– শোন
– Who is this?
– আমি অলীক।
– What? অলীক তো আমি
– হ্যাঁ। আমি তুই। কিন্তু ভবিষ্যৎ এর।
– ভাই কে মজা করছিস বল নাহলে কিন্তু ব্লক করে দেবো!
– মজা করছি না। তোকে সাবধান করতে মেসেজ করেছি আমি।
– সাবধান? কেন?
– ঋতুপর্ণা থেকে সাবধান!
– কে ঋতুপর্ণা?
– এখনো দেখা হয় নি তোর ওর সাথে?
– নাহ। কে সে?
– ওর সাথে তোর বিয়ে হবে!
– এই রে!
– ওটা Avoid করার চেষ্টা করিস!
– আমি… তার চেয়ে বরং সব ঋতুপর্ণা কেই এড়িয়ে যাবো!
– সেটা সম্ভব হবে না। Time Paradox বলে একটা ব্যাপার আছে। দেখা ওর সাথে হবেই। কিন্তু বিয়ে টা করিস না।
– আমি কিছুই করব না তার চেয়ে ভালো।
– উহু। নাহ। সেই Time Paradox. আর তাছাড়া মেয়েটা বিছানায় দারুন। কাজেই ওটা মিস করবি আর কিছু না হোক।
– তাহলে বিয়ে করবো না কেন?
– দেখ আমি খুব তাড়াতাড়ি ডিসিশন নিয়ে ফেলেছিলাম বিয়ের ব্যাপার টা। তাই এখন পস্তাচ্ছি।
– কেন কেন? পস্তাচ্ছো কেন?
– মেয়েটা বড্ড রোমান্টিক। সব সময় খালি রান্না করে রাখে ভালো ভালো। একদম পোষায় না!
– What??? বিছানায় ভালো, রান্নায় ভালো আর কি চাই?
– না না। ওরকম মনে হয়। কদিন পরেই বোরিং লাগবে।
– মোটেই লাগবে না।
– Future থেকে কে মেসেজ করছে? আমি না তুই?
– তুমি… মানে তুই…
– হুম। যেটা বললাম মাথায় রাখ। অন্বেষা কেই একমাত্র মিস করবো হয়তো তুই ওকে বিয়ে না করলে!
– অন্বেষা কে আবার?
– আমাদের মানে তোর ভবিষ্যতের মেয়ে।
– আমার মেয়ে!!! বাহ!!
– হুম। এই আমি যাই। অতীতে এস এম এস চার্জ বড্ড বেশী। তাহলে ওই কথাই রইলো। ঋতুপর্ণা কে বিয়ে একদম না।
– দূর ছাই! চিনিই না ঋতুপর্ণা কে। তবে তো বিয়ে!
– আজ আগস্ট এর ৪ তারিখ তো ওখানে?
– হ্যাঁ। কেন?
– একটু বাদেই দেখা হবে!
– মানে?? কী করে?
– দেখতেই পাবি।

কলিং বেল এর আওয়াজ এ চমকে উঠল অলীক। এত রাতে কে এল আবার। সাড়ে আটটা তো বেজে গেছে।

– বেল বাজল।
– হুম। যা দরজা খোল। বিয়ে একদম না। মাথায় থাকে যেন।
– আচ্ছা!

দরজা খোলার পর যাকে দেখল তাকে আগে কখনো দেখেনি ও। মেয়েটা অসামান্য সুন্দরী। এই কি তাহলে ঋতুপর্ণা। এর সাথে নাকি ওর বিয়ে হবে কি যাতা! “Are Apna sakal dekha hain ayne me?” নিজেকেই নিজেকেই প্রশ্ন করল অলীক।

– সুনন্দা আছে?
– আজ্ঞে?
– Excuse Me? এটা সুনন্দার বাড়ি তো?

সুনন্দা টা আবার কে? পরক্ষনেই খেয়াল হল। ও হ্যাঁ ওর বোনের নামই তো সুনন্দা। আসলে ডাক নাম ধরে ধরে ডেকে ডেকে ভালো নামটাই মাথায় আসছিল না। ও কিছু উত্তর দেওয়ার আগেই এবার ভেতর থেকে বোন বলল, – এই ঋতুপর্ণা ভেতরে আয়। দাঁড়িয়ে আছিস কেন?

– হ্যাঁ। আসছি।

ঋতুপর্ণা চলে গেল ভেতরে। ওর পাশ দিয়ে হেঁটে। আহ কি অপূর্ব সুবাস। কি পারফিউম কে জানে? ভালো পারফিউম মাখে এবং ভালো দেখতে, আরও দু’টো পয়েন্ট অ্যাড হল। বিছানায় ভালো এবং রান্নায় ভালোর সাথে। নাহ এ মেয়ে কে বিয়ে না করলে জীবনটাই বৃথা।

একটু পরে বোন কি একটা খুঁজতে ডাইনিং এ আসতেই ও ডাকল ওকে।
– এই শোন না…
– হুম বল…
– ফ্রীজে যে ডেয়ারি মিল্ক টা আছে ওটা তুই খেয়ে নিস।
– ওটা তো আমারই।
– না না। আমার আছে একটা।
– সেটা তুই খেয়ে নিয়েছিস আগেই।
– ওহ!
– কী হল? না মানে ডেয়ারি মিল্ক টা এখন খা তুই।
– এখন? কেন?
– ঐ তোর বন্ধু এসেছে তাই বলছিলাম। ওর সাথেও শেয়ার করতে পারতিস।

ভুরুটা কুঁচকে গেল সুনুর। তারপর ঠোঁটের কোনে হালকা হাসি। বলল, “হেব্বি দেখতে না রে?”
– চরম।
– বলব?
– কি বলবি?
– আপাতত ডেয়ারি মিল্ক টা তুই দিয়েছিস বলি।

আনন্দে ডগমগ করে উঠল অলীক। বলল, “তুই করবি আমার জন্য এটা?”

– হুম তবে…
– তবে কী?
– পিৎজা খাবো।
– Done.
– ডমিনোজ।
– পাক্কা।
– দে টাকা দে।
– এক্ষুনি?
– হ্যাঁ আবার কী? অর্ডার করবো তো!
– আচ্ছা নে।

বেশ কিছুক্ষন হয়ে গেছে। বিষয়টা কতদূর কী গড়াল কিছুই বুঝতে পারছে না অলীক। বোনও আর ওই ঘর থেকে বেরোচ্ছে না। যাবে না যাবেনা করেও একবার ঘরের কাছে গেল ও। ডাকবে কী? হালকা করে দরজাটা খুলে ভেতরে চোখ যেতেই চমকে উঠল অলীক। প্রথম টা একটু রাগতে গিয়েও পারল না। ততক্ষনে একটা কথা ওর কানে গিয়েছে। ভেতর থেকে কেউ একজন বলল, “নাহ, he loves me.” একটু হাসি মুখে ও চলে এল ঘরের সামনে থেকে। এরপর আর রেগে থাকা যায় নাকি?


ঠোঁটদু’টো এক মুহুর্তের জন্য আলাদা হল ওদের।
ঋতুপর্ণা জিজ্ঞেস করল, “তোর দাদা জানতে পারলে রাগ করবে না? আমরা এরকম করলাম পিৎজা খাওয়ার জন্য”
“নাহ। He loves me” বলল সুনন্দা।

অলীক স্বপ্ন

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি