আমাদের জেনারেশনের প্রায় প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের কাছে একটা অত্যন্ত embarrassing জায়গা হল জীবনের প্রথম ইমেল আইডি। আমরা যারা নব্বই এর দশকের ছেলে মেয়ে তারা ইমেল ব্যাপার টা সম্পর্কে খুব ভালো আইডিয়া হওয়ার আগেই ইমেল আইডি খুলে নিয়েছি অরকুট আর ফেসবুকের জন্য। স্বভাবতই যতটা গুরুত্ব নিয়ে ঐ দু’টো অ্যাকাউন্ট কে সাজানো হয়, ইমেল আইডির পেছনে অত সময় দেওয়া হয় না। বলতে লজ্জা লাগলেও বলে ফেলি আমার জীবনের প্রথম ইমেল আইডি ছিল – anirban.anirbankk@gmail.com. Kk কারন ছোটবেলায় আমি ক্যাটরিনা কাইফ এর মারাত্মক ফ্যান ছিলাম। যাই হোক… সে গল্প না হয় আর একদিন হবে। আজ যে কথা বলতে বসেছি সেটা বলি বরং।

এখন আমি একটা সফটওয়্যার ফার্ম এ রয়েছি। নতুন প্রোফেশনাল ইমেল আই.ডি হয়েছে। আগেরটার কথা ভুলেই গেছিলাম। দিন কয়েক আগে সন্ধ্যে বেলা অফিস থেকে ফিরে বড্ড বোর হচ্ছিলাম। কী করব কী করব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ একটা খুব অদ্ভুত ইচ্ছে হল। না ইমেল আই.ডি না। মনে হল একবার আমার এক্স কে স্টক করি। একটা কথা শুরুতেই বলে নেওয়া ভাল। আমি Single মানুষ। আমি কাউকে Cheat করছি না। আর এর পরেও আমায় আপনারা জাজ করলে আমার একটা চুলেও টান পড়বে না। আর তাছাড়া এক্স কে দেখার ইচ্ছে সব মানুষেরই হয়তো হয় কম বেশী।

যাই হোক, ফেসবুকের সার্চ বক্স এ সোহিনী ভট্টাচার্য্য লিখে সার্চ করলাম। কিন্তু কোনো ছবিই ম্যাচ করল না। এরকম টা তো হওয়ার কথা না। আমার সাথে ওর প্রচুর মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে। কাজেই আমার প্রোফাইল এ না থাকলেও আমাকে তো আগে ওর নাম টাই দেখাবে। তাহলে কী ব্লক করলো? কিন্তু কেন? আমি তো ডিস্টার্ব করিনি। আর তাছাড়া চার বছর হয়ে গেছে ভাই। দু’জনেই নিজের লাইফ নিয়ে ব্যস্ত। তাহলে…

আগেই বলেছি ৯০ এর দশকের ছেলে আমি। তার ওপর ডানপিটে। এটা বোধহয় আগে বলিনি। যাই হোক… কাজেই আমার যে দু’এক খান ফেক প্রোফাইল থাকবে এটা বোধহয় আর বলে দিতে হয় না। যাই হোক, সেইরকম একটি প্রোফাইল এ লগ ইন করলাম। তারপর নাম সার্চ করলাম। কিচ্ছু এলো না। মানে যেগুলো এলো সেগুলোর একটাও আমার প্রাক্তন সোহিনী নয়।

এখানেই হাল ছেড়ে দিলে বোধহয় ভালও হত কিন্তু আমার তখন জেদ চেপে গেছে। তখনই আমার মনে পড়ল পুরোনো সেই embarrassing ইমেল আইডি টার কথা। সোহিনীর সাথে তখন মেলে কথা হত। ওই ডিজিটাল চিঠি বিনিময় যাকে বলে। ওটাই ক্রেজ ছিল তখন। আর মেয়েটা নিজের মনের কথা গুলো খুব সুন্দর সাবলীল ভাবে শব্দে ফুটিয়ে তুলতে পারত। যেটা আমি পারি না খুব একটা।

যাই হোক, জিমেল খুললাম। পুরোনো ইমেল আইডি খুলবো বলে। কিন্তু দু’বার পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরও বার বার wrong password দেখাচ্ছিল। এ তো মহা মুশকিল। একটু ভাবার পর আর একটা পুরোনো পাসওয়ার্ড মনে পড়ল যেটায় সোহিনীর নাম দিয়ে ছিল। সেটা দিতেই খুলে গেল ইমেল আইডি। হাজার খানেক মেল এর স্তুপ এর মাঝখানে সোহিনীর মেল খোঁজা অসম্ভব ব্যাপার। সেই কারনেই সার্চ বক্স এ কীওয়ার্ড দিলাম Sohini. খান পঞ্চাশেক মেল এল সামনেই। তার মধ্যে একটা মেল দেখেই খটকা লাগল। মেল টার ডেট ২ বছর আগের। এবং মেল টা Unread. অর্থাৎ সোহিনীর এই মেলটা আমি আগে পড়িনি। চার বছর তো ভুলেই গিয়েছিলামা আমার এই মেইল আইডি টা আছে। তক্ষুনি সাথে সাথে খুললাম মেল টা। মেল এ লেখা – I need your help. Are you there? Please Reply.

কেস করেছে। এক্স কে স্টক করতে গিয়ে এতো আজব জিনিসপত্র বেরোচ্ছে। আমি একেবারেই ভাবিনি রাত দুপুরে এরকম একটা সারপ্রাইজ আমার জন্য অপেক্ষা করে আছে। একবার ভাবলাম রিপ্লাই করি। কিন্তু পরক্ষনেই ভাবলাম ২ বছর আগের মেল এর আজ রিপ্লাই করে কী হবে? আর তাছাড়া যা হেল্প দরকার ছিল, নিশ্চয় কারুর থেকে পেয়ে গেছে।

সোহিনীর সাথে ব্রেক আপ টা আমিই করেছিলাম বছর চারেক আগে। এখন কারনটার কথা ভাবলে মনে হয় কত immature ছিলাম তখন। কিন্তু তখন যেন এই কারন টাই কী ভীষন important মনে হয়েছিল। ওর জন্মদিনের পরের মাসে সারপ্রাইজ নিয়ে কথা হচ্ছিল। হ্যাঁ টপিক টা অদ্ভুত জানি। কিন্তু আসলে ঠিক কি বিষয় থেকে ওতে গিয়েছিল সেটা আমার মনে নেই।

সোহিনী বলছিল, “ধুর! আমার সারপ্রাইজ ভালো লাগে না।”

আমি সারপ্রাইজড হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “তাই? সত্যি? তার মানে আমি যে এতবার তোর জন্মদিন সহ আরও বিভিন্ন সময়ে তোকে সারপ্রাইজ দিয়েছি তোর সেগুলো ভালো লাগে নি?”

–       না লাগে নি তা নয়। তুই করছিস যখন ভালো লাগছে ঠিক আছে।  কিন্তু আমার নিজের অত এনার্জি নেই কারুর জন্য কিছু করার।

–       যাকে ভালোবাসিস তার জন্য এই টুকু করাই যায়।

ও বলেছিল, “জানিনা রে। আমার জন্য এসব না। আমি পারবো না কারুর জন্য এত খাটতে।”

আমার খুব খারাপ লেগেছিল কথাটা। বলেছিলাম, “তার মানে তুই বলছিস যে আমি কক্ষনও সারপ্রাইজ এক্সপেক্ট করে থাকবো না তোর থেকে?”

–       নারে। থাকিস না। নিরাশ হবি। আমার জন্য এসব না।

আমি একটু চুপ করে থাকার পর বলেছিলাম, “তাহলে সব শেষ করি চল। এভাবে আমিও পারবো না থাকতে?”

আমি বরাবরই খুব আলপটকা ডিসিশন নিয়ে থাকি। তার পরে পস্তাই। এই জ্ঞানটুকু আমার থাকা সত্ত্বেও আমি এই কথাটা বললাম। সোহিনী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, “এটার জন্য তুই আমার সাথে সম্পর্ক রাখতে চাস না?”

আমি বলেছিলাম, “না”

এই শেষ কথা আমাদের। তারপর শুধু সোহিনী একটা মেল পাঠিয়েছিল আমায়। আমায় কিছুদিনের জন্য পেয়েও  নাকি thankful and all.. ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি রিপ্লাই করিনি। আমার ইগোর সাইজ টা মাউন্ট এভারেস্ট এর থেকে একটু ছোটো।

কিন্তু আজ কী করব সেটা নিয়ে আমি পড়লাম দোটানায়। রিপ্লাই করব না ভাবতে ভাবতেও হঠাৎই আবার impulsively একটা মেল পাঠিয়ে দিলাম। লিখলাম, “Sorry Just saw your message. I don’t use this email id anymore. Hope you are alright.”

মেল টা পাঠিয়ে দেখলাম সাড়ে বারোটা বাজতে যায়। এবার শুতে না গেলে কাল অফিস এ যেতে পারবো না। এমনিতেই শীতকালে লেপের তলা থেকে বেরোতে ইচ্ছে করে না। জল খেয়ে মেল টা বন্ধ করতে যাবো হঠাৎ রিপ্লাই এলো। আমি তখন ভাবছি কে বলেছে Barry Allen is the fastest man alive? এত তাড়াতাড়ি রিপ্লাই আমি এক্সপেক্টও করিনি।

মেল এ লেখা, “What Message? Who are you? Call Me” তারপর একটা নাম্বার দেওয়া। যাহ বাবা! নিজেই তো হেল্প চেয়েছিল ২ বছর আগে। এখন আবার বলে কিনা কি মেসেজ? ফোন কী করব আমি? ঘড়ির দিকে তাকালাম। ১২ টা বেজে ৪০। ভাবলাম করেই দেখি না। কী বলে। নিজেরই তো এক্স। পরের তো না। করলাম ফোন। এ বার রিং হওয়ার পর ধরল একজন। প্রথম টা আমি চুপ করে ছিলাম কয়েক সেকেন্ড, সোহিনীর গলা শুনব বলে। কিন্তু ওও কিছু বলে না। আমি নিজেই প্রথম হ্যালো বললাম।

–       হ্যালো

ও প্রান্ত থেকে খুব গম্ভীর এবং ফ্যাঁসফ্যাঁসে গলায় আওয়াজ এল, “কে?”

এই মেরেছে। পুরুষকন্ঠ কেন? সোহিনী সেক্স চেঞ্জ করালো নাকি? আমি আমতা আমতা করে বললাম, “না মানে আমি মেল করলাম সোহিনী কে। ওই তো নাম্বার দিলো।”

গম্ভীর গলার লোকটি ও প্রান্ত থেকে বলল, “সোহিনী কে হয় আপনার?”

আমি ভাবলাম এর আবার কি উত্তর দেবো? এক্স বলব নাকি? যদি ওর বাবা হয়? একটু ভেবে বললাম, “আমার বন্ধু হয় সোহিনী।”

–       তুমি সোহিনীর বন্ধু আর সোহিনীর কথা কিচ্ছুই জানো না?

–       না আসলে বেশ কয়েক দিন কথা হয় নি ওর সাথে।

–       দিন?

–       হ্যাঁ ওই ১৪৬০ দিনের মত। মানে ওই বছর চারেক হবে।

–       ওহ! তা আজ হঠাৎ?

এই রে? এটা কি জেরা হচ্ছে নাকি? কি বলব আমি? স্টক করছিলাম ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট দেখতে না পেয়ে পুরোনো মেইল খুলেছি? বড্ড জটিল উত্তর। কিন্তু তাহলে সহজ টা কী?

ও প্রান্ত থেকে ফ্যাঁসফেঁসে গলায় লোকটি বলল, “শোনো তোমাকে বলেই দিই। বছর দু’য়েক হল সোহিনী আর নেই।”

নেই মানে? কী বলছে কী? হঠাৎই পেটের ভেতর টা খালি খালি লাগতে শুরু করল আমার। গা টা শিরশির করে উঠল। সোহিনী নেই মানে টা কি? কী হয়েছে ওর? হাতের সামনেই obvious উত্তর টা ছিল। কিন্তু আমি তাও চারপাশ টা হাতড়াচ্ছিলাম। বললাম, “নেই মানে? কোথায় ও?”

লোকটি বলল, “স্কুটি নিয়ে অফিস যাচ্ছিল। একটা অ্যাকসিডেন্ট এ…”

থেমে গেল লোকটি মাঝপথে। আমি কি বলব বুঝতে না পারে ফোন ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম। সোহিনী সত্যি নেই? মানে… একটা জলজ্যান্ত মানুষ… নেই? কী করে সম্ভব সেটা?

লোকটি বলল, “তোমার নাম তো বোধহয় অনির্বান?”

আমি একটা হ্যাঁ সূচক আওয়াজ করলাম। লোকটি এবার বলল, “তোমার জন্য ওর একটা চিঠি রয়েছে। ওর ড্রয়ারে ছিল। সময় পেলে এসে নিয়ে যেও।”

আমি বললাম, “আচ্ছা। আপনি… মানে… কে বলছেন যদি বলেন…

একটা অদ্ভুত নীরবতা কয়েক সেকেন্ড। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে উত্তর এল, “আমি ওর স্বামী কথা বলছি”

***

সোহিনী কবে বিয়ে করল আমি জানিনা। কোথাও কোনো ফটোও দেখিনি। পরের দিন অফিসে ফোন করে ছুটি নিলাম। কৌশিক দা একটু ক্ষুন্ন হল বুঝতে পারলাম কিন্তু আমি পাত্তা দিলাম না। পরের দিন আমি গেলাম সোহিনীর বাড়িতে। ঠিকানা টা কাল রাত্রেই ঐ ভদ্রলোক দিয়েছিলেন। গিয়ে দেখলাম একটা ফ্ল্যাট বাড়ি। উনি তিন তলায় থাকেন আগেই বলেছিলেন। গিয়ে আমি বেল বাজালাম।

মিনিট খানেক দাঁড়িয়ে থাকার পরেও কেউ খুললো না। আবার বেল বাজালাম। কিন্তু ভেতরে একটা পায়ের শব্দ অবধিও পেলাম না। আলতো করে দরজায় হাত দিতেই দরজাটা খুলে গেল। এবার একটু ভয় ভয় লাগল আমার। সোহিনীর ঐ ইমেল অ্যাকাউন্ট টা হ্যাক হয়ে যায় নি তো? অন্য কোনো লোক বদ মতলবে ডাকে নি তো আমায়?

“হ্যালো”… “শুনছেন” “কেউ আছেন” তিন বার তিনরকম কথা বলে জানান দিলাম যে আমি এসেছি। কিন্তু কিছু আওয়াজ পেলাম না। ভুল ফ্ল্যাট ভেবে বেরিয়ে চলে আস্তে যাবো হঠাৎ ডাইনিং স্পেসের পাশের ঘর এর পর্দার পেছনে একটা খসখস আওয়াজ হল। গা টা শিরশিরিয়ে উঠল আমার। জুতো টা খুলে ভেতরে এগিয়ে গেলাম। দেখলাম ডাইনিং টেবিল এর ওপর একটা চিঠি যত্ন করে রাখা। তার ওপর লেখা আমার নাম। Anirban Chowdhury.

এই চিঠিটার কথাই বোধহয় বলেছিলেন কাল রাতে উনি। কিন্তু উনি গেলেন কোথায়। কৌতূহলে টগবগ করে ফুটছি। চিঠিটা খুলব কিনা ভাবছি। কিন্তু পরক্ষনেই মনে হচ্ছে ব্যাপার টা কি ঠিক হবে? ভদ্রলোক বোধহয় দোকান টোকান গিয়েছেন। ফিরে যাবেন হয়তো। কিন্তু শেষ অবধি আর অপেক্ষা না করেই খাম ছিঁড়ে চিঠি টা বের করলাম। ভাঁজ খুলে দেখলাম ভেতরে লেখা শুধু একটা শব্দ – “Surprise”

ঠিক তার পরের মুহুর্তেই সামনে পর্দার পেছন থেকে চেনা গলার আওয়াজ শুনলাম, “পরীক্ষায় পাশ করেছি?”

কিছু কিছু মুহুর্ত হয় যে মুহুর্ত গুলো কে কোনো ইমোশন দিয়ে এক্সপ্লেন করা যায় না। শুধু চোখ আর মুখ দু’টোই জয়নগরের মোয়া হয়ে যায়। সেই জন্যে আমি সেগুলোর নাম দিয়েছি “মুখে মাছি ঢুকে যাওয়া moment” খুব অদ্ভুত নাম সন্দেহ নেই। আমি জাস্ট ভাবতে পারছিলাম না ব্যাপার টা আমার সাথে ঘটছে। কাল রাতে শুনলাম যে মানুষ টা মৃত আজ সকালে সে আমাকে সারপ্রাইজ দিচ্ছে দাঁত বের করে। ভাবা যাচ্ছে না জাস্ট।

আমি কোনোরকমে বললাম, “কাল রাতে… ওই… ছেলে টা…

সোহিনী বলল, “আরে ধুর ছেলে। ওটা আমিই ছিলাম। voice changer app দিয়ে কথা বলছিলাম।”

Oh Shit. একদম বুঝতে পারিনি। এই কারনেই গলা টা ফ্যাঁসফ্যাঁসে শোনাচ্ছিল। আমি তখন ব্রেনের সাথে কোঅপারেট করছিলাম। বেচারার বোধহয় প্রসেস করতে অসুবিধে হচ্ছে। স্বাভাবিক।

আমি বললাম, “২ বছর আগের মেল টা দেখবো তুই জানলি কী করে?”

সোহিনী বলল, “একেবারেই জানতাম না। তোকে তো ২ বছর আগেই সারপ্রাইজ দেওয়ার প্ল্যান করেছিলাম। কিন্তু রিপ্লাই করলি না দেখে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারপর কাল রাতে যখন দেখলাম তোর মেল এল, তখন লোভ সামলাতে পারলাম না।”

মনে মনে বললাম জিও! মুখে বললাম, “ওহ। আচ্ছা। তা তুই ফেসবুকে নেই কেন?”

সোহিনী বলল, “এমনি রে। ইচ্ছে করে না এখন আর ফেসবুক করতে। তবে তোর ওপর নজর রাখি। Stalk করি মাঝে মাঝে।”

–       কীভাবে?

সোহিনী হেসে বলল, “ফেক প্রোফাইল কি তোমার একার আছে বাবা? আমিও তো নব্বই এর দশকেরই মেয়ে।”

আমি চিরকালই আলপটকা কাজ কর্ম করি সেটা আগেই বলেছি। তার জন্য রিগ্রেটও করতে হয়েছে আমাকে। সোহিনী এই কথাটা বলার পরেও সেরকমই একটা কাজ আমি করলাম। তবে এটার জন্যে আমায় রিগ্রেট করতে হয় নি। শুধু বাড়ি ফেরার পর ফেসওয়াশ দিয়ে গাল থেকে লিপস্টিক এর দাগ গুলো মুছতে হয়েছে এই যা।

শেষ চিঠি

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


One thought on “শেষ চিঠি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি