– ছেলেটা কে?
– কোন ছেলে টা?
– যাকে পাঠিয়েছিলে নার্সিং হোম এ?
– ওহ। চিনি না।
– মানে? তাহকে তোমার নাম জানলো কী করে?
– আমিই বলেছি।
– এই তো বললে তুমি চেনো না!
– হ্যাঁ চিনি না তো!
– তাও নাম বলে দিলে?
– হ্যাঁ।
– কেন?
– ইচ্ছে হল। এই তুমি কখন বাড়ি যাবে?
– মানে? তুমি আমায় তাড়িয়ে দিচ্ছো?
– না না। তা কেন? তাড়িয়ে দিতে হলে বলতাম, “বেরোও… বেরোও এক্ষুনি আমার বাড়ি থেকে।”
– তুমি কেন এরকম কর বল তো?
– কীরকম?
– উফফ! আমি জানিনা কীরকম।
– ওহ আচ্ছা।
– তুমি ওই অচেনা ছেলেটাকে বলেছো তোমার AIDS আছে?
– হ্যাঁ।
– কেন?
– আরে আমার মনে হল আমাকে হয়তো লাইন টাইন মারতে চাইছে। সেই জন্যেই।
– লাইন মারলে তো বয়ফ্রেন্ড আছে এটাও বলা যেত।
– হ্যাঁ। তা যেত। কিন্তু আমার AIDS এর কথা আগে মাথায় এলো।
– তোমার কখনও আমার কথা মনে হয়?
– এবার না… সত্যি লেট হচ্ছে। কখন বাড়ি যাবে তুমি?
– আমার লেট হচ্ছে তো তোমার কী?
– তোমার লেট হচ্ছে বলিনি। আমার কথা বললাম।
– লেট হওয়ার কী আছে? আমরা তো তোমার বাড়িতেই আছি।
– আমার কাজ আছে একটু।
– কী কাজ?
– একা একা দেওয়াল এর দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে হবে।
– মানে? কেন?
– ইচ্ছে করছে।
– তোমার কি আর ভালো লাগছে না আমার সাথে থাকতে?
– এখন আর ইচ্ছে করছে না। কাল ইচ্ছে করলে ফোন করে দেবো। তুমি এখন এসো।
– আমি… আমি আর আসবো না.. কখনও আসবো না তোমার বাড়িতে।
– এই রে…
– কী হল?
– এক সেকেন্ড। বাথরুম থেকে আসছি।
[একটু পর]
– কার সাথে কথা বলছিলে বাথরুমে? আওয়াজ পেলাম।
– নিজের সাথে।
– তুমি কি পাগল?
– ছোটো বেলায় লিঙ্গ পরিবর্তন পড়োনি নাকি ডাক্তার হয়ে লিঙ্গের মানে পালটে ফেলেছো। মেয়েদের পাগলি বলে। পাগল বলে না।
– উফ!! ভগবান…!! তা কি কথা বললে নিজের সাথে?
– তুমি আর আসবে না বলার পর কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। তাই একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিলাম কি বলা উচিত।
– কি বলা উচিত ঠিক করলে।
– ইচ্ছে না হলে আসতে হবে না। কেউ মাথার দিব্যি দেয়নি আসার জন্যে!