– কীরে? খুব ব্যস্ত নাকি আজ?
– (সারাদিন পাত্তা নেই! আবার আমাকে জিজ্ঞেস করছে ব্যস্ত কিনা)
না না। ব্যস্ত না। তোর কী খবর?
– (যেই মেসেজ করলাম, অমনি তোর কী খবর? নিজে মেসেজ করতে ইচ্ছেও করে না?)
এই তো। বোর হচ্ছি বাড়িতে বসে! ভালো লাগছে না।
– (বোর হবি তাও আমাকে মেসেজ করিস না তুই! রাগ কি আমার এমনি এমনি ধরে?}
ওহ। কিছু ফিল্ম টিল্ম দেখতে পারিস তো!
– (ফিল্ম! জীবন টাই সিনেমা বানিয়ে দিয়েছিস তুই পাত্তা না দিয়ে দিয়ে!)
হুম। তা দেখলে হয়। ধুর কিছু ভালো লাগছে না!
– (আমার যেন ভালো লাগছে! সারাদিন মেসেজ করিস নি!)
কেন? কী হয়েছে? ভালো লাগছে না কেন?
– (তোর জন্যে তো! সারাদিন এত ব্যস্ত থাকিস কেন বল তো!)
জানিনা। মাঝে মাঝে কোনো কারন ছাড়াই তো মুড টা অফ লাগে। আজকেও তাই।
– (কি জানি! আমার তো মুড অফ এর কারন তুই! তোর আবার কোনো কারন নেই?)
ওহ এই রে! গান শোন। Music সব ঠিক করে দেয়!
– (তুই শোনাবি? তোর গলায় গান?)
গান? হ্যাঁ। তা শোনা যায়!
– (হ্যাঁ তুই গানই শোন। আমাকে তো আর ফোন করবি না!)
কেন? ইচ্ছে করছে না? কী ইচ্ছে করছে তাহলে? যেটা ইচ্ছে করছে সেটা কর!
– (ইচ্ছে তো করছে তোকে ফোন করতে! কিন্তু কোনো অজুহাত ছাড়া কীভাবে করব সেটা?)
জানিনা কী ইচ্ছে করছে। ভালো লাগছে না কিছু। বাদ দে!
– (যাক! ফাইনালি একটা ফোন করার অজুহাত পেলাম।)
আচ্ছা দাঁড়া আমি ফোন করছি!
– (ওমা! ফোন করছে! ও ফোন করছে! ফাইনালি!)
ইয়ে তোর চাপ হবে না তো? ব্যস্ত ছিলি না তো!
– (হাজার ব্যস্ত থাকলেও তোকে ফোন করার সুযোগ কি আর ছাড়তে পারি!)
না না। চাপ নেই। ফোন করছি দাঁড়া!
– আই লাভ ইউ
– হ্যাঁ? কী? কিছু বললি?
– (গাঁড় মেরেছে! জোরে বলে দিলাম নাকি?)
না না। ফোন কর। ওয়েট করছি!
– (আই লাভ ইউ শুনলাম কী? না না। ধুর! আমার কান বাজছে!)
হ্যাঁ দাঁড়া, করছি।