অর্ণব
– হাই, বলছি একটু ভিডিও কল করা যায়?
– ভিডিও কল? হঠাৎ?
– না মানে…
– কী হয়েছে?
– নাহ কিছু না!!
– আরে বলো না…
– না মানে… তোমার সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে প্রায় ২ মাস হল… কখনও দেখা হয় নি… অথচ…
– তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছ?
– না না! সন্দেহ না! আসলে ফেসবুকে আলাপ তো! মানে…
– মানে কী?
– আমি… মানে… কীভাবে যে বলি…
– তোমার কি সন্দেহ হচ্ছে যে আমি কোনো ছেলে বা কিছু…
– আমি… আমি জানিনা…
– Wow!! তা আমায় কী করতে হবে? ভিডিও কলে প্রমান দিতে হবে?
– তুমি বুঝতে পারছো না! তুমি আমাকে ফটো পাঠাতে বললে… মানে নুডস!!
– হ্যাঁ তো! আমি আমার বয়ফ্রেন্ড কে নুডস চাইতে পারি না! হ্যাঁ নিশ্চয় পারো।
– কিন্তু আমিও তো তোমাকে দেখিনি তাই না! তাই ভয় লাগছে…
– ফাইন! করো… ভিডিও কল করো!!
– করব? সত্যি?
– হ্যাঁ করো!
– আচ্ছা আচ্ছা করছি…
(১০ মিনিট পর!)
– এবার? বিশ্বাস হয়েছে আমি মেয়ে কিনা…
– হ্যাঁ। থ্যাঙ্কিউ থ্যাঙ্কিউ!
– এবার পাঠাও?
– হ্যাঁ হ্যাঁ। পাঠাচ্ছি। ওয়েট…
(আরও ১০ মিনিট পর)
– হ্যালো…
– সুনন্দ বলছেন?
– হ্যাঁ কে বলছেন?
– আপনার কিছু ছবি পেলাম… নুডস!
– ম-মানে?
– আপনার কিছু নুডস ছবি পেলাম… ফেসবুকে বেশ ভালো লাগবে মনে হচ্ছে…
– মানে? আপনি কে?
– আমি তো নিশা…
– নিশা… কিন্তু… নিশা তো…
– মেয়ে… হ্যাঁ আজকাল AI এর যুগে সবাই ছেলে, সবাই মেয়ে… যাই হোক… শুনুন… ৫০ হাজার টাকা যে অ্যাকাউন্ট নাম্বারে বলছি পাঠিয়ে দিন!
– আমি… আমি পুলিশের কাছে যাবো…
– হ্যাঁ সে যেতেই পারেন… তবে… ছবি ভাইরাল হয়ে যাবে তার আগেই… আর লাস্ট ২ মাসে যা চ্যাট করেছেন সেগুলোও সাথে অ্যাটাচ করা থাকবে!
– কিন্তু… আপনি… আমি যার সাথে কথা বললাম একটু আগে…
– আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স!
– মানে? কী বলছেন?
– আধঘন্টা সময় আছে হাতে… চটপট টাকা পাঠিয়ে দিন! বাই…