– অ্যাই কী করছিস ওটা তখন থেকে?
– আ-আমি? কী করলাম আবার?
– পুষ্পাঞ্জলীর সময় থেকে দেখছি। শুধু আড় চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছিস!
– মোটেই না… আমি সরস্বতী মা এ দিকে দেখছিলাম। তোমার দিকে কেন দেখতে যাব?
– তার মানে আমি মিথ্যে বলছি?
– আমি কি জানি। তুমি ভুল দেখেছো আমি তোমায় দেখছিলাম না।
– সব বুঝি বাওয়া! সব দেখেছি আমি। একবার নয়। অনেকবার দেখছিলি।
– এক সেকেন্ড?
– কী?
– আমি আড়চোখে তোমায় দেখছিলাম তুমি জানলে কীভাবে? তুমিও কি আমায় দেখছিলে?
– খুব পাকা না তুই? কি নাম তোর?
– দীপ। তোমার নাম নীলাঞ্জনা তো?
– হ্যাঁ! কে বলল?
– মনে নেই।
– সেই না? কোন ইয়ার তোর?
– ফার্স্ট ইয়ার।
– আমি কোন ইয়ার জানিস?
– না। কোন ইয়ার?
– থার্ড ইয়ার।
– ওহ আচ্ছা। বুঝলাম।
– সুতরাং আমার সাথে পাকামি করবি না। সিনিয়র দের ডাকব দেখবি?
– আমার ভুল হয়েছে। সরি।
– এই তো সোনা ছেলের মত কথা।
– না। আমার ভুল হয়েছে তোমার দিকে তাকানো। কারণ আমি জানতাম না তোমার নিজের কিছু করার দম নেই!
– Excuse me?
– আমাকে ভয় দেখানোর জন্য সিনিয়র দের ডাকবে বলছ! তোমার দিকে দেখছিলাম বলে। নিজের কিছু ক্ষমতা নেই তো! তাই বললাম আমার ভুল হয়েছে!
– খুব ফটফট করে কথা বলছিস তো! আমার ক্ষমতা দেখবি?
– সবার সামনেই দেখাবে?
– ও বাবা! তুমি তো ধানি লংকা দেখছি? শোন আমার পেছনে লাগিস না। ফল ভালো হবে না।
– Okay. লাগব না।
– হুম। যা ভাগ এবার!
– আচ্ছা!
– এই এক মিনিট?
– কী?
– সত্যি সত্যি চলে যাচ্ছিস কেন?
– মানে? তুমি তো যেতে বললে!
– হ্যাঁ, বললাম বলেই চলে যাবি! আমার দিকে হাঁ করে তাকানোর আগে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলি? এখন এত ঢং করছিস কেন?
– শাড়ি পরে খুব মিষ্টি লাগছে তোমাকে।
– জানি আমি। আয়নায় দেখেছি।
– ওহ! Okay.
– চল আমার সাথে।
– কোথায় যাবো?
– আমার এক্স বয়ফ্রেন্ডের সাথে কোথায় লুকিয়ে প্রেম করতাম দেখাবো!
– কেউ দেখে ফেললে?
– দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি। প্রেম করতে না। চুপচাপ চল।
– ওহ। Okay.
– I mean… জায়গাটা! জায়গাটা দেখাতে।
– আমি অন্য কিছু ভাবিও নি!
– আমার দুর্ভাগ্য!
– What?
– What 😉