১
– কীরে? আজ রাতে হয়ে যাক?
– নাহ রে অনর্থ। আজ খুব Tired. আজ থাক।
– আরে এরকম বললে কী করে হবে? পুজোর Season এখন। এখন হবে না তো কখন হবে?
– না না… থাক না রে… ভালো লাগছে না একদম।
– এরকম কেন করছিস? তোর যেন ভালো লাগে না?
– ভালো লাগে। কিন্তু আজ সত্যি খুব Tired রে। আজ বরং বাদ দে।
– ঠিক আছে। আরসেলান এর বিরিয়ানি টা তাহলে আমি একাই খাই আজ।
– তুই বিরিয়ানি খাওয়ার কথা বললি শুরু তে?
– কেন? তুই কি ভাবলি?
– আমি তো… না… কিছু না…
– হুম। আমি প্যান্ডেল হপিং এর কথা বলছিলাম শুরুতে। তারপর বিরিয়ানি। আমিই খাওয়াতাম।
– ওহ।
– ঠিক আছে… যাই হোক… তাহলে যাই আমি…
– শোন না…
– হুম?
– বলছি রাত্রে আমিও যাবো।
– ওহ! হ্যাঁ নিশ্চয়। আসতেই পারিস।
– তাহলে একসাথে যাবি তো ঠাকুর দেখতে? আর তারপর…
– আচ্ছা যাবো।
– ঠিক আছে। তাহলে আমি তোর সাথে শ্যামবাজার এ মিট করছি সন্ধ্যে বেলা।
– একদম।
২
– কীরে অনর্থ? কোথায় তুই?
– এই তো খাচ্ছি…
– পুজোতে বেরোবি বললি যে…
– হ্যাঁ বেরোবো তো। খেতে দে আগে।
– আমি তো এসে দাঁড়িয়ে আছি। কি খাচ্ছিস তুই এখন?
– বিরিয়ানি? আর্সেলান এ।
– এখন? তাহলে রাত্রে খাবো না আমরা?
– তুই খাবি কিনা তোর ব্যাপার। আমি আর খাবো না।
– মানে? সকালেই তো বললি তুই খাওয়াবি আমাকে…
– নাহ। আমি বলেছিলাম আমি খাওয়াতাম। মানে ভেবেছিলাম খাওয়াবো। তারপর ভাবলাম শুধু শুধু অত টাকা খরচা করে কী হবে?
– আমি তোর গার্লফ্রেন্ড অনর্থ। আমার পেছনে টাকা খরচা করতে পারবি না?
– ধুর! ওরকম পেছন এর জন্য আবার টাকা খরচা! আর তাছাড়া পতীর পূন্যে সতীর পূন্য নইলে খরচ বাড়ে।
– আমি… আমি রাখছি…
– হ্যাঁ সে রাখ। আমি খেয়েই আসছি। কোথায় দাঁড়িয়ে আছিস মেসেজ করে দিস।
– আমি কোথাও যাবো না তোর সাথে। তুই একটা অসভ্য ছেলে।
– ওহ! Great… রাখলাম তাহলে… ও দাদা আর এক প্লেট মাটন বিরিয়ানি দিন তো!