৪– খেতে দাও! খিদে পেয়েছে!

– দিচ্ছি বোসো টেবিলে এসে।

– মা কোথায় গেল?

– মা আজ সারাদিন থাকবেনা কালকেই বলল তো! তোমার বোন এর ওখানে গেছে।

– ওহ! হ্যাঁ। তাহলে রান্না?

– কি রান্না?

– মানে রান্না কি তুমি… করলে?

– হ্যাঁ। কেন?

– নাহ! এমনি। দাও ভাত দাও।

– এই নাও।

[মাছের ঝোল দিয়ে ভাত টা মেখে মুখে তোলার পর]

– [প্রচন্ড কাশি]

– কী হল?

– নাহ। কিছু না তো! গলায় লেগে গিয়েছিল।

– ভালো হয়নি সেটা বল না মুখে। আমি জানি তোর মায়ের মত রান্না করতে পারি না!

– ইসস!

– কী হল?

– বাঙালী ঘরের বৌদের, স্বামীকে ‘তুই’ করে বলতে নেই!

– নেকুপুষু আমার!! ২ মাসের বড় তুই আমার চেয়ে! তুই বলবো না তো কি আপনি বলব? 

– আচ্ছা ঠিক আছে। খেতে দে এখন আমাকে।

– কি আর খাবি? হয়েছে তো জঘন্য!

– না না। খারাপ হয়নি রে। ঠিক আছে। খাওয়া যাবে!

– খেতে হবেনা। দাঁড়া অমলেট ভেজে দিচ্ছি। ওটাই দিয়ে খেয়ে না আজ একটু কষ্ট করে।

– আরে তরকারী ঠিক আছে। আসলে ঝোল টা তেই সমস্যা হয়েছে।

– সেই সেই বলবি না বলবি না করে ঠিক শুনিয়েই দিলি যে আমি রান্না করতে পারি না।

– তুই তো বললি বলতে আমাকে।

– আমি বললেই করতে হবে? আমি বললেই তুই সব শুনিস নাকি?

– আহা! অত গভীরে যাওয়ার দরকার নেই।

– Huh! 

– আর আমি বললাম তার কারন আছে। ঝোল টা খারাপ। তো অন্য কিছু মেখে খাওয়ার পেলেই হবে। চাপ নেই।

– তাহলে কী করব? ঘি দেবো একটু?

– নাহ লাগবে না। অন্য জিনিস আছে!

– কী?

– ঘি যা থেকে তৈরী হয় সেটা তো আছে!

– দুধ? না দুধ তো নেই! সকালে তো চা করেছিলাম তখনই…

– চুপ একদম। গরুর দুধের কথা কেউ বলেনি!

– মানে… আর কিসের দুধ… ইস!! তুই একেবারে যাতা!

বিবাহ বিভ্রাট ৪

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি