– ঐ আছিস?
– বল কী দরকারে লাগতে পারি তোর?
– আরে? কী হল?
– কিছু না রে। ওটা Auto generated reply ছিলো।
– মানে?
– মানে আমাদের আগের কথোপকথন গুলো পড়ার পর Whatsapp এর মনে হয়েছে ওই রিপ্লাই টাই পারফেক্ট।
– চাটছিস কেন এভাবে?
– একদম না। ওসব বছর খানেক আগে করতাম। তোর ভালোও লাগত।
– What?
– কিছু না। বল কী বলবি?
– না থাক।
– আচ্ছা!
– মানে? তুই জানতেও চাইবি না?
– যেচে এখন এক্সট্রা কাজ নিতে চাইছি না রে। মাইরি বলছি। খুব চাপ রয়েছে।
– কী করে জানলি আমি কিছু কাজই করতে বলব কিছু?
– আমি তোকে বুঝতে পারি রে। আগেও পারতাম। শেষ কবে এমনি কথা বলার জন্য মেসেজ করেছিস একটু বলবি? মানে দরকার ছাড়া!
– তুই আজকাল বড্ড খারাপ ব্যবহার করছিস আমার সাথে!
– ওহ আচ্ছা!
– ওহ আচ্ছা মানে কী?
– মানে আমার আর কিছু বলার নেই। তোর যদি থাকে বল!
– সামনের রবিবার ফ্রী আছিস?
– কেন? কী দরকার?
– আমার শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রন করছি রে। আছিস নাকি ফ্রী?
– তুই কাজের কথা কিছু বলবি?
– একটা ফটোশ্যুট করে দিতে হবে।
– Nude?
– What? না না। আমার বয়ফ্রেন্ড ও থাকবে!
– ও আচ্ছা। ও না থাকলে Nude তুলতে দিবি তাই তো?
– বাল বকিস না তো! আর তাছাড়া আছে তো তোর কাছে।
– না রে। ওসব কবে ডিলিট করে দিয়েছি।
– Your loss then.
– সেই তো! যাই হোক কত দিবি বল?
– মানে? বুঝলাম না।
– আমি তো প্রোফেশন্যাল ফটোগ্রাফার! ফটো তুলে দেবো তাই বলছিলাম কত দিবি?
– তুই… তুই আমার কাছে টাকা নিবি?
– আমি সবার কাছেই নিই রে। শুধু তোর কাছে বলে না।
– তাই বলে… সবাই আর আমি এক?
– নাহ! তা ঠিক। তুই আর সবাই এক নয়।
– হুম। তাই বল। তাহলে ওই কথাই রইলো। Sunday. Photo-shoot.
– তুই আরও হারামি! শোন আমার যা Charge. তার ওপর হারামি ট্যাক্স লাগবে 30%.
– What the fuck? একটার পর একটা খারাপ কথা বলে যাচ্ছিস তুই আমাকে।
– Wait wait… wait… একটা কথা আমায় একটু ক্লিয়ার করে নিতে দে।
– কী?
– তুই আমায় প্রোপোজ করলি। আমি হ্যাঁ বললাম। আমার সাথে থাকা কালীন ২ জনের সাথে সম্পর্কে জড়ালি। আমি জানতে পেরে যেতে বললি আর হবে না। তারপর আবার একজনের সাথে friends with benefit এ জড়ালি। then আর একজন নতুন কে পেয়ে আমায় ছেড়ে দিলি।
– তোর পয়েন্ট টা কী?
– হারামি ট্যাক্স টা ৩০% নিচ্ছি তোর ভাগ্য ভালো। করতে হলে করা নাহলে ভাগ এখান থেকে!
Secular Weirdo
Personal blog of Arnab Mondal