– ইস!
– কী হল?
– মিসটেক হয়ে গেল!
– কি হয়েছে?
– আরে ক্যালকুলেশন টা পুরো ভুল হয়ে গেল ভাই। ঠিক হল না একদম।
– আরে কিসের হিসেব করছিলি?
– নাহ নাহ। এই ভুল টা শোধরাতে হবে। হবে না… হবে না…
– কী হয়েছে সেটা তো বল।
– তোকে বলে হবে টা কি ভাই? ছেঁড়া তো আমার গেছে। সর্বনাশ হয়ে গেল ভাই। ক্যালকুলেশন টা করা উচিত ছিল।
– উফ! আরে কিসের ক্যালকুলেশন?
– আরে সবেতেই তো ক্যালকুলেশন এখন। সকালে ডিম খেয়েছি তার মানে রাতে চিকেন। সপ্তাহে একদিন বা ২ দিন মাটন। কিংবা ধর আজ যে জামা পরে অফিস গেলাম কাল সেটা কখনো পরে যাওয়া চলবে না। কভি নেহি। আন্ডারওয়্যার চলবে। কিন্তু শার্ট! নেভার।
– বুঝলাম। ভুল কিছু খেয়ে ফেলেছিস আজ? ফুড পয়জনিং?
– ধুর! তাহলে তো জেলুসিল মেরে নিতাম। সমস্যা টা আরও গভীরে।
– কি? একই জামা পরে দু’দিন অফিস গেছিস?
– আরে ধুর! না না… সেটাও না।
– তাহলে?
– মেসেজ!
– মানে?
– আরে অনিমার সাথে কথা বলছিলাম মেসেজে। অনিমা আমার ইয়ে… মানে… ভালো লাগে আর কি…
– হ্যাঁ জানি। তো কি হল?
– আরে টেক্সট করতে করতে হঠাৎ রঞ্জনের মেসেজ ঢুকল – কিরে কী করছিস?
– So?
– আরে ওখানেই তো মিসটেক করে ফেলেছি।
– কেন? কি মিসটেক।
– আরে তুই তো জানিস আমি সুনীল গাঙ্গুলীর ভক্ত। আমি রিপ্লাই তে লিখেছি – “আমি আমার নীরার সাথে কথা বলছি!” তারপর এটা অনিমা কে পাঠিয়ে দিয়েছি।
– এই খেয়েছে!
– হুম। এবার কী করে বোঝাই যে ওই আমার নীরা। আরও সাবধান হওয়া উচিত ছিল। মিসটেক হয়ে গেল ভাই।