।। রাজের কথা।। ডিসেম্বর , ২০১৫ ।।
অনেকক্ষন থেকেই বার বার ঘড়ি দেখছে রাজ। তবে কি ও ভুল দেখল তখন? তাহলে কী আর আসবে না ওরা? এই শীতকালের সন্ধ্যেতেও রীতিমত ঘামছে ও। পকেট থেক রুমাল টা বার করে একবার কপাল টা মুছে নিল ও। ওই তো সুলতাননগর এর আর একটা বাস আসছে। এটা তেও থাকতে পারে মেয়েটা।
ধুর! মাঝে মাঝে এই ব্যাপার টা নিয়ে বড্ড অনুতাপ হচ্ছে ওর। কেন দেখতে গেল ও অন্যের ফোনের মেসেজ? কী দরকার ছিল এটার? আর ওই বা কী করবে? ইচ্ছে করে যে দেখেছে তা নয়। নীলার্ঘ দা তখন বাথরুমে গিয়েছিল আর ওর অনেকক্ষন থেকেই মন টা খচ খচ করছিল। ধুর! না দেখলে হয়তো এই Guilt টা কাজই করত না ভেতরে। যার জন্য ডিসেম্বর মাসের এই সন্ধ্যে বেলা ওকে অন্য লোকের ওপর নজর রাখতে হচ্ছে।
নীলার্ঘ দার সাথে ওর দিদি সম্পর্ক প্রায় সাড়ে ছ’বছর। সামনের ফেব্রুয়ারী মাসেই ওদের বিয়ে ঠিক হয়েছে। আর ওর সাথেও নীলার্ঘ দার সম্পর্ক বেশ ভালো। মানে বহুবার একসাথে মাল খেয়েছে, গাঁজা খেয়েছে, সারারাত ঘুরেছে। ওর তো মাঝে মধ্যেই মনে হয় নীলার্ঘ দার বেস্ট ফ্রেন্ড বিথীন এর থেকে ও নীলার্ঘ দার বেশী কাছের। বিথীন ছেলেটি তো আবার মদও খায় না , গাঁজা তো দূরের কথা। অদ্ভুত একটা ছেলে। সব সময় বেশী ভালো সাজতে চায়। আর দেখাতে চায় ও নীলার্ঘ দার বেস্ট ফ্রেন্ড।
কথাটা ভাবার পরেই মন কে শক্ত করল রাজ। নাহ। নীলার্ঘর বেস্ট ফ্রেন্ড কে সেটা ভেবে ওর কোনো কাজ নেই। আজ ও এখানে এসেছে ওর দিদির জন্য। যদিও দিদি ওকে আসতে বলে নি এবং ব্যাপারে কিচ্ছু জানেই না। তাও ও এসেছে। যদি কিছু Surely জানতে পারে তবেই ও সব বলবে দিদি কে। তাহলে হয়তো এই বিয়েটাও ভেঙে যাবে দিদির। কিন্তু আর কিই বা Option রয়েছে ওর হাতে। নিজের দিদি কে তো ভুলভাল ছেলের হাতে তুলে দিতে পারে না।
“দেখি দেখি ভাই। সরো। রাস্তার মাঝে হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছে!”
একটা খ্যাঁচ খ্যাঁচে গলার আওয়াজে ওর ঘোর টা কাটল। পিঠে করে বিরাট ভারী কিছু বস্তা নিয়ে যাচ্ছে একটি লোক। রাস্তার মাঝে ও দাঁড়িয়ে থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই লোক টা একটু চটে গিয়েছে। ও চুপচাপ সরে এল সাইডে। ও যেখানটায় দাঁড়িয়ে আছে সেখানটা বেশ অন্ধকার। কাজেই ওকে দূর থেকে সহজে দেখা যাবে না।
মাঝে মাঝে খুব অদ্ভুত লাগছে ওর সব টা। কে নীলাদ্রি দাকে অধিকার দিয়েছে ওর দিদির জীবন নিয়ে খেলার? অথচ কাল অবধি ওর সম্পর্কে ওর ধারনা একেবারে অন্যরকম ছিল। কাল ওরা সিনেমা দেখল The Godfather. আগেই শুনেছিল সিনেমা টা দারুন। নীলার্ঘ দাই দেখালো কাল। তারপর পিৎজা খাওয়ালো ওকে। আর বাকি বিপিন বাবুর কারন সুধা তো ছিলই। সেটাও নীলার্ঘ দাই খাওয়ালো।
তারপর সকালে উঠেই সবটা যেন কেমন একটা হয়ে গেল। যদিও রাত থেকেই একটা অন্য কিছুর আভাষ রাজ পাচ্ছিল। নীলার্ঘ দা সারাক্ষনই একটু অন্যমনস্ক ছিল। আর শুধু মেসেজ আসছিল ওর ফোনে। নীলার্ঘ দা সিনেমাটাও ভালো করে দ্যাখে নি। খালি মেসেজের রিপ্লাই দিতে ব্যস্ত ছিল। ব্যাপার টা ওর একটু অবাক লাগল কারন সাধারনত ও আর নীলার্ঘ দা একসাথে রাত্রে প্ল্যান করলে ওর দিদি বেশী মেসেজ করে না ওদের। বলে তোদের প্রেমে ব্যাঘাত ঘটাবো আমি? আমার ধড়ে কটা মাথা? খুব জরুরী হলে ফোন করে দিদি ওকে। কিন্তু রাজ থাকাকালীন মেসেজ খুব একটা করে না। কিন্তু কাল সারা রাত মেসেজ এসেছে নীলার্ঘ দার। তখনই একটু সন্দেহ হয়েছিল অন্যরকম। কিন্তু গা করে নি। সকালে সাড়ে ৯ টার দিকে যখন অফিস যাবে বলে স্নানে ঢুকল ও, তখনই টেবিলে রাখা ফোনে টুং টুং শব্দ করে মেসেজ ঢুকল দু’টো।
কেন যে রাজ এরপর আস্তে আস্তে ফোন টা টেবিল থেকে নিয়ে স্ক্রল করে মেসেজ গুলো ওপেন করেছিল সেটা ও এখন নিজেও জানে না। ও দেখেছিল একটি মেয়ের মেসেজ। নাম অয়ন্তিকা। মেয়েটা কে ও চেনে। ওর দিদির এক বছরের জুনিয়র। সুলতান নগর এ থাকে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন কাজে এসেছে ওর বাড়িতে। তারপর দিদিই ওকে পলিটিক্যাল সায়েন্স পড়ার জন্য নীলার্ঘ দার নাম সাজেস্ট করে।
মেসেজ টা ছিল এইরকম – Shono na, aj tahole A-1 Fast Food Center e meet korchi 8 tay. Amar phone tay khub problem hocche bolchilam toh. Dokane dichi. Ratre ferot debe. Tarpor tomar bari te jabo. Majhe ar kotha hobe na. I love you.
মেসেজ টা দেখে মাথা থেকে পা পর্যন্ত জ্বলে উঠেছিল রাজ এর। নীলার্ঘ দা শেষ পর্যন্ত এই মেয়েটার সাথে… ছিঃ ছিঃ! দিদির সাথে বিয়ে আর মাত্র ৩ মাস পর। আর এখন? ও আর ভাবতে পারছিল না তখন। Whatsapp এ মেসেজ টা Mark as Unread করে ফোন রেখে দিল সেই টেবিলের ওপর।
A-1 Fast Food Center এর কথা ও শুনেছিল দিদির কাছেই। দোকান টা অজয়পুর বাসস্ট্যান্ড এর কাছে। ওখানে দাঁড়িয়ে আছে ও ১ ঘন্টা ধরে। সাড়ে ৮ টা বাজে প্রায়। তাহলে কী নীলার্ঘ দা আজ আর আসবে না? মেয়েটাকেও তো দেখতে পাচ্ছে না ও। তখন থেকে টানা A ONE Fast Food Center এর দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। খুব ছোট্টো একটা দোকান। বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন এসব বিক্রী হয়। আস্তে আস্তে ওর মনের মধ্যে এই ধারনা বদ্ধমূল হচ্ছে যে নীলার্ঘ দা এসব করতে পারে না। অয়ন্তিকা মেয়েটি হয়তো ভুল করে পাঠিয়ে দিয়েছে ওকে মেসেজ টা।
হঠাৎই ওর চোখ গেল পাশের একটা দোকানের দিকে। অদ্ভুত তো! এটার নাম ও A-1 Fast Food Center. তারপর ওর খেয়াল হল পাশের টা A ONE. আর এটা A-1. দু’টো আলাদা দোকান। এটাতে আবার ভেতরে বসার জায়গাও আছে। তাহলে এটার কথাই বলেছিল অয়ন্তিকা। অদ্ভুত একটা চাপা টেনশন কাজ করছে ওর মধ্যে। রাজ আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল ওই দোকানের দিকে।
।। নীলার্ঘর কথা।। ডিসেম্বর , ২০১৫ ।।
লাইট বন্ধ করে শুয়েছিল নীলার্ঘ অনেকক্ষন থেকেই। ও বুঝতে পারছে না ওর ঠিক কী করা উচিত? সকালে যেটা ঘটল ও সেটার জন্য ও তৈরী ছিল না একেবারেই। ও বাথরুম থেকে বেরোনোর আগেই রাজ হঠাৎ বলল, “নীলার্ঘ দা আমি আসছি। একটু কাজ আছে।”
তখনও ওর স্নান শেষ হয় নি। হঠাৎ কেন বেরিয়ে যাচ্ছে বুঝতে না পেরে ও যখন কোনোরকমে গামছা জড়িয়ে বেরিয়েছে ততক্ষনে বেরিয়ে গেছে রাজ। হঠাৎ টেবিলের দিকে চোখ যেতেই নীলার্ঘর হঠাৎ মনে হল একটা ছোটো লাইট যেন হঠাৎ নিভে গেল। বলা বাহুল্য লাইট টা ওর ফোনের স্ক্রীনের ছাড়া আর কিছুরই হতে পারে না।
ওর বুক টা ধ্বক করে উঠল। তাহলে কি মেসেজ দেখল রাজ? পুরো কেস হয়ে যাবে তাহলে। তাড়াতাড়ি করে ফোন টা টেবিল থেকে তুলে নিল। ২ টো মেসেজ। একটা শ্রাবন্তীর আর একটা অয়ন্তিকার। নাহ! একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল নীলার্ঘ। পরক্ষনেই শ্রাবন্তীর মেসেজ টা দেখেই চমকে উঠল ও। শ্রাবন্তী লিখেছে, “Ki re? Snan e jasni ekhono?”
স্নান এ যাস নি মানে? কেন যাবে না? এই মেসেজ টা কেন করল শ্রাবন্তী? তাহলে কী ওকে অনলাইন দেখাচ্ছিল? তাহলে কি সত্যিই রাজ ফোন টা খুলে মেসেজ দেখল? পেটের ভেতর টা কেমন যেন খালি খালি লাগছিল নীলার্ঘর। ইসস! যদি অয়ন্তিকার মেসেজ টা দেখে থাকে সব শেষ! আর ২ মাস পরেই ওর বিয়ে। সবটা ঘেঁটে যাবে। সব টা। ধুর! কেন যে অন্য একজনের সাথে জড়ালো ও? বেশ তো ছিল সব। এভাবে ছড়িয়ে ছিয়াত্তর না করলেই বোধহয় ভালো হত।
অয়ন্তিকা প্রথম থেকেই বেশ ফরওয়ার্ড। সোজা কথা সোজা ভাবে বলে। ক’দিন পলিটিক্যাল সায়েন্স পড়তে এসেই ওকে জানিয়েছিল যে নীলার্ঘ কে ওর ভালো লাগে। এবং এভাবে পড়া কন্টিনিউ করা ওর পক্ষে সম্ভব নয়। মাসে মাসে ১২০০ টাকা করে দিত অয়ন্তিকা। এই ইনকাম সোর্স টা বন্ধ হয়ে যাবে ভেবেই সম্ভবত নীলার্ঘ অয়ন্তিকা কে বলেছিল, “এক হাতে কখনও তালি বাজে না। আর আমার দিক থেকে কখনও কোনো কিছু ঘটবে না সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আমি প্রোফেশনাল লাইফ আর পারসোনাল লাইফ কখনও এক করি না।”
অয়ন্তিকা শুধু বলেছিল, “বেশ। তাহলে আমার কোনো চাপ নেই।”
তারপর হঠাৎ একদিন পলিটিক্যাল সাইকোলোজি বোঝানোর সময় অয়ন্তিকা হঠাৎ করে ওর ঠোঁট টা নিয়ে আসে ওর ঠোঁটের কাছে। তারপর… তারপর আর নিজেকে আটকাতে পারে নি নীলার্ঘ। নিজেকে অদ্ভুতভাবে সঁপে দিয়েছিল অয়ন্তিকার শরীরের ওপর।
তবে সব দোষ তো অয়ন্তিকাকে দিলে হবে না। ওর নিজের কী কম দোষ? ও যেদিন থেকে জেনেছে ওর প্রতি অয়ন্তিকার চাপ রয়েছে সেদিন থেকে আরও ভালো করে পলিটিক্যাল সায়েন্স টা পড়াতে শুরু করেছে ও। আগে থেকে স্টাডি করে রাখত খুব ডিটেলে। কিচ্ছু বাদ দিত না। আর অয়ন্তিকার সাথে যেটা ঘটল সেটা তো প্রথম দিনের পরেই। কিন্তু থামতে ইচ্ছে করেনি নীলার্ঘর। অন্যরকম একটা নেশাতে পেয়েছিল ওকে।
হঠাৎই ফোনের আওয়াজে চিন্তার তার কাটল ওর। আজ আর অফিস যায় নি ও। শরীর খারাপ লাগছে বলে ছুটি নিয়েছে। বাবার চেনা জায়গা। বাবা ছিল বলেই চাকরি টা হয়েছে নাহলে তাও হত না। শ্রাবন্তী ফোন করছে। এতক্ষনে বোধহয় রাজ যা বলার সব বলে দিয়েছে। ফোন টা ধরবে কিনা ভাবতে ভাবতে কখন যে ধরা হয়ে গেছে ও সেটা খেয়ালও করে নি।
“হ্যালো?” – ধরা গলায় বলল নীলার্ঘ
ও প্রান্ত থেকে শ্রাবন্তীর আওয়াজ শোনা গেল, “এই তোর কি শরীর খারাপ?”
– না তো! কেন?
– তাহলে অফিস গেলি না কেন?
এটা কী হচ্ছে? এরকম নরম্যাল ভাবে কেন কথা বলছে শ্রাবন্তী? তাহলে কি রাজ কিছু বলে নি? নাকি ও দ্যাখেই নি। এমনি এমনি প্যানিক করল নীলার্ঘ?
– হ্যালো? হ্যালো? – ও প্রান্ত থেকে অধৈর্য গলা ভেসে এল শ্রাবন্তীর
– সরি… ও হ্যাঁ… অফিস গেলাম না ফাঁকি মারতে ইচ্ছে করছিল বলে। তুই কি করছিস?
– তোর টাকা ওড়াচ্ছি।
– অ্যাঁ! মানে?
– এই তো নেটফ্লিক্স অ্যান্ড চিল বেবি। তোর অ্যাকাউন্ট তো এটা। তাই বললাম।
– ওহ আচ্ছা। বেশ বেশ কর। আমিও খুলি।
– এখন? দরজা-জানলা বন্ধ আছে তো?
উফফ! শ্রাবন্তীর ফাজলামো গুলো কখনও বন্ধ হবেনা। হেসে ফেলল নীলার্ঘ। ওর টেনশন টা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।
নীলার্ঘ বলল, “হ্যাঁ রে সব বন্ধ করেই নেটফ্লিক্স খুলব। বাল একটা তুই!”
– জানি তো। ঠিক আছে মজা করো। টাটা।
– একদম। টাটা।
ফোন টা রেখেই ঘড়ির দিকে দেখল নীলার্ঘ। সাড়ে সাতটা প্রায়। ভেবেছিল আর যাবেনা A-1 Fast Food Center এ। কিন্তু সেটা তো আর অয়ন্তিকা কে জানানো সম্ভব হল না বলে নিজেরই খারাপ লাগছিল। এখন বুঝল যে চাপের কিছু নেই। রাজ কিছুই দ্যাখে নি। যাওয়া যেতেই পারে দেখা করতে। ভয়ের কোনো কারণ নেই।
।। রাজের কথা ।। ফেব্রুয়ারী, ২০১৬।।
রাজের সারা বাড়িতে একটা উৎসবের মহড়া। আজ ওর দিদির সাথে নীলার্ঘ দার বিয়ে হচ্ছে। সবাই প্রচন্ড খুশি। সবাই বললে ভুল হবে। রাজ বাদে বাকি সবাই। ও আজও ঠিক সব টা মেনে নিতে পারছে না ব্যাপার টা। কোনো ভাইই হয়তো পারবে না। সেদিন ডিসেম্বর মাসের সন্ধ্যেবেলা A-1 Fast Food Center থেকে হাত ধরে বেরোতে দেখেছিল ও নীলার্ঘ দা আর অয়ন্তিকা কে। তখন আর ওর একটুও বুঝতে বাকি ছিল না সব টা।
সাথে সাথে দিদি কে ফোন করেছিল ও। দিদির সব টা জানা জরুরী।
“এই এদিকে আয়! মালা বদল হবে এবার!”
হঠাৎ পিসিমার ডাকে রাজের সম্বিৎ ফিরল। ও এগিয়ে গেল মণ্ডপের দিকে। মালা বদল না ছাই। গলায় দড়ি পরিয়ে বের করে দেওয়া উচিত নীলার্ঘ দা কে। ওর যোগ্যতা নেই দিদি কে বিয়ে করার। কাছে এগিয়ে গিয়ে দেখল মালা বদল শুরু হয়ে গেছে। শেষবার নীলার্ঘ দার গলায় মালাটা পরিয়ে ওর দিকে তাকাল দিদি। দিদির মুখে একটা স্নিগ্ধ হাসি। যেন কোনো কিছু নিয়েই কোন চিন্তা নেই। দিদির সেই রাত্রের কথাটা আবার মনে পড়ল রাজ এর।
হাঁফাতে হাঁফাতে সব টা বলার পর ও প্রান্ত থেকে ফোনে দিদি শান্ত গলায় বলেছিল,
“আমি জানি রাজ। আমি সবটাই জানি।”