– এই যে? শুনছেন?
– (পেছন ফিরে) দেখুন আমার পেছনে পড়ে কাজ হবে না। আমার বয়ফ্রেন্ড আছে।
– আপনাকে ডাকিনি। আপনার সামনের জনকে ডাকছি। Hello!!
– আমায় বলছেন?
– হ্যাঁ বলছি যে এই পার্সটা কি আপনার?
– নাহ তো! আমার পার্স আমার কাছেই আছে।
– ওহ! এটা কার বুঝতে পারছি না। খুলে দেখা ঠিক হবে?
– না দেখলে জানবেন কী করে কার? দেখুন আই-ডি কার্ড আছে কিনা।
…
– না কিছুই তো নেই। শুধু ৩০০ টাকা আছে। আর কিছু খুচরো পয়সা।
– তাহলে?
– থানায় দিয়ে আসব ভাবছি।
– আচ্ছা তাই যান। আমি আসি তাহলে।
– বলছিলাম যে…
– হ্যাঁ বলুন।
– বলছি আপনি একটু সাথে যাবেন?
– কেন? ভয় করছে?
– না। ঠিক ভয় না। মানে…
– দেখুন আমি তো আপনাকে চিনিনা এরকম হঠাৎ করে পার্স আমার কিনা জিজ্ঞেস করে আমাকে নিয়ে থানায় যেতে চাওয়াটা বাড়াবাড়ি হচ্ছে বোধ হয়।
– না না। আমার কিন্তু কোনো বদ মতলব নেই
– সে আপনার কি আছে আমি তো আর জানি না। কিন্তু থানায় যেতে পারলাম না। Sorry!
– ঠিক আছে।
– এলাম তাহলে।
– আর একটা… কথা… বলার ছিল…
– বলে ফেলুন।
– বলছি যে থানায় না দিলে আর কী হবে বলুন তো!
– মানে?
– মানে আমি আপনি দু’জন মিলে CCD তে গিয়ে ২ কাপ কফি খেয়েই চলে আসলে কি খুব পাপ করা হবে?
– আচ্ছা এটা কি ভারতের বাইরের কোন জায়গা ভাবছেন? কলকাতায় একটা অচেনা মেয়েকে রাস্তায় হঠাৎ Date এ যাওয়ার জন্য বললেন আর ভাবছেন সে হ্যাঁ বলে দেবে?
– আরে পিসি বলেছে কলকাতা লন্ডন হয়ে গেছে। এখন এসব চলে এখানে।
– আপনি পার্সটা একবার আমার হাতে দিন তো।
– কেন বলুন তো?
– আরে দিন না। [হাত থেকে জোর করে ছাড়িয়ে নেয়]
– আরে আরে! কী করছেন!?
– একি! Driving License e তো আপনার ছবি। আর তাছাড়া এটা তো Male Wallet.
– হ্যাঁ মানে। এটা আমারই।
– তাহলে আমায় জিজ্ঞেস করলেন কেন আমার পার্স কিনা!
– আমার মানে আপনার তো হতেই পারে তাই না? আমি তো ভবিষ্যতের কথা ভেবেই…
– এখুনি চেঁচিয়ে লোক জড়ো করলে ভবিষ্যত অন্ধকার দেখবেন, বুঝেছেন তো?
– বুঝেছি।
– কী বুঝেছেন?
– আপনার CCD র কফি খুব একটা পছন্দ নয়।
– বাইক কোথায়?
– আজ্ঞে?
– Driving License তো এখানে। বাইক টা কোথায়?
– ওহ! ওই তো রাখা আছে।
– আচ্ছা। চলুন।
– CCD??
– নাহ। কফি হাউস!