– বলুন ডক্টর গুপ্ত। what do you need?
– এবারে যেটা দরকার সেটাকে একটু খুঁজতে হবে তোমায়।
– রেট টা কিন্তু একটু বেড়েছে ডক্টর।
– মানে? কেন?
– আরে পেপার এ খবর টা পড়েন নি? ছেলে মেয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে শহর থেকে। পুলিশ তাই হঠাৎ খুব তৎপর হয়ে গেছে। কাজেই রিস্ক বেশী।
– হুম। তা কত হয়েছে রেট এখন?
– ৫০ হাজার।
– বলো কী? ৩০ হাজার থেকে একেবারে ৫০ হাজার?
– হ্যাঁ স্যার। সব দালালই একই টাকা নেবে আপনার থেকে।
– তাহলে তো চাপ হল একটু।
– কী ধরনের চাই এবার আপনার শুনি না আগে। দেখছি কনশেসন করা যায় কিনা!
– এরকম কিছু কিছু লোক রয়েছে দেখেছো কী যারা তুমি কিছু বলার আগেই কি বলতে চাইছো..
– … বুঝে যায়। হ্যাঁ এ তো হামেশাই দেখি।
– তো এরকম একজন ছেলে দরকার।
– কেন হঠাৎ? মানে এতদিন তো যেকোনো ছেলে মেয়ে তেই হয়ে যাচ্ছিল আপনার?
– এক্সপেরিমেন্ট টা কে একটু অন্য লেভেল এ নিয়ে যেতে চাইছি। এতদিন অবধি যাদের নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতাম তাদের ব্রেন গুলো খুব… low quality
– … মানে primitive যাকে বলে। তাই জন্যেই Advance ব্রেন দরকার?
– হুম পারবে আনতে এরকম কাউকে?
– পারবো তবে ৬৫ হাজার লাগবে।
– মানে এই তো বললে ৫০ হাজার। কনশেসন ও করবে বললে আবার বেড়ে গেল কেন?
– কারন এটা খুব জটিল কাজ। এরকম মানুষ থাকলেও খুঁজে পাওয়াটা ঝক্কির ব্যাপার।
– কিন্তু এরকম..
– তো আমরা হামেশাই দেখি। জানি। তাও ঝামেলা আচ্ছে। পুলিশ পেছনে লেগেছে বললাম না!
– হুম।
– কি হুম? কি করবেন বলুন তাহলে?
– কফি খাবে?
– হ্যাঁ খেতেই পারি।
– আচ্ছা তাহলে তুমি….
– হ্যাঁ অপেক্ষা করছি আমি। আপনি কফি নিয়ে আসুন। তারপর খেতে খেতে কথা হবে।
– গ্রেট।
ডক্টর গুপ্ত ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ টা পেছন থেকে খুব জোরে ফুটিয়ে দিলেন লোকটির গায়ে। একটা অস্ফুট আওয়াজ বেরোলো ওর মুখ থেকে। যাক এবার developed brain এর এক্সপেরিমেন্ট শুরু করা যেতে পারে!