– শোন…
– বলে ফ্যাল
– একটা কথা বলার ছিল।
– জানি।
– কী করে জানলি?
– কথা যখন শুরু করেছিস তার মানে কিছু তো বলবিই।
– ও হ্যাঁ। Right.
– বল কী বলবি।
– আমি জানিনা আমার এই কথাটা বলার অধিকার আছে কিনা… মানে… অধিকার ঠিক না… মানে জাস্ট একটা রিকোয়েস্ট করব।
– কী হয়েছে? কী বলবি বল না।
– তুই আজ একটা ছবি দিয়েছিস দেখলাম। ফেসবুকে।
– বিকিনি পরে যেটা?
– হ্যাঁ। ওটাই…
– হ্যাঁ দিয়েছি তো। গোয়াতে তোলা ওটা। গতবছর গিয়েছিলাম।
– বয়ফ্রেন্ডের সাথে?
– হ্যাট শালা। পাগলা নাকি? গোয়া যাবো বয়ফ্রেন্ডের সাথে? অত দম নেই
– ওহ আচ্ছা। মানে বয়ফ্রেন্ড নেই না দম নেই?
– আমি সিঙ্গল আছি কিনা জানতে চাইছিস?
– না না। ওরকম কিছু না… মানে…
– কী বলবি বলছিলি বল।
– ও হ্যাঁ। বলছিলাম যে ইয়ে… বিকিনি পরে ফটো ফেসবুকে দিস তুই। আর ভুলভাল লোকজন কমেন্ট করে তাতে।
– তোর তাতে কী? তোর ইচ্ছে হলে তুইও কর।
– কী করব?
– কমেন্ট।
– ওহ আচ্ছা। নাহ। আসলে আলতু ফালতু লোকজন কমেন্ট করে “Nyc lagche” “Puro Agun” etc… এগুলো দেখে কেমন একটা লাগে।
– কেমন লাগে?
– জানিনা… ভালো লাগে না।
– দেখ প্রথমত যারা ওরকম উলটোপালটা কমেন্ট করে তারা তো আমাকে পাবে না। কাজেই ওসব ফ্রাস্ট্রেশনের কমেন্টে কিই বা আসে যায়!
– তোর বয়ফ্রেন্ড কিছু বলে না এসব আপলোড করলে?
– বললেও আমি পাত্তা দিই না। দেখো ভাই… আমার প্রোফাইল… আমি কি আপলোড করব কি আপলোড করব না সেটা তো বয়ফ্রেন্ড ঠিক করে দেবে না। তাই না?
– হুম… তার মানে তোর বয়ফ্রেন্ড আছে?
– হ্যাঁ। ওই আর কি… আছে একজন।
– আমি চিনি?
– হ্যাঁ। ওই তো বসে আছে সামনে।
– অ্যাঁ। কোথায়?
– ওই তো! সামনের ওই দোকানটার দিকে তাকা।
– কোনটা রে? আরে ওই যে বাইকের শোরুম টা। সামনে তাকা।
– কিছুই তো দেখা যাচ্ছে না।
– ওই যে বসে আছে। দেখ। নীল শার্ট পরে। ভাল করে তাকা।
– কাঁচের দরজা তো। ভেতরের কিছু দেখা যাচ্ছে না।
– ওরে গান্ডু তাহলে কি দেখা যাচ্ছে ওখানে?
– প্রতিবিম্ব!
– Exactly.
– মানে… আমি…
– Shut up! গাড়ল একখান! -_-