– কী হল? থামলেন কেন?
– মানে? কি থামলেন কেন?
– এইমাত্র তো গান গাইছিলেন – “আমার নিশিথ রাতেরও বাদল ধারা”
– সে তো ওই বৃষ্টি হলে আমার গান পায়।
– গান ও পায় মানুষের? আমি শুনেছিলাম…
– চেপে যান, জোকস্ টা পুরোনো হয়ে গেছে।
– তাই?
– হ্যাঁ এবার তো বলবেন, লোকজনের ক্ষিদে পায় জানতাম, পটি পায় জানতাম, কিন্তু…
– পটি মানে?
– Um.. What?
– পটি না কি একটা বললেন ওটার মানে কী?
– Excuse me, আপনি পটি মানে জানেন না?
– না মানে আমি শুনিনি আগে কখনও এই শব্দ টা।
– Who are you again?
– আমি ভূত।
– মেয়ে ভূত? মানে তো পেত্নী?
– ওই একই হল।
– না না। আজকাল Gender ব্যাপার টা খুব Specific করে বলতে হয়। Gender Equality নিয়ে ঝামেলা চলছে খুব।
– Gender Equality? সেটা আবার কী?
– মানে নারী পুরুষ সবাই সমান। সেটা প্রমান করার চেষ্টা চলছে।
– এটা প্রমান করার কী আছে? এতো জানা কথা যে সবাই সমান।
– হ্যাঁ, মানে আমি জানি, আপনি জানি… কিন্তু…
– আর লোকজন কে জানিয়ে হবে টা কী? অন্য কেউ নিজে যদি বিশ্বাস করে যে নারী-পুরুষ সমান নয়, তাহলে করবে না। তাকে জোর করে বিশ্বাস করাতে কে বলেছে?
– নাহ… মানে ওরকম ঠিক না ব্যাপার টা…
– তাহলে কীরকম?
– উফ! সব চরিত্র কাল্পনিক এরকম হয় না।
– কী হয় না?
– আপনি কি নতুন মার্কেটে? নাকি অনেকদিন লেখা পড়েন নি বলে ভুলে গিয়েছেন?
– কি লেখা? কি পড়িনি?
– আরে “সব চরিত্র কাল্পনিক”। এটা তো একটা সিরিজের নাম। যেখানে একটু ফাজলামো থাকবে, মজা থাকবে, হিউমর থাকবে… তবেই তো জমবে বিষয় টা।
– তাই? তাহলে কীরকম হবে শোনান একটু…
– মানে ধরুন, আমি আপনাকে লাইন মারবো…
– আপনি মানুষ হয়ে ভূত কে লাইন মারবেন?
– কেন মশাই? লাইন মারতে দোষ কী?
– নাহ। শেষ টায় দেখবেন লাইনে কাটা পড়ে গিয়েছেন।
– তাহলে তো বেশ মজা হবে। আমিও ভূত হয়ে যাবো। আরও ভালো করে প্রেম করতে পারবো আপনার সাথে।
– আমি আপনার সাথে প্রেম করতে রাজি না হলে আপনি আমার সাথে প্রেম করবেন কী করে?
– কেন পারবো না? এতো হামেশাই হয়। মেয়েদের ইচ্ছে অনিচ্ছের কী আছে? আমার ইচ্ছে হলেই প্রেম করবো।
– Gender Equality নিয়ে একটু আগেই বড় বড় ডায়ালগ দিচ্ছিলেন, না?
– আরে ভূতেদের আবার Gender Equality র কী আছে বলো? আর তাছাড়া ছেলে আমি খারাপ না।
– তাতে আমার কী?
– সেটাও ঠিক। বলছি যে তাহলে… কি… একটু ইন্টু পিন্টু করা সম্ভব?
– ভূতের সাথে ওসব হয় না। আপনি যেটা চাইছেন সেটা করা সম্ভব নয়।
– কেন সম্ভব নয়?
– কারন আপনি আমায় ছুঁতে পারবেন না। মানে আপনি হয়তো কোনো জিনিস হাতের মুঠোয় ধরতে চাইলেন, তারপর দেখবেন সব বাতাস। কিচ্ছু নেই।
– ধুর তাহলে জমবে না…
– হুম জানি তো!
– আচ্ছা… আমি একটু আসছি।
– কোথায় যাচ্ছেন?
– এই… একটু বাথরুম থেকে আসছি।
– পটি করতে যাচ্ছেন?
– Um.. না তা যাচ্ছি না… কিন্তু আপনি পটি মানে জানেন???
– আমি ভূত বলেছিলাম। গান্ডু না।