– না না না।
– কী হল?
– সব সময় কেন এরকম হবে? চলবে না।
– আরে কী হল?
– রোজ তুই এক জিনিস করিস। আমার আর ভালো লাগছে না এভাবে।
– রোজ এক জিনিস ভালো না লাগলে তো বিপদ রে। পজিশন তো খুব বেশি নেই। নতুন পজিশন আবিস্কার করব নাকি?
– Be Serious. সব দিন রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পর তুই বেশী টাকা দিবি কেন?
– মোটেই সব দিন আমি বেশী দিই না।
– দিস তো। কেন করিস এরকম? তুই ছেলে বলে?
– এই তো, তোদের খালি সেই Femi Nazi দৃষ্টিভঙ্গী।
– তাহলে বল। কেন আমি কম দেবো… তুই বেশী দিবি? রোজ এটা ভালো লাগে না আমার।
– কারন তুই বেশী সেক্সী।
– What?
– হ্যাঁ রে। তুই বেশী সেক্সী তাই তুই কম টাকা দিবি।
– খিস্তি টা কি রেস্টুরেন্টেই খাবি নাকি বাড়ি ফিরে?
– ওহ হ্যাঁ। আর একটা কারন আছে। যেটা এই মাত্র মনে পড়ল।
– কী?
– কারন রাত্রে বাড়ি ফিরে আমি বেশী ভালো জিনিস পাবো।
– তুই কি দিন কে দিন খুব নোংরা হয়ে যাচ্ছিস।
– I thought you like dirty.
– বাজে বকিস না। আমিও ইনকাম করি। তুইও ইনকাম করিস।
– দু’জনেই সমান সমান টাকা দেবো।
– নাহ। এরকম করিস না। আমি তো নিচ্ছি তোর কাছ থেকে। একেবারেই যে নিচ্ছি না তা তো নয়।
– মোটেই নিচ্ছিস না। শুধু দিয়েই যাচ্ছিস।
– এই তো Dirty talk। That’s my girl.
– মানে? আমি কোথায়… ইস! তোর মনেই পাপ। আমি মোটেই ওসব ভেবে বলি নি।
– বলেছিস। গল্প দিস না।
– একদম বলিনি। আমি ওরকম বলতেই পারি না।
– Fine. যদি তুই স্বীকার করিস তুই বাজে meaning এই বলেছিস তাহলে সমান সমান টাকা দিতে দেবো!
– সত্যি তো?
– হ্যাঁ সত্যি।
– আচ্ছা তাহলে হ্যাঁ। সত্যি ওরকম Dual Meaning এই বলেছি।
– তার মানে… আমি ভাবতেও পারছি না… ছি ছি!
– কী হল আবার তোর? ঢং করছিস কেন?
– না মানে… এই সামান্য ব্যাপারে তুই আমায় একটু আগে মিথ্যে বলছিলি। তার মানে আরও কত বড় বড় ব্যাপারে তুই আমায় মিথ্যে বলিস? মানে তুই অন্য কারুর সাথে… নিশ্চয় কিছু করছিস। আর আমায় বলছিস না।
– What? কীসব বলছিস?
– থাক থাক আর নাটক করিস না। একটু আগেই মিথ্যে টা লুকোনোর জন্য এরকমই করছিলি। আবারও করছিস। আমার জীবন টা শেষ করে দিলি তুই। তোকে আমি এত ভালোবাসি… অনেক স্বপ্ন দেখেছি তোকে নিয়ে। আর তুই এভাবে আমার স্বপ্ন টা…
– এই বাল… তুই বেশী টাকা দে। আর নিতে পারছি না ন্যাকামো টা।
– Okay babe! ওয়েটার দা… বিল টা নিয়ে আসুন তো।
–