– Oh! Sorry. না রে। ধুর! ব্লক করবো কেন? ফোনটা হ্যাং করেছিল। ডিপি চেঞ্জ করার সময়েই হল ওটা। তাই বোধহয় ডিপি টাও দেখাচ্ছে না। ব্লক তো তুই করবি বলছিলি!
– মোটেই না। আমি শুধু জিজ্ঞেস করলাম আমি ছেড়ে চলে গেলে আদৌ তোর কিছু যায় আসবে কিনা।
– ওই হল।
– কী করছিস এখন?
– ওই তো তোর সাথে কথা বলছি। তুই?
– Same. জানিস?
– কী?
– তোর সাথে সম্পর্কে থাকাকালীন, আমি অনেক কিছু শিখেছি।
– শিখে কী হল? Apply করতে পারবি পরে?
– তোর সাথে কিছু হলে পারবো।
– Do you think আমার সাথে আর কখনও কিছু হবে?
– Well… after 8 years later… She Got off the plane
– হুম। বুঝলাম। Such high hopes.
– Yes. এবং আমি জানি শেষের দেওয়া রেফারেন্স টা আর কেউ বুঝবে না।
– I know.. একমাত্র ওরকম আমিই আছি তোর life e.
– জানিস একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি।
– কি?
– তোর দু’রকম গলার আওয়াজ আছে।
– What? কি বলছিস কি?
– হ্যাঁ। you have two types of voice. ফোনে কথা বলার সময় বা এমনি কথা বলার সময় এটা notice করেছি আমি।
– কিরকম type?
– একটা হচ্ছে I am your girlfriend voice. আর একটা হচ্ছে I’m just a friend voice. এটা ব্রেক আপ এর পর বেশী বুঝতে পারতাম।
– মোটেই না। যাতা বকছিস এবার!
– একেবারেই না। বিশ্বাস কর।
– কে জানে, হয়ে থাকলেও আমি জেনে বুঝে কিছু গলা চেঞ্জ করিনি। তোর মাথায় আসেও সত্যি!
– I notice এই আর কি।
– এবার আমার notice করার গল্প শোন।
– একবার সব বন্ধুরা মিলে night stay করেছিলাম মনে আছে?
– এটাই notice করেছিলি? যে সবাই মিলে night stay করেছি?
– Shut up. শোন।
– বল…
– ঘর অন্ধকার ছিল। একটা গান চালিয়েছিলি তুই। সবারই খুব প্রিয় গান। আমি গান টার নাম বলবো না। আমি জানি তুই জানিস। কিন্তু গান টা শুধু আমার জন্যেই ছিল সেটা আমি জানি। because that was our song.
– হুম। মনে আছে। তুই খুব শয়তানি করেছিলি সেদিন! বিছানায় সবাই বসে থাকা সত্ত্বেও ভুল ভাল জায়গায় হাত দিচ্ছিলি!
– আরে তোর reaction গুলো দেখে খুব মজা লাগছিল।
– বাল।
– ওই এবার আমার একটা প্রশ্ন আছে। Random প্রশ্ন।
– কী বল?
– আজ থেকে কয়েক মাস পরে তুই যদি শুনিস আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। I’m getting married. তোর reaction কী হবে?
– Surprised obviously. তবে তুই ভালো থাকলে I am all for it.
– কি Diplomatic answer বাড়া।
– তো কি বলব? তুলে নিয়ে আসব তোকে বিয়ের মন্ডপ থেকে?
– নাহ। ওটা আবার হিন্দি সিনেমা হয়ে যাবে।
– হ্যাঁ। সেই
– হুম?
– আমাকে বিয়ে কর না।
– ধর করলাম, তাহলে কোথায় থাকবো আমি?
– আমার বাড়িতে।
– ধুর! আমার সাউথ কলকাতায় অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে। আমি নর্থ এ গিয়ে থাকতে পারবো না।
– তাহলে আমি Shift করে যাবো South এ।
– You will?
– হ্যাঁ রে। তোর সাথে থাকার জন্য এটুকু করতে পারবো না? গিয়ে একটা Room নিয়ে নেবো।
– Room? Apartment বল রে গরু। কেমন বর তুই? Room নিবি!!
– আরে রুম মানে I mean flat. সব কথা খুলে বলতে হয়? কেমন বৌ তুই?
– আচ্ছা বুঝলাম।
– এই কথাটা জিজ্ঞেস করলি কেন হঠাৎ? বাড়িতে ছেলে দেখছে? Apply করবো? Last date কবে ফর্ম জমা দেওয়ার?
– What? Nooo. পাগল নাকি? এখুনি কি বিয়ে!
– ওহ আচ্ছা। তাহলে আর কী you are stuck with me.
– সেই…
– শোন…
– বল?
– নাহ। কিছু না।
– বলবি?
– বলছিলাম যে… একদিন… দেখা করবি? এমনি মানে… অন্য কিছু না… Just এমনি…
[হঠাৎ করে ঘরের আলো জ্বলে উঠল]
– এই দাদা তুই এত রাতে ফোন নিয়ে কী করছিস?
– এই তোর কী রে? ঝামেলা করিস না ঘুমোতে যা।
– দেখি দেখি কী করছিস দেখি? বৌদি কে মেসেজ করছিস?
– এই ফোন দে। লাইট টা নেভা। আরে… খুব বাঁদর হয়ে গেছিস তুই… ফোন টা দে…
– এই একী রে? তুই এরকম মেসেজ কেন করছিস? তুই জিজ্ঞেস করছিস ব্লক করে দিলি কিনা? আবার তুই বলছিস ব্লক করিনি ফোন হ্যাং করেছিল? এসব কী?
– তুই ফোন টা দিবি নাকি আমি মা কে ডাকব?
– মা কে ডাকলে মা তোকে বকবে বেশী। এরকম কেন করছিস বল? তোকে তো ব্লক করা এই নাম্বার টা থেকে। মেসেজ করলেও তো পাবে না এ। তুই নিজেই দু’জনের হয়ে কথা বলছিস? তুই প্রশ্ন করছিস আবার তুইই উত্তর দিচ্ছিস? কেন?
It’s time to move on দাদা। বহুদিন হল।
– তুই… লাইট টা নেভা… প্লিজ…