– তুই কি ব্লক করলি আমায়?
– মানে? কোথায়? Whatsapp এ?
– না। ফেসবুকে!
– নাহ। আমি ব্লক করিনি তো!
– কি জানি। ডিপি দেখা যাচ্ছে না মেসেঞ্জারে। আর তোর প্রোফাইলটাও খুলছে না!
– জানি না রে। আমি সেভাবে এখন ফেসবুক করিনা! তুই আমার প্রোফাইল খুলছিলি কেন?
– খুলিনি। মেসেঞ্জারে ডিপি দেখা যাচ্ছে না দেখে নাম সার্চ করে দেখলাম। খুললো না! তাই ভাবলাম ব্লক করলি হয়ত!
– নাহ। আমি ওসব ব্লক টকে নেই। জানিস তুই!
– সে জানি। কিন্তু সব তো আর নিজের ইচ্ছে তে হয় না তাই না?
– তাহলে কার ইচ্ছে তে হয় শুনি!
– নাহ! থাক! বাদ দে।
– না না। একী! বাদ দেবো কেন? বল না শুনি।
– কিছু না ছাড় না!
– দম নেই তো! জানতাম দম নেই!
– আমাকে উস্কে লাভ হবে না।
– কেন? আগে তো হোতো!!
– এখন হবে না।
– কেন?
– আগে ইগো জিতে যেত। তাই লাভ হত। আর ওকে জিততে দিচ্ছি না।
– হুম। বল না কেন বললি ওরকম! তুই তো জানিস ব্লক টক আমি করি না।
– তুই করিস না আমি জানি। কিন্তু তোর নতুন বয়ফ্রেন্ড চাইলে তো করতে হতে পারে তাই না?
– ও এরকম করবে না!
– তাই? কী করে জানলি?
– আমি চিনি ওকে।
– আমাকেও তো চিনতিস! আমি যা যা করেছি সেগুলো ভাবতে পেরেছিলি!
– তুই কি পুরোনো কাসন্দি ঘাঁটবি বলে মেসেজ করলি আমাকে?
– একদম না। ব্লক করেছিস দেখলাম তাই মেসেজ করলাম। যাই হোক। বাদ দে।
– আমি এরকম করি না অরিত্র। তুই জানিস। আমি ব্লক জিনিসটা কতটা অপছন্দ করি। ন্যাকা ন্যাকা জিনিস সব!
– বেশ! তাহলে বোধহয় ফেসবুকের সমস্যা। ঠিক আছে। চাপ নেই।
– হুম।
– তোর পাসওয়ার্ড কি তোর বয়ফ্রেন্ড জানে?
– ফেসবুকের?
– হুম… জানে?
– হ্যাঁ। জানে বোধহয়। কী একটা দরকারে নিয়েছিল। কার একটা অ্যাকাউন্ট চেক করবে বলে।
– ওহ। আচ্ছা। বুঝলাম।
– কেন?
– না এমনি!
– আরে বল না কেন?
– আরে এমনি উফফ!
– Okay. Fine.


(আধঘন্টা পর)
– আছিস?
– বল?
– কথা বললাম ওর সাথে।
– ওহ। আচ্ছা। কী নিয়ে?
– এই তোকে ব্লক টা নিয়ে।
– ওহ। কী বললো?
– um… ইয়ে…
– কী হয়েছে?
– বললো যে…
– ও ব্লক করেছে আমাকে। তাই তো?
হ্যাঁ। আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। খুলতেই নাকি তোর পোস্ট চলে এসেছিল সামনে। তারপর তোর অ্যাকাউন্ট টা খোলে। ওটা দেখে নাকি আর থাকতে পারে নি… তাই আসলে…
– বুঝলাম।
– কিছু মনে করিস না।
– একদম মনে করছি না।
– সত্যি?
– হ্যাঁ। তুই তো এসব ব্লক টক খুব অপছন্দ করিস। তাই না?
– হুম জানিস তো তুই।
– আর ইয়ে… তুই খুব ভালো চিনিস ওকে তাই না?
– শাট আপ অরিত্র। প্লিজ।
– সরি। আর হবে না।
– বাদ দে…
– শোন… বাদ দেওয়ার আগে একটা কথা বলে যাই।
– কী?
– তোর সমস্যা টা কী জানিস?
– কী?
– তুই বড্ড পারফেক্ট গার্লফ্রেন্ড হতে চাস সব সময়। যার সাথে থাকিস তার ভালো লাগা খারাপ লাগা গুলো তোর নিজের ভালো লাগা খারাপ লাগা হয়ে যায়! তোর নিজের গুলো সব সময়ই চাপা পড়ে থাকে সেগুলোর নীচে।
– অরিত্র… প্লিজ…
– নারে সত্যি! আমার সাথে যখন ছিলি আমার ভালো লাগা গুলো তোর ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলাম। সেই জন্যেই হয়তো আজ আমরা একসাথে নেই। কিন্তু আবারও একই ভুল করছিস তুই! করিস না। প্লিজ নিজের কথা ভাব একটু!
– আমি তোকে ব্লক করছি এখানে…
– কর। চাপ নেই।
– সরি!
– 🙂

তবু মনে রেখো ৯

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি