ব্যারিস্টার মল্লিক একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। কেস টা ক্রমশ জিলিপির মত প্যাঁচালো হয়ে যাচ্ছে। উনি বললেন, “আচ্ছা, মিস্টার বর্মন আমাকে একটা কথা বলুন, আপনার মত তিরিশ বছরের কমবয়সীর ছেলের কীভাবে ওই ৭০ বছরের বৃদ্ধা মহিলার সান্নিধ্য ভালো লাগত?”
রাজ এবার হাত দিয়ে মুখটা চেপে দু’দিকে ঘাড় নাড়তে নাড়তে বলল, “আমি জানিনা। আমি… সত্যি জানি না। প্রথমবার যাওয়ার পরেই উনি আমাকে আবার যেতে বলেন। শুধু যেতে বলেন বললে ভুল হবে রীতিমত জোর করেন যাওয়ার জন্য। উনি বলেন আমার সাথে কথা বলে নাকি ওঁর খুব ভালো লেগেছে। আমি… আমি এরপর আর না করতে পারিনি। ওই যে আপনাকে বললাম না একটু আগে, আমি সেই সব মানুষদের দলে পড়ি যারা সহজে কাউকে না বলতে পারে না।”
ব্যারিস্টার মল্লিক কিছু বললেন না। রাজ একটু থেমে আবার নিজেই বলল, “তবে একটা কথা আমি না বলে পারছি না। জানিনা আমাকে আপনি কী ভাববেন। তিন-চার বার ওঁর সাথে সময় কাটানোর পর আমার নিজেরই ওঁকে খুব ভালো লেগে গিয়েছিল। আসলে… আমি ছোটোবেলাতেই আমার বাবা মাকে হারিয়েছি। আমার এক দূর সম্পর্কের কাকিমা আমায় মানুষ করেছেন। আমি জানিনা কেন… ওঁর সাথে কথা বলে আমি যেন সেই মায়ের একটা স্নেহের আভাস পেয়েছি।”
ব্যারিস্টার মল্লিক নিজের চশমাটা চোখ থেকে খুলে মুছে নিলেন শার্ট দিয়ে। তারপর আবার পরে নিয়ে বললেন, “ঠিক আছে। তার মানে আপনি বলছেন ব্যাপার টা সাইকোলজিকাল। হুম। কিন্ত কোর্ট কি আর এতে সন্তুষ্ট হবে? আচ্ছা মিস্টার বর্মন, মিস ইন্দিরা রায়চৌধুরী ঠিক কবে আপনাকে ওঁর ব্যাবসার দেখভালের কথা বলেছিলেন?”
– তিন চার বার ওঁর বাড়ি যাওয়ার পর উনি একদিন আমায় ডেকে বললেন উনি নিজের এত টাকা নিয়ে কী করবেন জানেন না। ব্যবসা একটা আছে ছোটো। কিন্তু কাউকে ভরসা হয় না। তাই আমি যদি দায়িত্ব নিই তাহলে উনি নিশ্চিন্ত মনে ব্যবসাতে বেশী করে ইনভেস্ট করতে পারেন।”
– কিন্তু বাড়ির পরিচারিকা অপর্ণা তো বলছে উনি নিজের ব্যবসা নিজেই দেখতেন। এবং ব্যাপার টা নাকি বেশ উৎসাহ নিয়েই করতেন।
– সে তো আমি বলতে পারবো না। আমাকে যেটা বলেছিলেন সেটাই আমি বললাম।
ব্যারিস্টার মল্লিক এর কাছে আস্তে আস্তে পরিস্কার হচ্ছে অনেক টাই। রাজ যে সত্যি নির্দোষ এই ধারনাটা ওঁর মনে বদ্ধমূল হচ্ছে। উনি এই ধরনের বিত্তবান মহিলাদের অদ্ভুত খেয়ালের ঘটনা আগেও দেখেছেন। রাজ এর মত একজন কমবয়সী ছেলেকে দেখে উনি নানা ছুতোয় ডেকে পাঠালেন নিজের বাড়িতে। তারপর নিজের ব্যবসার ভার তুলে দিতে চাইলেন ছেলেটির ওপর। ছেলেটিও এত স্নেহ এবং বিশ্বাস দেখে আপ্লুত হয়ে লুফে নিল সেই প্রস্তাব।
ব্যারিস্টার মল্লিক বললেন, “তা আপনি ওর অনুরোধে ওঁর ব্যবসার কাজ দেখেছিলেন তো?”
রাজ বলল, “হ্যাঁ দেখছিলাম।”
“দেখুন মিস্টার বর্মন” বললেন ব্যারিস্টার মল্লিক, “এরপর আমি আপনাকে যে প্রশ্ন টা করব সেটা খুব ভেবে চিনতে উত্তর দেবেন। খুব সিরিয়াস এই বিষয় টা। আর যা বলবেন সত্যি বলবেন।”
রাজ ঘাড় নাড়ল। ব্যারিস্টার মল্লিক বললেন, “আচ্ছা আপনাকে একজন বয়স্ক মহিলা নিজের ব্যবসার সব ভার দিয়ে দিলেন। এত টাকা একসাথে হ্যান্ডেল করতে গিয়ে কোনোদিন একবারের জন্যেও কি কিছু টাকা নিজের কাজের জন্য সরিয়েছেন? মানে কোনোভাবে কোনো হিসেবে গরমিল করেছেন কখনও?”
– কোনোদিন করিনি।
– Sure? দেখুন যদি করে থাকেন আমাকে আগে থেকে বলে দিন। কারন এর কোনো রেকর্ড থাকলে কিন্তু বিরোধী পক্ষের উকিল সেটা তুলে ধরবেন। কাজেই আমার আগে থেকে তৈরী থাকা জরুরী।
– আমি বললাম তো। কোনোদিন একটা টাকাও আমি সরাই নি। ইন্দিরা রায়চৌধুরী আমায় যা মাইনে দিতেন তাতেই আমার চলে যেত। হিসেব পত্র চেক করতে পারেন আপনি। একটা গরমিল পাবেন না।
– Good. আশা করব এই ব্যাপারে মিথ্যে বলার মত বোকা আপনি নন।
– আমি মিথ্যে বলছিনা। আর আমি জানি আমার কেসের ক্ষেত্রে সব থেকে দুর্বল দিক হচ্ছে মোটিভ। আমাকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু কোনো মোটিভ পাবেনা পুলিশ। আচ্ছা… ধরে নিন যে আমি না হয় মিস ইন্দিরা রায় চৌধুরীর ব্যবসা থেকে লুকিয়ে টাকা সরাই। তাহলে আমি কেন ওঁকে খুন করে নিজের এক্সট্রা ইনকামের পথ টা বন্ধ করব?
ব্যারিস্টার মল্লিক এবার অবাক চোখে তাকালেন রাজ এর দিকে। ওঁর চোখ থেকে চশমাটা নেমে গিয়েছিল নাকের ডগার দিকে। আঙুলে করে সেটা ওপরে তুলে দিয়ে উনি বললেন, “আপনি সত্যি জানেন না?”
রাজ ভুরু কুঁচকে বলল, “মানে? কী জানবো?”
– মিস ইন্দিরা রায় চৌধুরী যে উইল করে গিয়েছেন তাতে সব থেকে লাভবান হবেন আপনি।
“What?” রাজ এবার ছিটকে গেল নিজের জায়গা থেকে, “মানে… মানে উনি ওঁর সব সম্পত্তি আমাকে দিয়ে গেছেন?”
ব্যারিস্টার মল্লিক সম্মতিসূচক ঘাড় নেড়ে বললেন, “তার মানে আপনি বলছেন আপনি এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না?”
– আমি সত্যি জানতাম না বিশ্বাস করুন। মানে… কেনই বা উনি… আমাকে…
– আমি যদি আপনাকে বলি আপনি জানতেন। অন্তত পরিচারিকা অপর্ণা তো তাই বলছে। উইল করার আগে ওকে সব জানিয়েছিলেন ইন্দিরা দেবী এবং এও নাকি বলেছিলেন যে আপনার সাথে কনসাল্ট করেই উনি সব করেছেন।
– না না না। আমি জানতাম না। ও মিথ্যে কথা বলছে। না দাঁড়ান। আপনাকে বরং সব টা বলি।
ব্যারিস্টার মল্লিক বললেন “বলুন”
রাজ বলল, “দেখুন অপর্ণা খুব বিশ্বস্ত একজন পরিচারিকা। নিজের মালকিন কে খুব ভালোবাসতেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ও আমাকে খুব একটা পছন্দ করত না। ও খুব সন্দেহবাতিক ছিল আমাকে নিয়ে। আসলে হঠাৎ করে একজন অচেনা লোক এসে ওর মালকিন এর বেশী বিশ্বস্ত হয়ে যাচ্ছে এই ব্যাপার টা ও ঠিক নিতে পারেনি। আমার মনে হয় ইন্দিরা দেবী ওঁর সাথে উইল নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আর ও হয়তো ভেবেছে আমি ওর মালকিন এর Brainwash করে ওকে দিয়ে নিজের নামে সম্পত্তি লিখিয়ে নিচ্ছি।”
– ভেবেছে কেন বলছেন? ও এমনি এমনি আপনার নামে মিথ্যে বলতে পারে না?
– না না। ধুর! এমনি এমনি কেন বলবে?
– জানিনা। তবে ও কিন্তু আপনাকে একদম পছন্দ করে না।
রাজ বলল, “বুঝতে পারছি এবার আমি। ও তাহলে কোর্টে এটাই বলবে যে আমি ইন্দিরা দেবী কে ভুল ভাল বুঝিয়ে নিজের নামে সম্পত্তি লিখিয়ে নিয়েছি। তারপর যেদিন বাড়িতে কেউ ছিল না সেদিন ওকে খুনে করেছি। তাই না?”
– বাড়িতে কেউ ছিল নার ব্যাপার টা একটু ভুল বললেন আপনি। সেদিন কিন্তু বাড়িতে লোক ছিল।
– কে ছিল?
– ওই অপর্নাই ছিল।
– মানে? তাহলে ও খুনী কে Identify করতে পারছেনা কেন?
– কারন ও খুনী কে দেখেনি। ও একটু বেরিয়েছিল কিছু কেনাকাটা করতে। ও যখন ফিরেছে তখন বাজে সাড়ে ন’টা। পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে ও জিনিসগুলো রেখে ও আবার বেরোয়। একটা জিনিস আনতে ভুলে গিয়েছিল বলে। তখন ও শোনে ইন্দিরা দেবীর ঘর থেকে কথা বলার আওয়াজ আসছে। একটা গলা ও বুঝতে পারে। ইন্দিরা দেবীর গলা। আর একটা গলা ছিল একজন পুরুষের। কিন্তু কার সেটা ও বুঝতে পারেনি।
– এক সেকেন্ড। আপনি বললেন সাড়ে ন’টা?
– হ্যাঁ ঐ সময়েই মার্ডার টা হয়।
রাজ এবার চেঁচিয়ে উঠল, “তাহলে… তাহলে তো আমি বেঁচে গেছি। আমি তো ওই সময় বাড়িতে ছিলাম। মানে ৯ টা বাজবার মিনিট পাঁচেক আগেই আমি বাড়ি ঢুকে গিয়েছিলাম। আমার তো অ্যালিবাই আছে। আমার স্ত্রী রুক্মিনী ছিল বাড়িতে। ও বলতে পারবে। যাক বাবা! বাঁচা গেল। উফফ!”
রাজ খেয়াল করল না ব্যারিস্টার মল্লিকের চোখে মুখে তখনও কোনো উৎফুল্লতার ছটা দেখা যাচ্ছে না। উনি গম্ভীর গলায় বললেন, “তাহলে আপনার কী মনে হয়? কে খুন করল ইন্দিরা দেবী কে?”
– কে আবার? কোনো চোর-টোর হবে। চুরি করতে এসে ধরা পড়ে গিয়েছিল হয়তো। এটাই তো পুলিশ ভেবেছিল প্রথমে। একটা রড দিয়ে মাথায় মারা হয়েছিল শুনেছিলাম। আচ্ছা ওতে আঙুলের ছাপ পাওয়া যায় নি কারুর?
– নাহ। রক্তমাখা রড টা বডির কাছে পাওয়া গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আঙুলের কোনো ছাপ পাওয়া যায় নি।
– আর কিছু জিনিস তো চুরিও গিয়েছে বোধহয়। আমি বলছি শুনুন এটা চোরেরই কাজ। শুধুমাত্র ওই অপর্ণার জন্য পুলিশ আমাকে অ্যারেস্ট করল।
“নাহ” দু’দিকে ঘাড় নাড়লেন ব্যারিস্টার মল্লিক, “ব্যাপার টা অতটা সহজ হবেনা। যে চুরি গিয়েছে সেগুলো নিতান্তই গুরুত্বহীন জিনিস। চোর নিলে ওসব নিতো না। আর তাছাড়া আপনি বলছেন আপনি ন’টার আগে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাহলে অপর্ণা কাকে কথা বলতে শুনল ইন্দিরা দেবীর সাথে? চোরের সাথে নিশ্চয় খোশগল্প জুড়বেন না উনি।”
রাজ একটু ভেবে বলল, “তা আমি জানিনা… কিন্তু আমার তো অ্যালিবাই আছে। আমার তো আর চাপ নেই তাই না? আপনি আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলে দেখুন। ও একই কথা বলবে।”
– হ্যাঁ সে তো বলব। আগেই বলা উচিত ছিল আমার। কিন্তু উনি সম্ভবত ছিলেন না বাড়িতে যখন আপনাকে অ্যারেস্ট করা হয়।
– নাহ। ওর একটা বন্ধুর কাছে গিয়েছিল দিল্লীতে। আজ রাত্রেই ফিরবে ও। ও খবর পেয়েছে একটু দেরীতে।
– হুম।
– আপনি আর ভাববেন না। আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলুন। বুঝতে পারবেন আপনি নির্দোষ।
ব্যারিস্টার মল্লিক বললেন, “আপনি আপনার স্ত্রী কে খুব বিশ্বাস করেন। তাই না?”
রাজ বলল, “এ আবার কেমন প্রশ্ন? অবশ্যই করি। ও আমাকে খুব ভালোবাসে। আমার জন্য সব করতে পারে।”
রাজ কথাটা খুব উৎসাহ নিয়ে বললেও ব্যারিস্টার মল্লিক এর মুখ টা আবার গম্ভীর হয়ে গেল। একজন স্ত্রী যে তার স্বামী কে এত ভালোবাসে, তার সাক্ষ্য কী কোর্ট বিশ্বাস করবে? খুব কাজ কী হবে এতে?
“আচ্ছা মিস্টার বর্মন” ব্যারিস্টার মল্লিক বললেন, “আপনার স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ দেখেছে আপনাকে ওই সময় বাড়িতে ফিরতে?”
“অন্য কেউ…” রাজ একটু ভাবল। তারপর বলল, “নাহ। অন্য আর কেউ তো দেখেনি?”
– কেউ না? মানে রাস্তায় কোন পরিচিত লোকের সাথে দেখা হয় নি আপনার? পাড়ায় চেনা কেউ দেখেনি আপনাকে?
– না হয় নি।
– আপনাদের কোনো কাজের লোক?
– কাজের লোক তো আমাদের সেভাবে কেউ নেই। একজন আসে সকালে ঘরের টুকটাক কাজ করে দিয়ে চলে যায়।
– কীভাবে ফিরেছিলেন আপনি?
– আমি তো বাস এ করে ফিরেছি। কন্ডাক্টর হয়তো চিনতে পারবে আমাকে দেখলে। আমি মাঝে মাঝেই ওই টাইমে ফিরি ওই বাস এ।
– হুম।
রাজ বলল, “কেন এসব জানতে চাইছেন? রুক্মিনীর একার কথা কি কোর্ট বিশ্বাস করবে না?”
– যদি না করে? করতে নাই পারে। একজন স্ত্রী তার স্বামী কে বাঁচানোর চেষ্টা করবে এটাই তো স্বাভাবিক তাই না? যাই হোক বাদ দিন ওসব। শেষ একটা প্রশ্নের উত্তর দিন আমার।
– বলুন।
– ইন্দিরা দেবী জানতেন আপনি বিবাহিত?
– হ্যাঁ জানতেন তো। কেন?
– উনি কখনও আপনার স্ত্রী কে নিয়ে যেতে বলেন নি ওঁর বাড়ি?
– না। কোনোদিন বলেন নি।
– সে কি? উনি আপনাকে এত স্নেহ করতেন তারপরেও কখনও আপনার স্ত্রীর সাথে দেখা করানোর কথা বলেন নি?
– না।
– আপনি কি জানেন অপর্ণা বলেছেন যে ইন্দিরা দেবী ভাবতেন আপনি অবিবাহিত। এবং পরে হয়তো উনি আপনাকে বিয়ে করবেন এরকম প্রস্তাবও আপনি দিয়েছিলেন।
“মিথ্যে কথা” চেঁচিয়ে উঠল রাজ, “এসব মিথ্যে কথা। কোনোদিন এরকম কিছু কথা হয় নি আমার সাথে ওঁর। আর তাছাড়া আমার সাথে ওর বয়সের তফাৎ ৪০ বছরের।”
– তাহলে সত্যি টা কী মিস্টার বর্মন?
রাজ এবার মাথা নীচু করল। তারপর বলল, “আসলে… কেন জানিনা উনি ধরে নিয়েছিলেন আমার সাথে আমার স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো নয়? আমিও আর নিজে থেকে ওঁর এই ধারনা বদলানোর চেষ্টা করিনি। আমার টাকার দরকার ছিল। উনি ভাবতেন আমার জীবনে অনেক সমস্যা। তাই হয়তো আমায় একটা চাকরি দিয়েছিলেন। মানে ওর ব্যবসার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি ভাবলাম শুধু শুধু ওঁকে ঘাঁটিয়ে কী হবে? তার চেয়ে যা ভাবছে ভাবুক। তাই আর কিছু বলিনি আমি।”
ব্যারিস্টার মল্লিক গম্ভীর ভাবে ঘাড় নাড়লেন। তারপর বললেন, “ঠিক আছে মিস্টার বর্মন। আজ আমি আসি। আপনার স্ত্রীর সাথেও কথা বলব কাল।”
রাজ আবার উৎফুল্ল হয়ে বলল, “আপনি দেখবেন আমার অ্যালিবাই একদম ঠিক আছে।”
ব্যারিস্টার মল্লিক কিছু উত্তর দিলেন না। চুপচাপ বেরিয়ে গেলেন ঘর থেকে।