(ভোর সাড়ে পাঁচটা। ভিডিও কল এল।)
– হাই!
– (ঘুম জড়ানো গলায়) হাই!
– কখন ঘুমোলি কাল?
– (চোখ বন্ধ করে) কি জানি। মনে নেই।
– আমি কাল খুব টায়ার্ড ছিলাম। বিছানায় শুয়েছি আর ঘুমিয়েছি!
– হুম! (ঘুম তখনও কাটেনি!)
– ধুর! ভালো লাগছে না!
– কেন?
– আমাকে আর কেউ হাই ক্রাশ বলে ডাকে না!
– (ঘুমটা একটু কেটেছে তখন) হাই ক্রাশ!
– থাক! ওরকম জোর করে বলতে হবে না। আগে কেমন এমনিই ডাকতিস হাই ক্রাশ বলে।
– আরে তখন তো তুই আমার ক্রাশ ছিলি। এখন তো তুই আমার প্রে-
– অ্যাই অ্যাই!!! বলবি না! শেষ করবি না কথাটা! মার দেব!
– …প্রেরনা হয়ে গেছিস। মানে যাকে বলে Inspiration. সেই জন্যেই তো হাই ক্রাশ বলি না।
– বেশী ন্যাকামি করতে হবে না। ভোঁদুরাম কোথাকার!
– আচ্ছা বেশ। করব না।
– শোন না…
– বল না…
– মিস করছি তোকে খুব!
– তাহলে চলে আয়!
– বাল! তুই জানিস সেটা সম্ভব নয়!
– তাহলে আমি যাই?
– এমন ক্যালাবো না! একদম পাগলামি করবি না।
– এই রে! সেটা তো সম্ভব না। আমার তো ওটাই সম্বল!
– কোনটা?
– এই পাগলামি টা! এটাই তো আমার সম্বল! এটা না করলে আমি তো আর আমি থাকবো না!
– সেই পাগলামির কথা বলিনি। এই ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে আসার কথা বলছিস তাই বারন করলাম।
– বাবাহ! প্রথমবার যখন সারপ্রাইজ দিতে গিয়েছিলাম তখন তো বারন করিসনি… খুশিই তো হয়েছিলি!
– ঠিক আছে। মাঝে মাঝে ওরকম করা ভালো! আর তাছাড়া আমার রাগ হয়েছিল!
– জানি তো। রাগ ভাঙাতেই তো গিয়েছিলাম!
– ভয় লাগে জানিস তো!
– কেন? কীসের ভয়?
– তুই এতটা ভালোবাসিস আমায়! এটাই ভয় লাগে!
– কী মনে হয় শুনি।
– মনে হয় যখন আর এরকম ভালোবাসবি না, তখন কী হবে?
– কে বলেছে বাসবো না?
– আমি জানি বাসবি না। যতদিন যায় তত ভালোবাসা কমতে থাকে!
– একদম না। যত দিন যায় তত ভালোবাসা মোটেই কমে না। তবে হ্যাঁ এফর্ট দেওয়ার ইচ্ছেগুলো কমতে থাকে। কারন মানুষ তখন উলটোদিকের মানুষটাকে টেকেন ফর গ্র্যান্টেড নিয়ে নিতে থাকে।
– জানি তো! তোর যখন সেরকম হবে, তখন যে কী হবে!
– এটা তো তোরও হতে পারে।
– কী?
– এই যে তুই আমায় এখন এত ভালোবাসিস তখন তো আর নাও বাসতে পারিস!
– কে বলেছে আমি ভালোবাসি এখন তোকে?
– বাসিস না?
– নাহ তো! আমি বলেছি নাকি বাসি?
– অফিশিয়ালি হয়ত বলিস নি, কিন্তু সবটা বলতে হয় নাকি? বোঝা যায় তো!
– মার দেব! এত বুঝতে কে বলেছে তোকে?
– তার মানে বাসিস না বলছিস?
– নাহ! বাসি না!
– বেশ। বুঝলাম।
– কী হল? মেনে নিলি?
– হ্যাঁ। কেন মানব না?
– এত সহজে?
– হ্যাঁ। তুই বললি। আমি বিশ্বাস করলাম!
– তোর মনে হয় আমি তোকে ভালোবাসি না?
– আরেহ এই তো বললি বাসিস না!
– আমি বললেই বিশ্বাস করে নিবি? কেমন ছাগল তুই?
– করব না?
– না! করবি না!
– হুম। তাহলে…
– তাহলে কী?
– দিন কয়েক আগে তোর এক্স তোকে জ্বালাচ্ছিল। তুই তাকে ব্লক করেছিস বলেছিলি।
– হ্যাঁ তো?
– তাহলে ওটাও কি বিশ্বাস করব না?
– এই বোকা**… তুই আয়! তুই আয়! এক্ষুনি আয় এখানে। ভুলভাল কথা বলা বের করছি…
– আচ্ছা আসছি!
– আচ্ছা আসছি মানে?
– মানে সত্যিই আসছি! ওখানে যাওয়ার জন্যেই তো এত নাটক করলাম।
– এই এই না!! এরকম করিস না বাবু! প্লিজ!
– আমি তো করবই। আমি যাবই। তুই বেরোতে না পারলে ফিরে চলে আসব!
– আমি বাড়িতে কী বলব?
– বল জামাই আসছে!
– -_- ইয়ার্কি মারিস না। ভাবতে দে।
– তুই ভাব। আমি রেডি হই। টাটা!
– খুব ঝামেলায় ফেলিস তুই!
– খুব ভালোওবাসি!
– সেই জন্যেই তো ঝামেলাগুলো সহ্য করি!
– জানি! টাটা। আসছি আমি!
– হুম। সাবধানে আয়! আমি অজুহাত খুঁজি!
– চুমু চুমু!
– ওটা সামনা সামনি দিও না হয়। যাও ব্রাশ করে রেডি হও
– আচ্ছা যাই! <3
দারুন হয়েছে। কিন্তু রিয়েল লাইফে কেমন যেন লাগে