সব চরিত্র কাল্পনিক ৮

– এই যে! শুনছেন…
– আমাকে বলছেন?
– হ্যাঁ আপনাকেই বলছি।
– আমাকে? আমি কি স্বপ্ন দেখছি?
– মানে? কেন? আগে কখনো মেয়েকে কথা বলতে দেখেন নি নাকি?
– না মানে… দেখেছি… এভাবে নার্সিং হোমে পাশের বেড থেকে কখনো কোনো সুন্দরী মেয়েকে কথা বলতে দেখিনি আমার সাথে!!
– দেখেছেন তো! কথা বলতেই Flirt শুরু করে দিয়েছেন? আপনারা সবাই একরকম!
– আপনি সবার সাথেই কথা বলেন?
– সেটা আপনাকে কেন বলবো? আর এসব ফালতু কথা রাখুন। কি হয়েছে আপনার?
– টাইফয়েড মত হয়েছিল। এখন ঠিক আছি। ছেড়ে দেবে হয়তো তাড়াতাড়ি! আপনার?
– আমার কথা বাদ দিন।
– Okay. তা আপনি general bed e কেন?
– কেন? General bed এ কি সমস্যা?
– না না। সমস্যা নেই কিছু। এমনি… মানে… আগে কখনো সুন্দরী…
– …মেয়ে দেখেন নি। বুঝে গেছি। আপনি ফাটা টেপ রেকর্ডার বন্ধ করুন।
– আচ্ছা আর কমপ্লিমেন্ট দেবো না!
– হুম।
– আপনি হঠাৎ ডাকলেন কেন আজ?
– আরে বোর হচ্ছি খুব। ভালো লাগছে না কিছু। সেই জন্যেই ভাবলাম একটু কথা বলি।
– ওহ! আচ্ছা… একটা কথা বলবো?
– বলুন।
– বলছি যে নার্সিং হোম থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আমি আর আপনি কি…
– থেমে যান। ওখানেই থেমে যান!
– কী হল?
– ওসব স্বপ্নেও ভাববেন না।
– কেন?
– হবে না বললাম তো!
– আরে কেন হবে না? সমস্যা টা কোথায়?
– Size এ
– ওতে আমার সমস্যা নেই কিন্তু। আর আপনার তো ঠিক ঠাক সবই…
– What?? আমার কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা আপনাকে নিয়ে।
– আমার size নিয়ে?
– হ্যাঁ।
– আপনি কি করে জানলেন আমার size?
– আজ দুপুরেই তো আপনি senseless হয়ে ছিলেন। তখন আপনার ড্রেস চেঞ্জ করাচ্ছিল নার্স!
– আর আপনি ওসব দেখছিলেন?
– কী করব? বোর হচ্ছিলাম তো!
– ছি ছি! আপনারা সব মেয়েরাই একরকম!
– সব মেয়েই আপনার টা দেখেছে নাকি?
– নাহ! ইস! আজকাল সবাই অসভ্য হয়ে যাচ্ছে দিন কে দিন!
– আরে মশাই রাগ করছেন কেন?
– থাক। আর ন্যাকামো করতে হবে না।
– আরে আমি মজা করলাম। আমি কিছুই দেখিনি।
– বিশ্বাস করি না।
– আরে সত্যি বলছি।
– বললাম তো বিশ্বাস করি না আপনাকে।
– আরে সত্যি। আমি ওরকম মেয়ে না। কী করলে বিশ্বাস করবেন বলুন?
– করবো না বিশ্বাস! আপনাকেও দেখাতে হবে!
– What?
– হ্যাঁ। আপনি যেমন দেখেছেন আমার, তেমনি আমিও দেখবো!
– আপনি কী জানেন আমি যদি এখানে কমপ্ল্যান করি তাহলে আপনাকে নার্সিং হোম থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে!
– Fine! দেখাতে হবে না। Tata!
– কী হল?
– …
– আরে পাশ ফিরে শুয়ে পড়লেন কেন?
– …
– ও মশাই শুনুন না। আমি তো মজা করলাম!
– …
– আচ্ছা দেখাবো আমি। তবে ২ টো শর্তে!
– কী কী?
– প্রথমত, আপনি তখন যে প্রশ্ন টা করছিলেন মানে যেটার সময় আমি মাঝপথে থামিয়ে দিলাম সেটা আবার করবেন।
– আর?
– আর দ্বিতীয়ত আপনি আমায় দেবেন।
– কী দেবো?
– কমপ্লিমেন্ট, আবার কি!