“Freedom of Speech অপব্যবহার টা দেখছেন মশাই?”
টেবিল থেকে চায়ের কাপ তুলে নিয়ে এক চুমুক দেওয়ার পর প্রশ্নটি করলেন বিখ্যাত রহস্য রোমাঞ্চ ঔপন্যাসিক লালমোহন গাঙ্গুলী ওরফে জটায়ু। বাইরে একটা কুকুর বেশ জোরে চিৎকার করছে অনেক্ষন থেকে।
ফেলুদা খবরের কাগজ থেকে মুখ না সরিয়েই উত্তর দিল “কি দেখব?”
“আরে এই যে ফেসবুক। লোকজন যা পারছে লিখে দিচ্ছে। এরা নিজেদের কি ভাবে মশাই?”
ফেলুদা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল কথায় বাধা পড়ল কলিং বেলের আওয়াজ এ। শ্রীনাথ দরজা খোলার পর যিনি ঢুকে এলেন তাকে দেখেই লালমোহন চা খেতে খেতে বিষম খেয়ে গরম চা গায়ে ফেলে সে এক অদ্ভুত কান্ড করলেন। ফেলুদাও দেখলাম সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। আলমারির দিকে তাকাল একবার। রিভলবার টা দরকার হবে কিনা ভাবছে কী? কারনটা আর কিছুই না আমাদের রজনী সেন রোডের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন স্বয়ং মগনলাল মেঘরাজ।
“ভয় পাবেন না মিস্টার মিত্তর।” মগনলাল বললেন “I mean you no harm”
ফেলুদা খুব শান্ত গলাতেই উত্তর দিল, “ভয় আমি পাই না এত সহজে পাইনা মগনলালজী। তবে আপনার আসার কারন টা যদি একটু বলেন তাহলে আমাদের সবারই একটু সুবিধে হয়।”
“হ্যাঁ বলব তো নিশ্চয়ই। তার আগে হামি একটু বসি। বুঝতেই তো পারছেন উমর তো কম হোলো না।”
মগনলাল সোফায় বসতে যেতেই লালমোহনবাবু তটস্থ হয়ে সরে গেল আর একদিকে। মগনলালজী তা দেখে হেসে বললেন, “আঙ্কল এতো ভয় পাবেন না। হামার কুনো বদ মতলব নাই”
“তা আপনার মতলব টা কী একটু বলবেন?” ফেলুদা প্রশ্ন করল।
মগনলাল পকেটে হাত ঢোকাতে যেতেই ফেলুদা আবার উঠতে যাচ্ছিল। কিন্তু উনি পকেট থেকে বের করলেন একটা Smartphone। তারপর তাতে কিছু একটা খুলে দিয়ে সেটা এগিয়ে দিলেন ফেলুদার দিকে। ফেলুদা বেশ খানিকক্ষন ধরে সেটা দেখল। আমরা সবাই ওর দিকে উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে। বাইরে কুকুরটা এখনো ঘেউ ঘেউ করছে।
“হুম। তা এটা আমায় দেখানোর কারন?” ফেলুদা ফোন থেকে মুখ তুলে জিজ্ঞেস করল।
“Well মিস্টার মিত্তির” মগনলাল এর দৃষ্টি স্থির। হাসির নামগন্ধ নেই তাতে “হামার সাথে আপনার অনেকগুলো কেসেই মোকাবিলা হয়েছে। Life and Death ওবোস্থাও হয়েছে অনেক সোময়। কিন্তু এ জিনিস কখনো হয়েছে কী?”
“তা হয় নি। কিন্তু আপনার পয়েন্ট টা কি?”
“Respect মিস্টার মিত্তর। Respect. আপনি হামার যত বড় শত্রুই হোন না কেন আপনাকে হামি খুব Respect করি।”
ফেলুদা এবার বলল, “আপনি এটা বলার জন্য বেনারস থেকে এসেছেন?”
“হ্যাঁ ঠিক এটা বোলার জন্যেই এসেছি। আপনি আমার কোথাতে believe নাও করতে পারেন। কিন্তু এটাই truth মিস্টার মিত্তর।”
আমি একটু একটু করে ফেলুদার দিকে সরছিলাম। ফোনে কি লেখা আছে দেখার জন্য।
“বুঝলে তোপেসবাবু” মগনলাল এর চোখ এবার আমার দিকে “তোমার Story তে হামি Villain হতে পারি। কিন্তু এত নীচ ইনসান আমিও হতে পারব না।”
আড়চোখে Smartphone এর দিকে তাকিয়ে চোখে প্রথমেই যেটা পড়ল সেটা হল, “Fuck Manik. Fuck Felu….”
হঠাৎ খেয়াল হল বাইরের কুকুরটা ঘেউ ঘেউ ঢাক বন্ধ করে এবার খুব মিনমিনে গলায় “কিঁউ Q” করছে।