– একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
– কী?
– তুই আমার সাথে কেন আছিস?
– আরে তোর ইয়ে টা খুব বড়… মন টা। সেই জন্যেই।
– আচ্ছা।
– কী হল?
– না মানে… তুই রেগে গেলি না?
– রেগে কেন যাবো?
– আরে এই যে তুই খুব সিরিয়াস ভাবে একটা প্রশ্ন করলি আর আমি বাজে একটা জোক ক্র্যাক করলাম।
– আমি একটা প্রশ্ন করেছিলাম। তুই তো উত্তর দিয়ে দিয়েছিস। এতে রাগ করার কী আছে?
– কী হয়েছে তোর?
– কিছু না। কী আবার হবে?
– তাহলে এরকম অদ্ভুত আচরন করছিস কেন?
– জানিনা রে। মাঝে মাঝেই মনে হয় এই প্রশ্ন টা। যে তুই কেন আছিস আমার সাথে?
– কেন থাকবো না?
– না মানে… আমার মধ্যে ভালো লাগার কি আছে তুই বল!
– কি নেই?
– কিছুই নেই।
– ধুর পাগল তোর ধারনা ভুল। তুই জানিস না তুই কত টা আলাদা? তুই Unique.
– ধুর! কিন্তু…
– কিন্তু কী?
– কিন্তু সবাই তো তা ভাবে না রে? সবাই বলে আমি weirdo. আমি নাকি অদ্ভুত। আমাকে কেউ ভালোবাসে না।
– আমি তো বাসি। তোর ক’জন কে চাই?
– কিন্তু বাকিরা তো জানে না আমায় তুই ভালোবাসিস।
– সব কথা সবাই কে জানাতে নেই পাগল!
– হ্যাঁ। এটাই তো ওরা বলে আমাকে।
– বলুক না। তুই তো পাগলই।
– আমি… পাগল?
– হ্যাঁ। তুই তো আমার পাগল!
– ধুর! কি যে বলিস!
– সত্যি রে। এই পাগলামির জন্যেই তোকে এত ভালোবাসি আমি। সাধারন তো সবাই হতে পারে। ক্ষমতা থাকলে পাগল হয়ে দেখাক!

বাইরে পায়ের শব্দ শোনা গেল! তারপরেই শোনা গেল Security Guard এর গলা – “এই শালা, চুপ কর না। শান্তিতে ঘুমোতেও দেবে না পাগল টা! সন্ধ্যে হলেই বকবক শুরু!”

অদম্যর ঠোঁটের কোনে মৃদু হাসি দেখা গেল। আবছা আলোতে ওর ঠিক পাশের পড়েছে একটা ছায়া! দূর থেকে দেখে এটা অদম্যর নিজের ছায়া বলে ভুল করে সবাই। কিন্তু খুব কাছে এলেই বোঝা যায় ছায়াটা আসলে একটা মহিলা শরীরের। সন্ধ্যে হলেই যে একমাত্র ওর কাছেই আসে। কারন ও যে সবার থেকে
আলাদা।

“সাধারন তো সবাই হতে পারে। ক্ষমতা থাকলে পাগল হয়ে দেখাক” – বিড়বিড় করে বলল অদম্য!

অদম্য

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি