– মা বেরোলাম!
– শোন একবার এদিকে।
– বলো তাড়াতাড়ি! দেরী হয়ে যাবে পড়তে যেতে।
– বলছি আজ ক’টা বাজবে ফিরতে তোর?
– আজ তো স্যার একটা তিন ঘন্টার পরীক্ষা নেবে বলেছে। কাজেই ফিরতে ফিরতে ১০ টা তো বাজবেই।
– ১৫ই আগস্ট এ ছুটি দেয়নি?
– না মা। স্যার কয়েকদিন থাকবেনা পরের মাসে। তাই ছুটির দিন গুলোতেও পড়িয়ে দিচ্ছে।
– কিন্তু…
– কি হয়েছে বল না তাড়াতাড়ি!
– বলছি আজ তো তোর দাদা নেই। কলকাতা গেছে কি একটা কাজে। তুই ফিরবি কার সাথে?
– কার সাথে আবার? একাই ফিরব তাহলে।
– অত রাতে মেয়েমানুষ একা ফিরবি মানে?
– আরে, দাদা নেই বলে পড়তে যাবো না?
– দেখ, ওই ক্লাবের ছেলেগুলো এমনি তোর পেছনে লেগেছে তার ওপর আজ সকাল থেকে মাইক বাজছে। রাতে মাল খেয়ে হুল্লোড় করবে। তোকে তো আসতে হবে ওই ক্লাবের পাশ দিয়েই। যদি বিপদ আপদ হয় কিছু আমি কার কাছে যাবো বলতো?
– কিচ্ছু হবে না। আজকের পরীক্ষা টা খুব জরুরী।
– না, মা! আজকের দিনটা যাস না পড়তে। পরে পরীক্ষা দিয়ে দিস স্যার কে বলে!
– কিন্তু মা–
– আজ তুই যাবি না ব্যাস! দরকার হলে আমি ফোন করব স্যার কে।
Secular Weirdo
Personal blog of Arnab Mondal