– শোন…
– আমি ঠিক দেখছি তো?
– মানে? কী হল?
– না মানে এত মাস পরে পুরোনো ইয়ে মেসেজ করছে তো তাই ভাবছিলাম আর কি।
– কি ভাবছিলি?
– ভাবছিলাম যে আজ কার মুখ দেখে উঠেছি সকালে।
– গার্লফ্রেন্ডের হয়তো।
– নাহ। বোধহয় জেনিফার এর।
– কে সে?
– এসকর্ট সার্ভিস থেকে পাঠায় ওকে। আমার খুব প্রিয়।
– What?
– যাই হোক। আমার কথা ছাড়। তোর কথা বল!
– এসকর্ট সার্ভিস? সিরিয়াসলি?
– আরে বেটার দ্যান সোনাগাছি। আর সবাই ভালো দেখতে বেশ।
– Oh My god! কত নিচে নামবি তুই আর?
– আরে ৪ তলার ফ্ল্যাট টায় গরম লাগতো। তাই দোতলার টা নিয়েছি রিসেন্টলি। সেম বিল্ডিং। আর নীচে নামবো না।
– জোক ছিল? হাসব?
– নাহ নাহ। সত্যি আমি দোতলার টায় থাকি এখন
– আচ্ছা শোন, একটা দরকারে মেসেজ করলাম তোকে।
– হ্যাঁ বল।
– আমার একটা আনারকলি আর একটা ড্রেস তোর কাছে আছে। ২ টো ইনারওয়্যারও থাকার কথা।
– হুম। থাকতে পারে। কেন?
– ওগুলো আমার লাগবে।
– সবগুলোই লাগবে?
– হ্যাঁ। কেন? তুই কি পরছিস ওগুলো?
– নাহ। ওগুলো আমার হয় না। বুকের কাছ টা লুজ হয়।
– Shut Up. ওগুলো আমাকে কবে ফেরত দিতে পারবি বল।
– হঠাৎ এগুলো কেন লাগবে রে? নতুন বয়ফ্রেন্ডের ফ্ল্যাটে রাখতে যাবি?
– নাহ। এসকর্ট সার্ভিসে মাঝে মধ্যে এসব ড্রেস পরে যেতে হয়।
– What?
– Kidding. আরে আমার কয়েকটা বিয়ে বাড়ি আছে সামনে। সেই জন্যেই লাগবে ওগুলো।
– ওহ! আচ্ছা। ঠিক আছে। নিয়ে যাস।
– এই না না। আমি অতদূর যেতে পারব না।
– মানে? আমি দিতে যেতে পারব না তোর বাড়ি অবধি।
– তাহলে মাঝপথে কোথাও মিট কর। প্লিজ।
– উফফ! বড্ড ঝামেলা পাকাস তুই।
– জানি আমি। এই তো শেষবার। আর তো পাকাবো না।
– ঠিক আছে ঠিক আছে। তুই ব্যারাকপুর থেকে আসবি তো?
– হ্যাঁ।
– তাহলে বিধাননগর স্টেশনে দেখা কর। মানে উল্টোডাঙা তে।
– ঠিক আছে। তাই হবে। কবে আসবি?
– সামনের শনিবার হবে তোর? বিকেলে?
– এই না না। শনিবার টা দেরী হয়ে যাবে। তুই মঙ্গলবার কর।
– উফফ! আচ্ছা ঠিক আছে। তাই যাচ্ছি।
– আর একটা অনুরোধ আছে।
– আবার একটা? বলে ফ্যাল।
– একটু স্টেশনের ওপরে আসবি। আর নীচে যেতে হবে না তাহলে আমায়। পা’য়ে একটা মোচড় লেগেছে কয়েক দিন আগে। খুব ব্যাথা।
– যেতে হবে! কী আর করা যাবে। বাইক নিয়ে যাওয়া যাবে না তাহলে এই আর কি।
– কেন? ওখানে পার্কিং নেই?
– না। ঠিক আছে। চাপ নেই। আমি ওপরেই যাবো!
– Thank you রে।
– ঠিক আছে। কি আর হবে। লোকজন একটা সুন্দরী মেয়েকে আমার সাথে দেখে ফ্রাস্ট্রু খাবে। দেখতে মজাই লাগবে!
– ধুর!মোটেই ওরকম কিছু হবে না।
– ঠিক আছে। দেখিস। হাত ধরলে হাঁ করে তাকিয়ে থাকবে লোকে!
– Wait Wait! তুই হাত ধরবি আমার?
– Um.. না মানে…. তুই বারন না করলে ধরতেই পারি।
– আচ্ছা ঠিক আছে। এটুকু অ্যালাউ করা যেতেই পারে।
– তাতেও যদি লোকজন না তাকায় তাহলে আমি অন্য জায়গাতেও ধরতে রাজি।
– ওসব আমার সাথে চলবেনা চাঁদু। জেনিফার কে ধরবে যাও।
– কে সে?
– মানে? এই তো বললি!
– কখন?
– আরে ওই তো এসকর্ট না কি যেন একটা।
– ওহ হ্যাঁ। রাইট।
– এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলি?
– আসলে কি নাম বলেছি খেয়াল ছিল না।
– তবে যে বললি তোর প্রিয় মেয়েটা!
– আরে এত জেরা করছিস কেন? মঙ্গলবার দেখা হচ্ছে তাহলে।
– দাঁড়া একমিনিট। তুই ওটা সত্যি বললি না গল্প দিলি?
– কি যায় আসে। তোর আনারকলি নিয়ে আমি পৌঁছে যাবো পরশু।
– আর ড্রেস টা?
– হ্যাঁ ড্রেস টা। আর ইনারওয়্যার গুলো। সব দিয়ে দেবো ওই দিন।
– নাহ। ইনারওয়্যার গুলো থাক।
– কেন?
– ওগুলো তুই পরবি। ছাগল! কেন জানিস না?
– নাহ সত্যি জানি না।
– ঠিক আছে। আসতে হবে না তোকে। ছাড়!
– আরে! কী হল?
– কিছু হয় নি। আসতে হবে না।
– মানে? কেন?
– তোর ঝামেলা বাঁচিয়ে দিলাম। খুশি তো?
– এরকম করছিস কেন? রেগে যাস না প্লিজ। আমি হাত ধরব না। প্লিজ আয়।
– রেগে যাইনি তো! কে বলল রেগে গেছি?
– তাহলে যেতে বারন করছিস কেন?
– কারন আমি যাবো তোর বাড়ি।
– তুই বিকেলে ব্যারাকপুর থেকে সল্টলেক আসবি? আবার অতটা ফিরবি কী করে?
– ফিরতেই হবে? থেকেই যাই না। জামাকাপড় তো ওখানেই আছে।
– তুই আনারকলি বা ড্রেস পরে থাকবি ঘরের ভেতর? পাগল নাকি রে?
– উফফ! তোর দ্বারা না প্রেম টা জাস্ট হবে না।
– ওহ আচ্ছা আছা! বুঝেছি বুঝেছি! মানে ইনার–
– থাক। আর এক্সপ্লেন করতে হবে না। ছাগল একটা। -_-

তবু মনে রেখো ৮

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


One thought on “তবু মনে রেখো ৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি