– On a scale from 1 to কুম্ভকর্ণ, তোর ঘুম এখন কতটা গভীর?
– -1. কেন?
– এমনি। বোর হচ্ছিলাম খুব। তাই মেসেজ করলাম।
– তুই বোর হচ্ছিস? টিভি সিরিজ শেষ হয়ে গেছে?
– হ্যাঁ। ওই আর কি।
– আর বৌ এর কী খবর?
– বিয়ে আর হল কোথায়? তুই তো Cancel করে দিলি।
– Please আবার শুরু করিস না বাল।
– আচ্ছা একটা কথা বল…
– কী?
– যখন তুই আর তোর এক্স একসাথে ছিলি… তখন তুই “বৌ” কথাটা Prefer করতিস নাকি Girlfriend?
– এক্স মানে… তোর সাথে যখন ছিলাম…?
– না। আমার আগের জনের সাথে।
– ওহ! তখন… না বৌ টা কেমন যেন লাগত। আর আমার স্কুলেও খুব কড়াকড়ি ছিল। বাংলা বলার ব্যাপারে। ফাইন করতো। তাই গার্লফ্রেন্ড টাই preferable ছিল।
– Fine করতো? বাংলা বলার ব্যাপারে?
– হুম রে।
– কি বাল এর স্কুল তোর! বাংলা কে কেন যে সবাই এরকম করে জানিনা।
– হুম।
– জানিস একটা কথা বলব ভেবেছিলাম তোকে বেশ কয়েক দিন আগে, তারপর আর বলা হয় নি।
– কী?
– Orkut এ আমার এক কালে একটা ভালো বন্ধু হয়েছিল। তারপর মাঝে contact বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন কারনে। নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এ add ও করা হয় নি। এই কয়েকদিন আগে আবার মনে পড়ায় add করলাম। তারপর একটা অদ্ভুত জিনিস খেয়াল করলাম।
– কী?
– তোর আর ওর জন্মদিন একই দিনে। একই সালে।
– বাহ! ভালো তো। যা তাহলে ওর সাথে প্রেম কর।
– নাহ। সেটা সম্ভব নয়। ওকে চরম দেখতে। way out of my league.
– ছবি দেখা। তারপর আমি judge করবো সেটা।
– দাঁড়া পাঠাচ্ছি।
[একটু পর]
– এই নে।
– এই বেশ মিষ্টি দেখতে রে। She is pretty.
– জানি রে। তোর সাথে accidentally হয়ে গিয়েছিল। ওসব একবারই হয়।
– নাম কী? কী করে?
– নাম জেনে কী করবি? Stalk করবি?
– যদি করিই বা। নাম বল না।
– সোহিনী। সোহিনী চ্যাটার্জি।
– হুম। তবে চেষ্টা করলে মেয়েটা কে পেতেও পারিস। খুব একটা খারাপ তো দেখতে না তুই।
– নাহ। ধুর! আমার দ্বারা হবে না।
– বুঝলাম। আমারও এখন আর এসব ভালো লাগে না। কোনো রকম ফিলিংস ই আসে না। I don’t care anymore for anyone. একাই ভালো আছি।
– Um…
– কী হল?
– নাহ। কিছু না।
– বল…
– না রে তেমন কিছু না…
– আরে বল না শুনি।
– ধর যদি আমি হঠাৎ তোর জীবন থেকে চলে যাই এক্কেবারে। মানে whatsapp, facebook সব জায়গায় ব্লক করে দিই। কোনো explanation না দিয়ে। তুই কি এরকম Don’t care attitude নিয়েই থাকবি?
– হঠাৎ এই প্রশ্ন?
– আগে উত্তর দে। Will you care?
– Yes I’ll care. আমি সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি ঠিকই। কিন্তু যাদের কোনো না কোনো সময় আমি ভালোবেসেছি তারা আমার নিজের একটা অংশ হয়ে রয়েছে। কাজেই তুই যদি ওরকম করিস আমি সত্যিই খুব কষ্ট পাবো।
– বুঝলাম। ভালো লাগল শুনে।
– কেন জিজ্ঞেস করলি এবার বল? Are you planning to leave whatever we have now?
– নাহ। আমি শুধু জানতে চাইছিলাম আমি এখনো matter করি কিনা।
– Of course তুই matter করিস। একটা সময় you meant the world to me. How can you not matter?
– I’m sorry I screwed it up.
– হুম। না করলে আজ হয়তো কথাগুলো আমরা আলাদা বলতাম।
– জানি। I’m really sorry. I really am.
– It’s fine. বাদ দে। কী আর হবে।
ওই কোথায় গেলি?
চলে গেলি?
তোর প্রোফাইল পিকচার দেখাচ্ছে না…
ব্লক করে দিলি আমাকে?
ওই…
[চলবে]