– ওই।
– হুঁ।
– শোন না ঠিক করে।
– ঘুম পাচ্ছে। কাল শুনব।
– অমনি না? যেই ডাকলাম তখনই তোর ঘুম পেয়ে গেল।
– আরে সত্যি ঘুম পাচ্ছে খুব।
– তবু শুনতে হবে।
– উফ! আচ্ছা বল।
– মৌসুমী ডাকলে পারবি তো এরকম করে বিরক্ত দেখাতে।
– আবার ওকে টানছিস কেন?
– কেন টানব না শুনি? তুই খোঁটা দিস না প্রিয়াংশু কে নিয়ে?
– সে তুই একটু বেশি দুর্বল ওর প্রতি। তাই আমি বলি।
– তাই না? হিংসে হয়?
– হ্যাট্! হিংসে কেন হবে?
– সত্যি হয় না?
– না। তোর হয় বুঝি? মৌসুমীকে নিয়ে?
– একটু একটু তো হয়।
– তাই? কেন হয় শুনি?
– জানি না।
– তুই তো মেয়ে জন স্নো রে! কিছুই জানিস না।
– তুই যেন সব জানিস? টিরিয়ন ল্যানিস্টার!! -_-
– আচ্ছা কি বলছিলি বল?
– কখন?
– আরে ঘুমটা ভাঙালি কি একটা বলবি বলে তো?
– ও হ্যাঁ! যাহ্! ভুলে গেছি।
– মানে টা কী?
– আরে এই একটু আগে ভাবলাম দ্যাখ। ভুলে গেছি।
– তাহলে আমি ঘুমোলাম।
– আর একটু বকবক কর না।
– তুই প্রিয়াংশুর সাথে বকবক কর। আমার ঘুম পেয়েছে।
– ঠিক আছে তাই করব!
– আচ্ছা।
[একটু পর]
– সত্যি বকবক করছিস ওর সাথে?
– কেন রে? তোর কী? তুই ঘুমো না।
– নাহ্ মানে ওরও তো ঘুম পেয়েছে।
– তুই কী করে জানলি?
– আমি সব জানি।
– মোটেই জানিস না।
– ওরা ২ জন তোর শরীরের মধ্যে থাকতে পারে। কিন্তু আমি ওদের বাবা রে পাগল। আমার ঘুম পেলে ওদেরও ঘুম পায়।
– সব সময় শয়তানি না?
– হ্যাঁ তো! তুই শান্ত ছেলে বিয়ে করতে চেয়েছিলি নাকি?
– হ্যাঁ কিন্তু পেলাম কই?
– মানে????
– হ্যাঁরে সত্যি!
– তার মানে আমাকে নিয়ে তুই খুশি নয়।
– সেটা কখন বললাম?
– এই তো বললি তুই শান্ত ছেলে খুঁজছিলি?
– হ্যাঁ কিন্তু Thanks to God যে আমি তার বদলে তোকে পেয়েছি। এত আনন্দ, এত মজা, সারাক্ষন চারদিকটা মাতিয়ে যারা রাখে এরকম মানুষ খুব কম হয়। আমি যে কতটা Happy, I can’t express in words.
– হুম।
– কি হুম?
– whatever, I don’t care. All I know যে তুই শান্ত ছেলে চেয়েছিলি! -_-
– ক্যালানি খাবি?