– ওই?
– হুম?
– সেই হুম?
– মানে?
– কিছু না। একটা কথা বলতে মেসেজ করলাম।
– কী রে?
– আমার সিনেমা বেরোচ্ছে কাল?
– তাই? এতো দারুন খবর রে!
– হুম।
– যাক শেষ অবধি পরিচালক হিসেবে পেয়েই গেল বাংলার দর্শক তোকে।
– হ্যাঁ। সেটাই। তবে বাংলার দর্শক আমায় রাখে কিনা সেটাই এখন দেখার।
– আরে রাখবে রাখবে। খুব ভালো লাগল তুই খবর টা জানালি।
– হুম।
– এবার হুম কেস টা কী বললি শুরু তে সেটা বল।
– আরে তেমন কিছু না। বছর খানেক আগে অবধি আমি যখন ‘ওই’ বলে মেসেজ করতাম তখন তুই রিপ্লাই করতিস ‘হুম’। তারপর আস্তে আস্তে সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আজ হঠাৎ সেই রিপ্লাই টা পেয়ে একটু অবাক হলাম। তাই আর কি…
– বুঝলাম। পাঁচ বছর হয়ে গেল এখনো মনে রেখেছিস তুই?
– হ্যাঁ ওই আর কি!
– বৌ এর কী খবর?
– বিয়ে হয়নি তো!
– আরে মৌসুমীর কথা বলছি। তোর ইয়ে..
– ওহ আচ্ছা। ব্রেক আপ হয়ে গেছে রে।
– সে কি? কেন?
– সিনেমাটা বানানোর জন্য সময় দিতে পারছিলাম না একদম। এভাবে আমার সাথে থাকতে পারবে না জানালো।
– কবে হয়েছে এটা?
– বছর তিনেক হয়ে গেল।
– জানাস নি তো?
– বেস্ট ফ্রেন্ড যখন নিজে থেকে দূরে সরে যায়, তখন জোর করে তাকে কাছে টানার চেষ্টা করে কী লাভ?
– তুই জানিস আমি কেন সরে গিয়েছিলাম। মৌসুমী আমাদের নিয়ে ভুলভাল ভাবতো। ভাবতো তুই আমায় Priority দিস। ওর চেয়েও বেশী। তাই আমি চাইনি তোদের মধ্যে ঝামেলা হোক।
– মৌসুমী তো ভুল কিছু ভাবতো না।
– মানে? আমাদের মধ্যে কখনও কিছু হয় নি। আমি কোনোদিনই এসব…
– নাহ। ওটার কথা বলছি না।
– তাহলে?
– Priority যে আমি তোকে বেশী দিতাম। এটা ও ঠিকই ভাবতো।
– কিন্তু… কেন?
– ছাড় না বাদ দে… কাল আমার ছবির প্রিমিয়ার। গেলে বলিস। Couple টিকিট দিয়ে দেবো।
– লাগবে না।
– ওহ আচ্ছা। ঠিক আছে। ভালো থাকিস রে।
– ছাগল… আমার Couple Ticket লাগবে না বললাম। তুই নিয়ে গেলে তোর সাথে যেতে পারি।
– তুই… আমার সাথে যাবি?
– হ্যাঁ। যেতেই পারি। একটা শর্তে।
– কী শর্তে?
– একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আমার।
– বল…
– কেন আমাকে বেশী Priority দিতিস?
– কারন… “আমার মতে… তোর মতন কেউ নেই”