– Hi! Excuse me..
– হ্যাঁ বলুন।
– একটা কথা বলব? যদি কিছু মনে না করেন!
– হ্যাঁ বলুন!
– আপনার কি খুব রিসেন্টলি ব্রেক আপ হয়েছে?
– I’m sorry. Who are you?
– আসলে আমি শুনলাম কাউকে ফোনে বলছিলেন আর যোগাযোগ রাখতে চান না। সে যদি অন্য ছেলের সাথে থাকতে চায় থাকুক! এগুলো শুনেই বললাম!
– ওহ। হ্যাঁ ওই আর কি!
– একটা কথা বলব?
– আবার একটা বলবেন? হ্যাঁ বলুন।
– আপনাদের কত দিনের সম্পর্ক?
– ৬ বছর!
– ব্রেক আপ কেন হল?
– দেখুন আপনাকে তো আমি ঠিক চিনিনা। মেট্রোর মধ্যে এভাবে….
– ওহ সরি। ব্যক্তিগত স্পেস! বুঝেছি! সরি!
– হুম। আর আপনি জেনেই বা কী করবেন?
– জ্ঞান দিতাম আর কি!
– প্রচুর চেনা মানুষ অলরেডি দিচ্ছে! অচেনা মানুষও জ্ঞান দেবে? উফফ! কি দিনকাল এলো!
– তা ঠিক। সরি।আমার উচিত হয় নি। আপনি তো চেনেন না আমায়!
– হুম।
(একটু পর)
– ৭ বছর!
– হ্যাঁ কী?
– আমাদের ৭ বছরের সম্পর্ক ছিল!
– ব্রেক আপ কেন হল?
– উফফ! আর রিপিট করতে পারছি না। আপনি এই উত্তরটা না শুনে জ্ঞান দিতে পারবেন না!
– আচ্ছা বেশ। ছাড়ুন। বলতে হবে না।
– হুম।
– আপনার এই চাপা স্বভাব টা কেন? এটা কি ছোটোবেলা থেকেই?
– হ্যাঁ। কিছুটা। সবার কাছে সব বলা যায় না। আর তাছাড়া অচেনা মানুষের কাছে তো নয়ই।
– অচেনা মানুষ চেনা হতে বেশী সময় লাগে না শুভ্র
– আমার নাম অনির্বান।
– ওই একই হল।
– শুভ্র কে?
– কেউ না। নাম নিয়ে কি আপনি খুব অবসেসড?
– না তো! মানে? কেন?
– আপনাকে বললাম অচেনা মানুষ চেনা হতে বেশী সময় লাগে না। আর আপনি এই কথাটা কাউন্টার না করে নাম নিয়ে পড়লেন। তার মানে কী আপনি বলতে চাইছেন এই কথাটায় আপনার কোনো আপত্তি নেই!
– আমি… মানে… আমি জানিনা। কী করছেন বলুন তো আপনি? মাথা ঘুরছে আমার!
– মৃগীর কোনো হিস্ট্রি আছে নাকি?
– আরে ধুর মশাই! এসব আবোল তাবোল জিজ্ঞেস করছেন কেন?
– উত্তেজিত হবেন না। আপনিই তো বললেব নাথা ঘুরছে তাই জিজ্ঞেস করলাম। পালস টা দেখি। দিন হাত টা।
– আরে… হাত…
– আরে দিন না…
– উফফ! দেখুন…
– হুম… দেখি আপনার ফোন টা দেখি?
– কেন?
– আরে দিন না। দরকার আছে।
– ওহ আচ্ছা… এই নিন…
– একি? লক স্ক্রীনে ইনি কে?
– ইনিই তো মানে… এক্স…
– এক্স কে লক স্ক্রীনে নিয়ে ঘুরছেন? কনস্ট্যান্ট নজর রাখার প্রবনতা আছে নাকি আপনার?
– না না। একদম নেই। ধুর!
– হুম। বেটার। এক মিনিট দাঁড়ান…
– ফোন নিয়ে কী করছেন?
– দেখতে পাবেন…
– এই নিন! হয়ে গেছে। কী হয়ে গেছে?
– আপনার নাম্বার টা নিলাম। ওষুধের নাম টা টেক্সট করে দিচ্ছি। ঠিক হয়ে যাবেন। আর কোনো অসুবিধে হলে ওই নাম্বারে ফোন করে দেবেন।
– মানে? নাম্বার? আপনি নাম্বার নিলেন কেন?
– দরকার ছিল।
– আপনার কী এই মেট্রোর মধ্যেই আমাকে…
– আপনাকে কী?
– মানে আমাকে ভালো লাগলো বা কিছু…
– একদম লাগে নি। বড্ড ন্যাকা আপনি। আপনাকে আরও একটু বেটার হতে হবে। সেলফ ডিপেন্ডেন্ট হতে হবে। চাপ নেই। আমি হেল্প করব।
– আপনি? হেল্প করবেন?
– নিশ্চয় করব? আপনি কি চান আমার হেল্প?
– হ্যাঁ। নিশ্চয় চাই।
– ঠিক আছে। কাল আমার চেম্বারে আসুন। ১১ টায়।
– চেম্বারে?
– হ্যাঁ। আমি আমি একজন সাইকোলজিস্ট। কিংবা কাউন্সেলরও বলতে পারেন। আপনার যেকোনো সমশ্যায় আমার চেম্বারে আসুন। আমি হেল্প করব।
– অ্যাঁ? মানে এতক্ষন ধরে…
– হ্যাঁ আপনাকে একটু বাজিয়ে দেখছিলাম। কাল চলে আসুন ১১ টায়। ঠিকানা মেসেজ করে দেবো। আর আমার ফিজ ৯০০ টাকা/ঘন্টা। আমি নামলাম। বাই।
– WTF -_-