ডিয়া! খিদিরপুর!
– মানে গলোটি কাবাব, বিরিয়ানির ইন্ডিয়া?
– হ্যাঁ।
– আমাদের প্রথম ডেট যেখানে হওয়ার কথা ছিল?
– হুম!
– বাহ! কনগ্র্যাটস! সাবধানে যাস!
– তুইও ফের সাবধানে!
– হ্যাঁ এই তো অটোতে আমি। টাটা!
– হ্যাঁ। টাটা!
শেষ মেসেজ টা সিন করে ফোন টা বিছানায় রেখে বেসিনে খাবারের প্লেট টা নিয়ে গেল অনিন্দিতা। শ্রীপর্ণা ওকে জানিয়েছিল আজ অনিন্দ্যকে মেট্রোতে দেখেছে! ব্ল্যাক শার্ট পরে। কানে হেডফোন!
একটু পরে নিজের ঘরে ফিরল অনিন্দিতা। ফোনের নোটিফিকেশন এর লাইট টা ব্লিংক করছে!
আবার কোনো মেসেজ এল নাকি?
(চলবে?)