– কীরে ভাই ঠিক আছিস?
– মানে? ঠিক থাকব না কেন?
– না মানে সদ্য ব্রেক আপ হল তো তাই আর কি।
– নারে ভাই আমি ঠিক আছি। চাপ নিস না।
– ঠিক তো? সমস্যা হলে বলিস কিছু। I am here for you.
– জানি। দাঁড়া দু’টো কোল্ড ড্রিংক নি।

(এই রাজু দা, দু’টো সেভেন আপ দাও তো)

– কী ব্যাপার ভাই? ব্রেক আপ হয়েছে কোথায় দেবদাস হয়ে যাবি তা না? তুই তো দিব্যি আছিস ভাই!
– হ্যাঁ এই নে কোল্ড ড্রিংক খা। ব্যাপার টা বলছি আমি।
– আচ্ছা। হ্যাঁ খাচ্ছি।

(একটু পর)

– বল এবার।
– কী বলব?
– কী করে এত প্রানবন্ত তুই? মন খারাপ লাগছে না?
– লাগছিল। এখন আর লাগছে না রে। সামলে নিয়েছি নিজেকে।
– কিন্তু কীভাবে? তমালিকার সাথে কথা হয়েছে?
– নাহ। তবে ওর যার সাথে আজ ডেটে যাচ্ছে তার অবস্থা টাইট করে দিয়েছি আমি।
– মানে? কী করবি ভাই?
– কোল্ড ড্রিংক এ ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দিলাম। এই তো রাজুদা হেল্প করল।
– অ্যাঁ? কীইইইই??
– ও যাহ! বলতে ভুলে গেছিলাম, তমালিকার ফেসবুক পাসওয়ার্ড আছে আমার কাছে। ওকে কে কী মেসেজ পাঠায় সবটাই জানি আমি।
– কিন্তু… আমি… মানে… অনর্থ…
– আমার নাম নিয়ে কী হবে? নে কোল্ড ড্রিংকটা শেষ কর। তোর তো আবার ডেট আছে রাত্রে। বাথরুমেই থাকতে হবে তো অনেকক্ষন।
– I’ll kill you অনর্থ। বোকাচো* শালা। মেরেই দেব তোকে আমি।
– চেষ্টা করতেই পারিস। আপাতত নিজের মার গাঁড়া। বাই।

অনর্থ ১০

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি