– এই যে দাদা?
– হ্যাঁ বলুন ম্যাডাম।
– কোন ক্লাসে পড়ালাম আপনাকে যে ম্যাডাম বলছেন?
– সরি। হ্যাঁ বলুন বলুন।
– একটু কথা ছিল আপনার সাথে।
– হ্যাঁ বলুন না।
– বলছিলাম যে অন্যান্য সময় তো – সময় নেই, এই কাজ ওই কাজ বলে লেখেন না। এখন হঠাৎ এত উৎসাহী হয়ে উঠলেন কেন? সামনে বই বেরোচ্ছে বলে?
– না আসলে… আমি তো মানে… এখন একটু ফাঁকা বসে আছি। এই আর কি।
– তাই নাকি? তা অন্য সময় কি রাজকার্য করেন আপনি?
– রাজকার্য আর কী করব বলুন। ওই তো টিভি সিরিজ দেখি, সিনেমা দেখি, আকাশবাণীর কাজ করি। এই আর কি।
– আর এখন বই বেরোবে বলে সব বন্ধ তাই না? শুধু লেখা। সব মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি। সব বুঝি আমরা।
– আচ্ছা আমি যদি গল্প দিই তাতে আপনার কী অসুবিধে বলুন তো?
– গল্প দিন না কেউ বারণ করেনি। কিন্তু এরকম ঢং করার কী আছে? “আজ কোনটা দেওয়া যায় বলুন তো? শারদ্বত না খেলা ভাঙার খেলা?” Huh! আগে তো এসব জানতে চাননি। এখন যত দরদ না? বই বেরোচ্ছে বলে।
– আরে না না। এসব আপনি কী বলছেন?
– ন্যাকাষষ্ঠী! গার্লফ্রেন্ড জানে?
– অ্যাঁ কি?
– গার্লফ্রেন্ড জানে যে আপনি ফেসবুকে অচেনা মেয়েদের সাথে কথা বলেন?
– গার্লফ্রেন্ড বলেছে বই বেরোনো অবধি প্রচুর অচেনা মেয়েদের সাথে কথা বলতে।
– তাই নাকি? ওটাও তো আর একটা স্যাম্পেল দেখছি!
– হ্যাঁ তা যা বলেছেন। ওই আর কি কষ্টে সৃষ্টে চালিয়ে নিচ্ছি।
– কী বললি গান্ডু? আমি স্যাম্পেল? আমাকে দিয়ে কষ্টে সৃষ্টে চালিয়ে নিচ্ছিস?
– মানে? আপনি কেন হতে যাবেন? আমার গার্লফ্রেন্ডের কথা বলছিলাম।
– ওরে মদন আমিই তোর গার্লফ্রেন্ড। ফেক প্রোফাইল থেকে তোর পেজে মেসেজ করে তোকে টেস্ট করছিলাম।
– হ্যাঁ? সত্যি?
– হ্যাঁ। তবে না তো কী?
– দেখি ছবি পাঠান ইয়ে গুলোর…
– What?
– চোখগুলোর? চোখগুলোর ছবি দেখান। তবে তো বিশ্বাস করব আপনি আমার গার্লফ্রেন্ড।
– তোকে আমি বিশ্বাস করাচ্ছি। দাঁড়া। -_-