– ওই
– বল।
– রেগে আছিস?
– না রে।
– ভালো লাগছে না রে। তোকে ছাড়া আমি পারবো না থাকতে। বড্ড মিস করছি।
– আমিও পারবো না বিশ্বাস কর। কিন্তু এটাই বোধহয় বেস্ট। আমাদের একসাথে না থাকা।
– প্লিজ এরকম বলিস না।
– সরি! তোকে বড্ড কষ্ট দিলাম আমি।
– এই সরি বলিস না তুই। আমি কষ্ট পাইনি।
– আমাদের কী আর কিছুই ঠিক হওয়ার নয়?
– জানি না রে। সত্যি জানিনা।
– ভালো থাকিস তুই!
– তুইও।


– সরি সরি ভুল করে টাচ হয়ে গেছে Whatsapp কল টা।
– তুই একা আছিস এখন?
– মানে? মানে মা বাবা নেই তো আশে পাশে?
– না। নেই রে। কেন?
– ভিডিও কল করবি?
– হ্যাঁ। কর না।
– শোন না।
– হুম বল।
– I am sorry. খুব অকারনে ঝগড়া করলাম দু’জনেই।
– হুম। সব কি শেষ হয়ে গেল তাহলে? আমরা কি…
– নাহ রে পাগল। ঝগড়া মানেই ব্রেক আপ? আমরা কি বাচ্চা নাকি?
– সত্যি বলছিস তো? তুই আমায় ছেড়ে যাবি না তো?
– আরে না রে ছাগল! যাবো না!
– প্রমিস?
– প্রমিস।


– আছিস?
– হুম বল।
– তোর জিনিস গুলো কবে নিবি বলিস। অনেকগুলো বাড়িতে পরার জামাকাপড় আছে।
– হুম। নিয়ে আসব রে। একটা চাবিও আছে তোর বাড়ির। দিয়ে দেবো যেদিন যাবো।
– ওটা রাখতে পারিস তোর কাছে।
– নারে। ওটা রেখে কী করব? আর তো লাগবেনা কখনও।
– কেন? অন্য কাউকে ভালোবাসে ফেলেছিস এরই মধ্যে ?
– That’s none of your business.
– ওহ হ্যাঁ। সরি। ভালো থাকিস।
– তুইও। তোর অনেকটা চাপ কমল তাই না?
– নাহ। তবে অনেকটা কষ্ট বাড়ল।
– তাই?
– যাই হোক। ছাড়! ওসব আমি সামলে নেবো। কয়েকটা মাস সময় লাগবে।
– ঋদ্ধি…
– ছাড় না সন্দীপ্তা। এমনিতেও তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আমি। এবার তোর মুক্তি।
– প্লিজ এরকম বলিস না।
– ভুল কিছু বলছি না আমি। তুইও জানিস সেটা।
– তোকে বড্ড মিস করব জানিস।
– আমিও।


– Hey!
– Hi.
– কী করছিস?
– শুয়ে আছি। জ্বর এসেছে একটু?
– সেকি? ওষুধ খেলি?
– ক্যালপল খেলাম।
– কমেছে একটুও?
– নাহ৷ এখনও অবধি না। বল কী বলবি?
– জানিনা কী বলব।
– আর কিছুই বলার নেই?
– শেষ হওয়ার পর অনেক কিছুই মনে পড়ে বলার জন্যে। কিন্তু আজ যেন কিছুই মনে পড়ছে না।
– তাহলে কি সব শেষ হয়নি বলছিস?
– নারে। শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা টানা ২ দিন দু’জনে দু’জনকে মেসেজ ফোন কিছু না করে থাকতে পারছি মানে আমরা দু’জনেই হেরে গেছি। সব শেষ।
– কী বলছিস রে! এই তো কথা বলছি আমরা।
– সত্যিই কী বলছি কথা?


ভোর রাতে আবার ঘুম টা ভেঙে গেল ঋদ্ধির। ধড়ফড় করে উঠেই নিজের ফোনের দিকে তাকাল ও। নাহ। সন্দীপ্তার কোনো মিস কল বা মেসেজ কিচ্ছু নেই। এই নিয়ে আজ রাতে ৪ বার ঘুম ভাঙল ওর। প্রত্যেকবার ওর সাথে সন্দীপ্তার কথোপকথন হতে হতেই ঘুম টা ভাঙছে ওর। আচ্ছা ও নিজে কী একবার ফোন করবে সন্দীপ্তা কে? নিজেই কী শুরু করবে কথা? পরক্ষনেই ওর মাথায় হাত রাখল আর একজন। সে বলল, এত কিছুর পর ঋদ্ধির কখনই নিজে থেকে ফোন করা উচিত না সন্দীপ্তা কে। ঋদ্ধি জানে ওকে এর কথা শুনতেই হবে। এর সাথে তর্ক করে লাভ নেই। ইগোর সাথে লড়াই করে কেই বা কবে জিতেছে?
ঋদ্ধি ফোন টা রেখে দিল বিছানার পাশে।

পরাজিত

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি