– রাই?
– কী?
– তুমি কি আমার ফোন নিয়েছিলে? যখন আমি বাথরুমে গিয়েছিলাম।
– হ্যাঁ। বাড়িতে একটা ফোন করার ছিলো। আমার টায় নেটওয়ার্ক নেই।
– ওহ। আচ্ছা… মানে…
– কী হল? কিছু বলবে?
– নাহ আসলে….
– ওহ। তোমার একটা মেসেজ এসেছে।
– তুমি… তুমি আমার মেসেজ পড়েছো?
– পড়িনি। ফোন টা রাখার পরেই ঢুকল মেসেজ টা। তখনই দেখলাম।
– আমি… মানে….
– আরে ভালোই হল, আমিও ভাবছিলাম বলব তোমায় যে আজ রাতে আর বেরোবো না। একটু কাজ আছে
– কী কাজ?
– ঘর অন্ধকার করে বসে থাকব ঘন্টা খানেক। তাই বলছিলাম আজ সোমা যখন ডাকছে, শুয়ে নাও ওর সাথে। এমনিতেও ওর বয়ফ্রেন্ড চলে আসবে কাল। তারপর অনেকদিন শোয়া হবেনা তোমার!
– কী বলছ? সোমা? শোয়া মানে? আমি কি…
– তুমি কী?
– তুমি এসব কী বলছ আমাকে? আমি সোমার সাথে শুই না!
– সারা রাত জেগে থাকো?
– আমি…. আসলে…
– আরে ঠিক আছে। জেগে থাকো বা ঘুমোও কোনো কিছুতেই কিছু অসুবিধে নেই। লাস্ট সোমবারের পর আর যাওনি। আজ বরং যাও একবার!
– কে বলেছে তোমাকে যে আমি ওখানে যাই?
– কে একটা বলল! মনে পড়ছে না এখন!
– তুমি আমায় বিশ্বাস করছো না?
– এতো মহা ঝামেলা! অবিশ্বাস এর কী আছে? সোমা তোমায় লিখেছে দেখলাম আজ যেতে আর যাওয়ার সময় কন্ডোম নিয়ে যেতে। তাই বললাম। কন্ডোম নিয়ে কি লুকোচুরি খেলতে ডাকছে বলছো?
– তুমি… তোমার খারাপ লাগছে না? রাগ হচ্ছে না? আমি অন্য কারুর সাথে…. এসব…
– এতে খারাপ লাগার কী আছে?
– মানে? তোমার কোনো প্রবলেম নেই?
– কিসের জন্য প্রবলেম থাকবে?
– এই যে তোমার বয়ফ্রেন্ড অন্য একজনের সাথে এসব করছে।
– কীসব?
– এই যে…. সেক্স!
– হা হা হা হা!
– কী হল?
– তুমি যেটা করো ওটাকে সেক্স বলে না! স্ট্র‍্যাটেজিক টাইম আউট ওর চেয়ে বেশী সময় ধরে হয়!
– তুমি…. সব সময় এরকম করো কেন আমার সাথে?
– কীরকম?
– এই যে অপমান করো, ছোটো করো!
– ইচ্ছে হয়।
– আমার মনে হয় না এইভাবে আমি একটা সম্পর্কে থাকতে পারবো!
– দু’টো!
– কী?
– বললাম ২ টো সম্পর্কে বলো!
– সোমার সাথে আমি…
– তুমি আজ এসো প্রত্যয়! একটু ঘুমিয়ে নি আমি।
– হ্যাঁ। রাতে একটা বন্ধু আসবে। সারা রাত আবার ঘুম হবে না।
– রাতে? কে?
– অনিন্দ্য। অফিসের কলীগ।
– মানে? ছেলে?
– হ্যাঁ। ছেলে বলেই তো জানি। আচ্ছা আজ চেক করে জানিয়ে দেবো তোমায়!
– What Nonsense! কি ভাবো কি তুমি নিজেকে হ্যাঁ। You bloody whore!! এ কী? আমার ফোন টা নিচ্ছো কেন?
– একটা ফোন করার আছে।
– কাকে?
– হ্যালো সুজয়… যেটার ব্যাপারে কথা হয়েছিল, আজ সেটা করতে পারো! চাপ নেই।…. হ্যাঁ কনফার্ম। রাখলাম।
– কে সুজয়? কী কথা?
– সুজয় আমার পাড়াতেই থাকে। আমাকে ভালোবাসে। বলেছিল আমি বললে মানুষ খুনও করতে পারে।
– what?
– হ্যাঁ। এবার যাও। দরজা টা ওই দিকে।
– আমাকে… খুন করাবে তুমি… লোক দিয়ে?
– তোমাকে??? না না ধুর!! কি যে বলো!!
– কি আওয়াজ আসছে নীচ থেকে?…. এত জোরে…. কী হচ্ছে?
– এই তুমি যাও এবার! আমি ঘুমোই।
– কিন্তু নীচে? আওয়াজ?
– অযান্ত্রিক পড়েছো? সুবোধ ঘোষ এর! সেই জগদ্দল কে ভাঙা মনে আছে?
– মানে আমার গাড়ী? আমার BMW!
– হুম। যাওয়ার সময় দরজা টা টেনে দিও। আমি ঘুমোলাম। আর ঝাঁট জ্বালিও না

রাই ৩

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি