– এই অনর্থ তোর ফোনে এসব কী?
– কী?
– কার সেলফি এটা?
– কই দেখি…
– এই তো।
– ওহ! এটা মৌসুমী।
– কে মৌসুমী?
– আমাদের অফিসেই জয়েন করেছে বছর খানেক আগে।
– তা তোর ফোনে ওর সেলফি কেন?
– আরে আমি ওর বাড়ি যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন তুলেছে বোধহয়।
– কেন গিয়েছিলি ওর বাড়ি?
– শুতে।
– What?
– হ্যাঁ। ও ডাকল। বলল রাতে যাবো কিনা। আমি বলে দিলাম যাবো।
– তুই… তুই… আমার সাথে এরকম করতে পারলি?
– তোর সাথে কোথায় করলাম? মৌসুমীর সাথে করলাম তো!
– ছিঃ! আমি নাকি তোকে ভালোবেসেছিলাম। আমার ভাবতেই লজ্জা হচ্ছে।
– ওহ।
– তুই দু’জনের সাথে প্রেম করছিস একসাথে?
– নাহ। ওর সাথে প্রেম করছি না তো। শুধু শুচ্ছি। প্রেম তো করছি তোর সাথে।
– ইস! শুয়োরের বাচ্চা তুই একটা।
– আরে এটা তো আমার বাবা কে শুয়োর বলা হয়ে গেল। বল বাচ্চা শুয়োর। কিংবা শুধু শুয়োরও চলতে পারে। চাপ নেই।
– ইয়ার্কি মারছিস তুই? এটা কি মজা হচ্ছে নাকি? শালা গান্ডুচোদা।
– উফফ! গান্ডু চোদা বলে মৌসুমী এবং বাকি মেয়ে গুলো খিস্তি দিচ্ছিস তুই। নিজেকেও… না তোর সাথে তো কিছু হয় নি… তাও… শুধু গান্ডু বল।
– বাকি মেয়ে গুলো মানে? আরও কতজন আছে?
– আছে মানে… যারা ছিল তাদের কথা বলছি।
– নাহ! আমি আর নিতে পারবো না। আমার মাথা যন্ত্রনা করছে।
– এই আমারও করছে। এই খেয়াল হল।
– তুই মরে যা। তোর মুখ দেখতে চাই না আমি আর। Bye.
– শোন না… যাওয়ার সময় নীচে শংকর দা কে এক কাপ চা পাঠিয়ে দিতে বল না। মাথা টা সত্যি খুব ধরেছে।

অনর্থ ৪

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি