– এই জানিস একটা ব্যাপার ঘটেছে।
– কি হয়েছে?
– (ফিসফিসিয়ে) তোর আমার এক্স কে মনে আছে?
– এত আস্তে আস্তে বলছিস কেন?
– আমি বাসে আছি রে।
– হ্যাঁ সে তো জানি। কিন্তু বাস টায় কি Silence Please লেখা রয়েছে? এত আস্তে আস্তে বলার কী হল?
– আরে কারন আছে। তাই বলছি। মনে আছে কিনা বল।
– কোন এক্স এর কথা বলছিস তোর তো অনেকগুলো এক্স।
– তুই কোন গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছিস? আমি অনিন্দিতা। আমার একটাই এক্স। তোর অন্য গার্লফ্রেন্ডদের কটা করে এক্স আমি জানিনা।
– Nice One. যাই হোক। হ্যাঁ মনে আছে তোর এক্স কে। প্রদীপ না কি একটা নাম ছিল। তাই না?
– হুম। (ফিসফিসিয়ে) তার গার্লফ্রেন্ড আমার সাথে বাসে যাচ্ছে। ঠিক সামনের সীটে।
– তুই কি করে চিনলি ওকে?
– আমি ছবি দেখেছি ফেসবুকে।
– বুঝলাম। আচ্ছা এই মাল টাই সেই তোর সাথে থাকতে থাকতে অন্য একজনের সাথে…
– হুম।
– তোর কি মন খারাপ হয়ে গেল এটা শুনে?
– What? নাহ। কি বলছিস?
– একটা কাজ কর।
– কী?
– এখুনি জোরে জোরে বল, “প্রদীপ আজ রাতে আসছো তো?”
– কী? ইসস! ই অসভ্য তুই!
– বল না! বল না।
– নাহ। একদম এসব উলটো পালটা কিছু না।
– প্লিজ বল।
– না এরকম করা ঠিক না।
– Yeah. You are right. ও তোকে চিট করেছিল তো কী হয়েছে। তোর এটা বলা ঠিক না। ও খারাপ বলে তুই ওরকম হবি কেন?
– Exactly.
– তোকে আরও খারাপ হতে হবে। তুই বল যে “প্রদীপ আজ রাতে আসার সময় কন্ডোম নিয়ে এসো।”
– বাল। আমি তোর গার্লফ্রেন্ড হই রে। এসব ভুল ভাল কথা বলতে খারাপ লাগছে না।
– নাহ। গার্লফ্রেন্ড বলেই বলছি রিভেঞ্জ টা নে।
– ধুর! ওসব করে কী হবে? আর তাছাড়া ওই নামে অনেকেই হতে পারে। ওই নাম বললেই যে ও সেটা ওর গার্লফ্রেন্ড ভাববে না।
– হুম সেটাও ঠিক। আচ্ছা ওর গার্লফ্রেন্ডের নাম কী?
– (ফিসফিসিয়ে) সুরঞ্জনা। কেন?
– আর ও কোথায় থাকে? মানে তোর এক্স।
– ও থাকে দমদম কে। একটা ফ্ল্যাট এ। কাল বিকেলে ওর গার্লফ্রেন্ডের সাথে ছবি দিয়েছে দেখলাম ফ্ল্যাটে।
– তুই এখন কোথায়?
– এই তো নামবো এবার। তোর বাড়ির আগে এসে গেছি প্রায়।
– গুড! ওই স্টপেজ থেকে দমদমের অটো ছাড়ে জানিস তো?
– হ্যাঁ তা জানি। কিন্তু কেন? কিছুই বুঝছি না আমি।
– এবার একটা কাজ কর। ফোনে বল – “হ্যালো প্রদীপ, আমি দমদমের ফ্ল্যাটে যাওয়ার অটো ধরছি। কন্ডোম আছে তো?”
– What the fuck? এসব আমি…
– দাঁড়া এখনও শেষ হয় নি। তারপর বল, “আচ্ছা আজ সুরঞ্জনা চলে আসবে না তো আমি থাকাকালীন? কাল তো আর একটু হলেই দেখে ফেলেছিল!” এটা বলে নেমে যা।
– না না না। এগুলো বাড়াবাড়ি। এরকম আমি করবো না।
– প্লিজ কর।
– নাহ।
– প্লিজ।
– না না না।
– যদি করিস , তাহলে মাটন বিরিয়ানি আর ফিরনি খাওয়াবো আজ রাতে।
– এক মিনিট। নামবো এবার আমি। (গলা চড়িয়ে) আচ্ছা শোনো প্রদীপ আমি আসছি তোমার ফ্ল্যাটে একটু বাদেই। অটো নেবো এখন। কন্ডোম আছে তো? আর শোনো দেখে নাও তোমার সুরঞ্জনা কোথায় আছে। হঠাৎ করে কালকের মত চলে এলে খুব চাপ হবে।
– wow! তুই তো পাকা অভিনেত্রী রে!
– আমি ওয়েট করছি। তুই বাইক টা নিয়ে আয় আগে। বিরয়ানি খেতে যাবো।
– I love you.
– and I love Biriyani. তাড়াতাড়ি আয়।
Secular Weirdo
Personal blog of Arnab Mondal