– হাই!
– কী করা হয়?
– আজ্ঞে ওই একটু আধটু লেখালেখির অভ্যেস আছে।
– ফেবু লেখক?
– ইয়ে… হ্যাঁ…
– নাহ। তাহলে চলবে না।
– আরে আমি তো হাই বললাম।
– সেটা যে কি মতলবে বলেছেন তা কি আর আমি জানিনা? এই তো ব্রেক আপ হয়েছে এক মাস হল। এরই মধ্যে অন্য মেয়েকে মেসেজ করছেন ফেসবুকে?
– মানে? মেয়েদের মেসেজ করা যাবে না নাকি?
– আমার সাথে থাকতে হলে করা যাবে না।
– আপনার সাথে… মানে?
– শুনুন মশাই। আপনাদের ছেলেদের সব হাই এর মানে আমরা বুঝি। ব্রেক আপের আগে আমার ফটো তে শুধু লাইক দিতেন। এখন তো লাভ রিয়্যাক্ট করেন। তারপর এক মাস তেল মেরে লাভ রিয়্যাক্ট করে এখন হাই পাঠিয়েছেন। মতলব বুঝি না ভাবছেন? সব বুঝি মশাই আমরা।
– মার গেঁড়েছে!
– এ আবার কি ভাষা। খিস্তি টা খিস্তির মত করে দিন। ন্যাকাচোদা খিস্তি আমার একদম পোষায় না।
– আচ্ছা।
– কি আচ্ছা? বলুন গাঁড় মেরেছে। বলুন বলুন।
– ইয়ে মানে… মেসেজে কী করে বলব?
– তবে কি Whatsapp e Voice Note পাঠাবেন ভাবছেন? ওসব হবে না চাঁদু। মেসেঞ্জারেই ভয়েস রেকর্ড করে পাঠান।
– আচ্ছা এই যে… পাঠাচ্ছি। *voice*
– বাহ! বেশ ভালো গলা তো!
– হ্যাঁ আসলে গলা বেচে খাই তো। তাই আসলে।
– অমনি শুরু হয়ে গেল নিজের যশ পেছনে ঘষা। হ্যাঁ হ্যাঁ জানি। আরজে তো আপনি? সব জানি। প্রোফাইল দেখেছি। আর তাছাড়া সরকারী আরজে তো। মির্চি বা রেড এফএম এর আরজের মত রোয়াব নিচ্ছেন কেন? কত টাকা দেয় আকাশবাণী?
– না মানে অনেকদিন টাকা দেয় নি। পুজোর আগে দেবে বলছে।
– ওই আশাতেই বসে থাকুন। পাঞ্জাবী আছে?
– হ্যাঁ… কি?
– পাঞ্জাবী আছে?
– এ বছর কেনা হয় নি। পুরোনো আছে।
– পুরোনো মানে তো এক্স গার্লফ্রেন্ডের পছন্দ করা। চলবে না ওসব। নতুন করে নিজের হাতে গড়তে হবে সব টা। ঠিক আছে। কাল ফ্রী?
– বলছিলাম যে আমি তো শুধু হাই পাঠিয়েছিলাম। আর তো কিছু বলিনি।
– সব কথা বলতে হয় না। যেটা জিজ্ঞেস করলাম উত্তর দিন।
– হ্যাঁ ফ্রী। কেন?
– ঠিক আছে। কাল একটা পাঞ্জাবী কিনবেন। আমার সাথে গিয়ে।
– আচ্ছা কিনবো। আপনার ফোন নাম্বার টা?
– ফোন নাম্বার কী করবেন? হাতিবাগানে স্টার থিয়েটারের সামনে অপেক্ষা করুন কাল দুপুর দু’টোর সময়। আমি পৌঁছে যাবো।
– একটা কথা জিজ্ঞেস করব?
– আবার কী কথা?
– আমি কি স্বপ্ন দেখছি?
– মানে?
– না মানে… আমি শুধু হাই পাঠালাম আর আপনি মানে… আমার পাঞ্জাবী পছন্দ করে দেবেন কাল… তাই আর কি ভাবছিলাম… এ তো পুরো স্বপ্নের মত।
– আজব বাল! এত ন্যাকামো করবেন না ছেলেদের মত!
– ছেলেদের মত?
– তবে কি মেয়েরা ন্যাকা হয়? আপনারাই তো সরাসরি প্রেম করছি কিনা জিজ্ঞেস না করে তোমার বয়ফ্রেন্ড কেমন আছে জিজ্ঞেস করেন। আর আমরা ন্যাকা?
– ইয়ে… কাল তাহলে ২ টোয় তো?
– হ্যাঁ। আর শুনুন?
– আজ্ঞে?
– কাল আকাশবাণীতে যে ব্ল্যাক শার্ট টা পরে গিয়েছিলেন ওটা পরে আসবেন।
– আপনি… মানে… কীভাবে?
– ইন্সটা তে ফটো দিলেন তো – On the Way to Akashvani. তারপর ৬৯ খানা হ্যাশট্যাগ।
– ও হ্যাঁ। তাই তো! এই সব হ্যাশট্যাগের ন্যাকামো আস্তে আস্তে বন্ধ করতে হবে। নাহলে আমি কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই আপনাকে ত্যাগ করব।
– যো হুকুম আকা!
– ন্যাকা! -_-
Secular Weirdo
Personal blog of Arnab Mondal