৩
– হ্যালো?
– আমি অনর্থ বলছি।
– কি চাই তোর?
– তুই ফোন ধরছিস না তো… তাই অন্য নাম্বার থেকে ফোন করলাম।
– এটা কার নাম্বার?
– আমারই। আর একটা নাম্বার।
– মানে? তাহলে আমাকে দিসনি কেন?
– আরে… সব গার্লফ্রেন্ড দের একটা করে নাম্বার দেওয়া আছে। তোকেই শুধু ২ টো নাম্বার দিলাম আজ।
– আজকের ওরকম ঘটনার পর, ইয়ার্কি মারছিস লজ্জা করছে না?
– যাহ বাবা! ইয়ার্কি মারলাম কোথায়?
– কিছু বলার থাকলে বল… নাহলে রাখ।
– তুই কোথায়?
– সেটা জেনে তোর কী হবে?
– আরে বিরিয়ানি খাবি না?
– নাহ। তোর সাথে আমি কিচ্ছু খাবো না।
– আরে তাহলে নষ্ট হবে তো। আমি কিনে নিলাম তো বিরিয়ানি।
– মানে?
– আরে তোর ফোন টা কাটার সময়ই তো অর্ডার করলাম একটা মাটন বিরিয়ানি। শুনিস নি?
– শুনেছিলাম। কিন্তু আমি তোর কাছ থেকে কিছু খাবো না আর।
– আরে তুই তো বললি সকালে খাওয়াতে। কোথায় আছিস বল না। আমি আসছি।
– শ্যাম পার্ক চিনিস? শ্যামবাজার এ? ওখানে আছি।
– ঠিক আছে। থাক. আসছি।
৪
– রেগে আছিস?
– নাহ। খুব আনন্দে আছি।
– Sarcasm? তা ভালো।
– কি চাই তোর?
– কিছু চাই না। এই যে তোর জন্যে মাটন বিরিয়ানি এনেছি। নে।
– এটা তো আর্সেলান এর প্যাকেট নয়। তুই যে বললি আর্সেলান থেকে আনছিস?
– কি যে বলিস? আমি বললাম আমি আর্সেলান থেকে অর্ডার করলাম মাটন বিরিয়ানি। আনব তা তো বলিনি। তারপরেই ক্যানসেল করে দিয়েছি। কোয়ালিটি টা একদম পড়ে গেছে রে। আর দাম টাও সেরকম…
– তাহলে এটা?
– এটা ওখানে পাশেই বিক্রি হচ্ছিল। হাজি বিরিয়ানি। ভালো খেতে। আমি টেস্ট করে তবেই নিয়ে এসেছি।
– তুই নিজে আর্সেলান এ খেয়ে আমার জন্য হাজি বিরিয়ানি আনলি?
– আরে আর্সেলান আর আগের মত নেই রে। হাজি টা বেটার। সাথে ডিম ও দিয়েছে। খেয়ে দেখ না।
– নাহ। আমি এসব খাবো না।
– সত্যি খাবি না?
– নাহ। খাবো না।
– আচ্ছা। তাহলে আমিই খেয়ে নিই বরং। দেখি সর। একটু বসি।
–