১
অনেকক্ষন থেকেই বার বার মেসেঞ্জার টা চেক করছিল সৌনক। দেখছিল ওকে Active Now দেখাচ্ছে কিনা। মাঝে মাঝে দেখাচ্ছে কিন্তু ওর কাছে কোনো মেসেজ আসছে না। ও নিজেও ঠিক করেছিল আজ কোনো মেসেজ করবে না। সব সময় কেন ও কথা শুরু করবে? বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল কথা হচ্ছে ওর সাথে… ওর মানে… ইয়ে… ঐশীর সাথে। যদিও এখনও Whatsapp এ আছো কিনা জিজ্ঞেস করেনি সৌনক। ব্যাপার টা বড্ড গায়ে পড়া এবং ডেসপারেট। কিন্তু একদিন না একদিন তো ফোন নাম্বার চাইতেই হবে… মানে যদি সত্যিই কিছু হওয়ার ব্যাপার থাকে কেস টায়।
ঐশী… হ্যাঁ ঐশীর ওপর সৌনকের ক্রাশ অনেকদিনের। তা প্রায় দু’য়েক তো হবেই। কোনোদিনই সেভাবে Hi, Hello শুরু করতে পারেনি। আসলে এই ব্যাপার গুলো ছেলেরা এত বেশী করে যে বড্ড কমন হয়ে গেছে। ওর নিজের কলেজের বান্ধবীদের ক্ষেত্রেই দেখেছে শ’খানেক ছেলে খালি Hi, Hello লিখে পাঠায় মেসেঞ্জার এ। আর ওর বান্ধবীরা কলেজে এসে সেটা নিয়ে খিল্লি করে। তাদের বয়ফ্রেন্ড রা মেসেজে গালি দেয় ছেলেটাকে। তার ওপর ক\দিন আগেই সৌনক ফেসবুকে দেখল রাহুল নামে একটি ছেলে Hi লিখে পাঠিয়েছিল একটি মেয়েকে। মেয়েটি ফুটেজ খাওয়ার জন্য স্ক্রীনশট পোস্ট করে দিয়েছে ফেসবুকে। আর ক্যাপশন পুরো পুরুষ গোষ্ঠীর ব্যান্ড বাজিয়ে ছেড়েছে। কাজেই এই ব্যাপারে খুব সাবধান সৌনক। যদিও ঐশীর পোস্ট দেখলে মেয়েটাকে এরকম পাগল বলে মনে হয় না। অসাধারন ক্যালিগ্রাফি করে মেয়েটা। আর ছবিটাও মারাত্মক আঁকে। আর খুব ভালো ভালো গান শোনে। শেয়ার করা ভিডিও দেখে বুঝেছে এটা সৌনক।
কিন্তু এই ঐশীর সাথে তাহলে সৌনকের কথাবার্তা শুরু হল কীভাবে? হ্যাঁ বলছি বলছি। তো ঐশীর আঁকা ছবির একটা Exhibition হওয়ার কথা আছে নন্দনে। তার জন্য একটা পোস্ট শেয়ার করেছিল ও। সৌনক ওটা দেখেই একটা ছুতো পেয়েছিল কথা বলার। মেসেঞ্জার এ জিজ্ঞেস করেছিল অনুষ্ঠানের ডিটেইল। আর জিজ্ঞেস করেছিল সবাই দেখতে যেতে পারবে কিনা?
ঐশী সাথে সাথেই রিপ্লাই করেছিল। বলল, “হ্যাঁ সবাই allowed.”
সৌনক বলেছিল, “আচ্ছা Thanks.”
ঐশী একটা Smiley পাঠিয়েছিল।
সৌনক মেসেজ টা সিন করার আর একটু পর আবার মেসেজ করেছিল ওকে। বলল, “কতদিন হবে এটা? ঐ একদিনই?”
ঐশী লিখল “না শনি-রবি দু’দিন। ১৬ আর ১৭ই নভেম্বর”
সৌনক লিখল, “আচ্ছা”
প্রথম দিন সৌনক বেশী কথা বাড়ায়নি। ওর মেসেজের পর ঐশী আবার একটা ‘:)’ এরকম smiley পাঠালো। সৌনক জানে বেশী গায়ে পড়া ছেলে, মেয়েরা পছন্দ করে না। কার একটা লেখায় পড়েছিল যেন! Secular Weirdo না কি একটা বাল ছাল পেজে বোধহয়। যাই হোক, কথাটা সত্যি এটা ও জানে। কীভাবে জানে সে গল্প বলার এখন সময় নেই। এখন ঐশীর মেসেজের জন্য অপেক্ষা করছে সৌনক।
ঘড়ির দিকে দেখল সৌনক। ১১ টা ১০ বাজে। ১০ টা ১০ আব্রাহাম লিংকন মারা গিয়েছিল না? আর ১১ টা ১০ এ দ্বিতীয় দিন সৌনক গাঙ্গুলি মেসেজ করেছিল ঐশী রায়চৌধুরী কে। এটা ঐ অনুষ্ঠানের ডিটেইল নেওয়ার ঠিক পরের দিন। সৌনক জিজ্ঞেস করল, “Exhibition এর preparation কেমন চলছে?”
ও প্রান্ত থেকে লেখা হল, “ওই আর কি। চলছে একরকম!”
সৌনক লিখল, “কটা ছবি দেবেন ভাবছেন?”
ঐশী একটা হাসির স্মাইলি পাঠিয়ে বলল, “আপনি? বাবাহ! বড্ড ভদ্র তো!”
সৌনক আমতা আমতা করে লিখল, ” না… আমি মানে… কী বলব বুঝতে পারছিলাম না”
ঐশী লিখল, “আমরা Probably Same age. So তুই টাই বেটার!”
সৌনক ভাবল যাক এবার তাহলে…
এক সেকেন্ড! কী হল কেস টা? টাইপিং দেখালো না চ্যাট টা? মেসেঞ্জার এ? আজ অনেকক্ষন থেকেই অপেক্ষা করছে সৌনক। ঐশীর চ্যাট টা খুলে। সেখানেই হঠাৎ টাইপিং এর Symbol টা এলো একবার। কিছু কী জিজ্ঞেস করবে সৌনক? ওকে যদি তখন বলে আমার চ্যাট খুলে কী করছিলি তুই?
অবশ্য এটা বলার চান্স কম। কারন এখনও অবধি একদিনও ঐশী ওর সাথে Active Voice এ কথা বলেনি বাংলায়। মানে Whats up বলেছে একদিন। কিন্তু তুই/তুমি করছিস/করছো এগুলো Avoid করেছে। এটা খুব ভালো করে লক্ষ্য করেছে সৌনক।
যেমন সেদিনই সৌনক যখন মেসেজ করেছিল ঐশী কে, “Hi, কী খবর?” বলে।
ঐশী রিপ্লাই করেছিল, “এই তো exhibition er preparation চলছে। Whats up?”\
“এই তুই Ray Montagne এর গান শুনেছিস?” সৌনক জিজ্ঞেস করেছিল তারপর।
মেসেজ টা Seen করার পর কিছুক্ষন রিপ্লাই দেয় নি ঐশী। তারপর লিখেছিল, “হ্যাঁ শুনি। ওর সব কটা Album ই আছে আমার কাছে। বড্ড ভালো গায়।”
সৌনক বলল, “হ্যঁ আমি মাস খানেক আগে Youtube এ শুনলাম প্রথম। এখন তো সারাক্ষন Background এ চালিয়ে বসে থাকি।”
– হ্যাঁ খুব Calm লাগে। আমিও শুনি ওভাবেই। মাঝে মাঝে লাইট বন্ধ করেও শুনি।
– Empty শুনেছিস?
– হ্যাঁ শুনেছি। ওটা Most Favourite List এ রয়েছে।
– তাই? আর কী কী আছে ওখানে?
– John Denver আছে। Gregory Alan Isakov আছে। Owl City আছে।
– Wait. তুই John Denver শুনিস আবার Owl City ও শুনিস?
– হ্যাঁ মানে… কেন শুনব না?
– না আমি শুনি… কিন্তু আমি এই প্রথম দেখলাম অন্য আর একজনও শোনে।
– ওহ আচ্ছা। নাহ। আমার যা ভালো লাগে আমি শুনি। অত বাছবিচার করে কী হবে?
বড্ড ভালো লেগেছিল সৌনকের কথাটা। ওর বন্ধুদের জন্য এরকম বৌদিই চাই। কিন্তু সে সব তো একদিনে হবেনা। তার জন্য লেগে থাকতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে।
এরপরেও বেশ খানিকক্ষন কথা হয়েছিল ঐশীর সাথে। গান নিয়ে, ছবি নিয়ে। তখনই সৌনক খেয়াল করেছিল ঐশী একবারও তুই/তুমি জাতীয় কোনো কথা বলছে না।
আজ ঐশী কে টাইপিং দেখানোর পর সৌনক ওটাই ভাবছিল। যে কিছু জিজ্ঞেস করবে কিনা। এখনও অবধি ঐশীর সাথে দিন পাঁচেক কথা হয়েছে ওর। প্রত্যেকবারই সৌনক নিজে মেসেজ করেছে। তবে ঐশী কখনও ওকে Avoid করেনি। একদিন খালি মেসেজ Seen করে প্রায় আধঘন্টা পর রিপ্লাই দিয়েছিল। ব্যস্ত ছিল হয়তো। কিন্তু আজকের কেস টা কী হবে? আজ কী ও একটা মেসেজ করবে ঐশী কে? অনেকক্ষন হয়ে গেল Typing দেখিয়েছে। এখন তো Active 10 mins ago হয়ে গেছে।
“তুই কি কিছু বলছিলি?” মেসেজ টা টাইপ করে স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে রইলো সৌনক। ১২ টা ৫ বাজে। এত রাতে Send করা ঠিক হবে এটা? এসব ভাবতে ভাবতেই Send Button টা press করে দিল সৌনক।
২
কখনও কখনও জীবনে হঠাৎ করে এমন কেউ কেউ আসে যাদের সাথে কথা বলতেই বড্ড ভালো লাগে। এবং সেই কথা বলা টা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে মন টা একটু খারাপ হয়ে যায়। ঐশীরও আজকের অবস্থাটা সেরকম। সৌনক নামে একটি ছেলে ওকে মেসেজ করছিল কদিন ধরেই। ছেলেটি একবারের জন্যও Flirt করেনি। অর্থাৎ বাকিদের মত না। কিংবা বাকিদের থেকে আলাদা প্রমান করতে চায় নিজেকে। সে যাই হোক, ছেলেটি ভালো ছেলে বলেই মনে হল।
কিন্তু পর পর পাঁচ দিন কথা হওয়ার পর আর মেসেজ করছে না। মেসেজ করছেনা তাতে যে খুব কষ্ট হচ্ছে ঐশীর তা নয়। তাও ওই আর কি… কিছু কিছু মানুষের সাথে কথা বলতেই বড্ড ভালো লাগে। ছেলেটি ওর প্রোফাইলে রয়েছে প্রায় দু’বছর ধরে। কখনও কথা হয় নি এর আগে। ওর আঁকা বেশ কিছু ছবি তে লাইক রিয়্যাক্ট করেছে। ঐশীও ছেলেটির কিছু পোস্ট এ হয়তো লাইক টাইক করেছে। কিন্তু ব্যাস! ওইটুকুই। এছাড়া ছেলেটির সাথে কখনও কথা হয় নি এর আগে।
কিন্তু গত পাঁচদিন কথা বলতে বেশ ভালো লেগেছে। সৌনক ওকে সেদিন জিজ্ঞেস করেছিল ও Ray LaMontagne শোনে কিনা। কথাটা শুনে ও বেশ অবাক হয়েছিল। ওর ফেসবুক প্রোফাইলে প্রায় ৭০০ জন আছে। ও জানে তার মধ্যে ৫ জনও Ray LaMontagne এর নাম শুনেছে কিনা সন্দেহ আছে। হ্যাঁ তবে ওর চেনা একজন মানুষ শুনতো আগে। এখন সে শোনে কিনা ও জানেনা। কথা যে হয় না তা নয় তার সাথে। ওই আর কি… যতটুকু এক্স এর সাথে হওয়া সম্ভব। কাল না পরশু দীপ্ত ফোন করেছিল একবার ওকে। প্রায় আধঘন্টা বকবক করলো। ওর লাইফের কত সমস্যা সেসব শোনালো। দীপ্ত ইকুয়্যালস টু এক্স। পুরো সময় টা ঐশী ভাবছিল সৌনকের মেসেজ টা সিন করা হয়ে গেছে কিন্তু রিপ্লাই করতে পারছেনা ফোনের জন্য।
সে যাই হোক, এখন ব্যাপার হল ওর কী নিজে থেকে সৌনক কে মেসেজ করা ঠিক হবে? যদি Desperate মনে হয়? এখনও অবধি একদিনও তুই/তুমি দিয়ে কোনো কথা বলেনি ঐশী সৌনকের সাথে। ইচ্ছে করেই Avoid করেছে। যদিও ওর মনে হয় না ছেলেটা ওটা Notice করেছে। অবশ্য করলেও কী বলবে? কে জানে?
ঐশী একবার Hi লিখল মেসেঞ্জারে ওর চ্যাটবক্স এ। তারপর Send করতে গিয়েও করল না। সৌনক কে Active Now দেখাচ্ছে। অন্য কারুর সাথে ব্যস্ত হয়ত। থাক বিরক্ত করে লাভ নেই। পাঁচদিন কথা হয়েছে তার জন্য নিজের Self Respect বিসর্জন দিয়ে মেসেজ করতে ও পারবে না। তার চেয়ে যে যেমন আছে থাক।
আজ আর দীপ্তও জ্বালাচ্ছে না। এটা একটা শান্তির কারন। ভালো লাগে না আর ওর সাথে কথা বলতে। সারাক্ষন কেমন যেন একটা Depressing কথাবার্তা বলে। একদম পোষায় না।
Youtube টা খুলে RayLaMontagne এর গান টা Search করল ঐশী। Your Internet Connection is not working properly দেখালো Chrome. এই রে! মানে টা কী? ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল ১২ টা বেজে ১০ মিনিট। পরক্ষনেই খেয়াল হল আজ তো ওর Promo Code শেষ হওয়ার কথা ছিল। Shit. যাহ! কাল সকালের আগে তাহলে রিচার্জ হবে না আর! অর্থাৎ যদি সৌনক এর মধ্যে মেসেজ করেও থাকে, সেটাও ও পাবে না!
৩
নেট টা অফ করে ঘড়ি দিকে তাকালো সৌনক। ১২ টা ৪৫ বাজে এখন। মেসেজটা ও পাঠিয়েছিল ১২ টা ৫ এ। ডেলিভার হয়নি। ঐশী আজ ঘুমিয়ে গেছে বোধহয় নেট অফ করে। থাক! কী আর হবে। সব দিন কথা বলতেই হবে এরকম তো ব্যাপার নেই। ক্রাশই তো! গার্লফ্রেন্ড তো না রে বাবা!
কিন্তু পরে তো হতেও পারে। সৌনকের ভেতর থেকে আর একটা সৌনক বলে উঠল।
সৌনক নিজেকে বোঝালো, সে পরে দেখা যাবে! আজ বরং ঘুমিয়ে পড়ো।
ছোটো বাথরুম করতে বাথরুমে ঢুকেছিল হঠাৎ অরিত্রর ফোন এল। অরিত্র ওর বেস্ট ফ্রেন্ড! কিন্তু এত রাত্রে কেন ফোন করছে ব্যাটা।
ফোন টা ধরল সৌনক। “বল”
“কী রে? ফেসবুকের মেয়ের সাথে Busy?”
উফফ! এই ছেলেটাও মাইরি! পারে বটে। ওকে সৌনক বলেছিল ঐশীর কথা। ও বলল, “ফেসবুক কোনো প্রানী নয় অরিত্র। ওর ছেলে মেয়ে কিছুই হয় না। বুঝেছিস?”
অরিত্র কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থেকে বলল ,”হ্যাঁ সে বুঝেছি। কিন্তু তুই কি ফেসবুকের মেয়ের সাথে Busy?”
সৌনক বলল, “তুই কেন ফোন করেছিস বলবি? মা বাবা ঘুমোচ্ছে। পাশের ঘরে। বেশী কথা বললেই ভাববে আমি প্রেম ট্রেম করছি।”
– নাহ ওসব ভাববে না। কাকিমা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল তুই প্রেম করছিস কিনা। আমি বলেছি তোর শুধু ছেলেদেরই ভালো লাগে। তাই আমার সাথে ঘুরিস।
– অ্যাঁ?? কী?? কবে??
– কাল বিকেলে। কাকিমা বলল তুই নাকি রাত্রের দিকে কাকে মেসেজ করিস আর হাসতে থাকিস মেসেজ পড়ে। সেই জন্যেই আমায় জিজ্ঞেস করছিল তুই প্রেম করছিস কিনা।
– সিরিয়াসলি?
– হ্যাঁ। আমি বললাম না। ও তো Gay. ওর শুধু ছেলেদেরই ভালো লাগে।
– Oh my god!
– Yes baby. You are welcome!
এর পর সৌনক যেগুলো বলল সেগুলো আর বলছি না। স্ক্রীনে ফিনাইল দিতে হবে তাহলে।
অরিত্র বলল, “আরে বাল মজা করছি। তুই Whatsapp এ আয় একবার।”
সৌনক জিজ্ঞেস করল, “কেন?”
অরিত্র বলল, “আরে ফানুস ওড়ানো ডিপি তুলেছি কয়েকটা। কোনটা ফেসবুকে দেবো বল আমায়।”.
– এত রাত্রে?
– এত রাত্রে মানে? তুমি ফেসবুকের মামনির সাথে রাতের পর রাত গল্প করতে পারো আর বন্ধু ডাকলে এত রাত্রে? ঠিক আছে বাল আমিও মনে রাখবো।
সৌনক বলল, “উফফ! ন্যাকামো করিস না। দাঁড়া আসছি আমি।”
লাইট বন্ধ করে Net On করে বিছানায় শুয়ে Whatsapp টা খুলল সৌনক।
খোলার সাথে সাথে Ting করে একটা আওয়াজ হল ওর ফোনে। যেটার জন্য ওর মুড টা সাথে সাথে ভালো হয়ে গেল। ঐশীর মেসেজ এসেছে। মানে রিপ্লাই এসেছে। ও আগে Whatsapp খুলে Thank you বলল অরিত্র কে। তারপর গেলো মেসেঞ্জারে।
সৌনক লিখেছিল, “তুই কি কিছু বলছিলি?”
ঐশী লিখেছে, “কেন? টাইপিং দেখালো?” তারপরেই আর একটা মেসেজ। তাতে লেখা “সরি নেট শেষ হয়ে গিয়েছিল।”
সৌনক লিখল, “হ্যাঁ। একবার দেখালো মনে হল। তা এত রাত্রে রিচার্জ করলি কী করে?”
– এক্স বয়ফ্রেন্ড কে ফোনে মেসেজ করে বললাম একটু নেট টা রিচার্জ করে দিতে। কাল ফোন পে তে পাঠিয়ে দেব”
সৌনক কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে পরের মেসেজ টা খুব গুছিয়ে পাঠালো, “ওহ তোর ফোন থেকে এমনি টেক্সট মেসেজ করা যায়?”
ঐশী বলল, “সবার ফোনেই করা যায়। কেন তোরটায় যায় না?”
সৌনক বলল, “জানিনা। তবে চেষ্টা করে দেখতে পারি। তোর নাম্বারে করব?”
ঐশী বলল, “হ্যাঁ করতে পারিস। তারপর একটা 😉 এরকম স্মাইলি”
সৌনক এবার অবাক হয়ে বলল, “এই তুই আমায় এই প্রথমবার তুই করে কথা বললি আজ!”
ঐশী ২ টো মেসেজ করল। প্রথম টায় লিখল Hmm.. পরের টায় ১০ টা সংখ্যা!
“জিও!” নাহ এটা সৌনক লেখেনি। ওই ১০ টা সংখ্যা জিওর কিনা সেটাও ও জানেনা। এটা সৌনকের ভেতর থেকে বেরোনো আর একটা সৌনকের বাহবার আওয়াজ।