– এটা কী হল?
– Um…তুই কি জানিস আগেকার দিনের মানুষ Hi, Hallo দিয়ে কথা শুরু করত।
– এটা করার কী খুব দরকার ছিল?
– এই রে! আমি কি কাল আবার তোকে আমার স্বপ্নে চুমু খেয়েছি? সরি রে। আমার সাব কনসাস এর তরফ থেকে আমি সরি বলে দিচ্ছি। কিছু মনে করিস না।
– উফফ! ন্যাকামো করিস না। রিচার্জ করালি কেন?
– কি রিচার্জ করাবো?
– আমার ফোন! আবার কি?
– দেখ তুই সুন্দরী সেটা মেনে নিচ্ছি, কিন্তু তার মানে কিন্তু এই নয় আমার পয়সা সস্তা! আমি কেন রিচার্জ করাতে যাবো?
– কিন্তু আগে তো তুই করে দিতিস। মানে যখন আমরা…
– সে তো আগে আরও অনেক কিছুই করতাম!
– তুই করাস নি সত্যি? আমার ফোনে ৩৪৯ টাকা প্রোমো রিচার্জ করে দিল কেউ একটা।
– নাহ। আমি না। অন্য এক্স দের মেসেজ করে দেখ!
– অন্যরা করবে না!
– কেন?
– যাদের সাথে ম্যাক্সিমাম ১৫ দিনের রিলেশন ছিল, তারা আর কি রিচার্জ করবে!
– অহ! বেশ! তাহলে প্রোমো টা আনন্দের সাথে সদ্ব্যবহার কর!
– তাই তো করছি।
– মানে?
– মানে ইউটিউবে ভিডিও দেখছি।
– ওহ! হ্যাঁ। রাইট। দেখ।
– হুম।
– টাটা
– আচ্ছা এক সেকেন্ড!
– কী হল?.
– তুই আমাকে স্বপ্নে চুমু খাস?
– ধুর! কে বলেছে?
– তুই তো বললি। শুরুতে!
– আরে ওটা তো… কথার কথা। সেন্স অফ হিউমর টা বোঝাচ্ছিলাম আমার!
– খুব করুন অবস্থা তো রে তোর সেন্স অফ হিউমরের। ডাক্তার দেখা।
– হুম। দেখাবো।
– আমি ওটা শুনে একটু অবাকই হলাম। ভাবলাম তুই আবার কবে থেকে এত সাহসী হয়ে গেলি?
– মানে টা কি? আমি সাহসী না?
– না মানে ব্রেক আপের পর এসব করার মত সাহস আছে বলেই মনে হয় না।
– একটা কথা বল?
– কী
– Equality তে বিশ্বাস করিস তুই? মানে নারী পুরুষ সমান এটায়?
– অবশ্যই করি। কেন?
– তাহলে আমার যেমন অত সাহস নেই, তেমনি তোরও তো নেই। তুই কী করেছিস ব্রেক আপ এর পর?
– আমি চাইলেই করতে পারি।
– ওরম মনে হয়।
– চ্যালেঞ্জ?
– লাভ নেই। পারবি না।
– তুই বাড়িতে আছিস তো?
– হ্যাঁ। কেন?
– আমি আসছি। দেখ তারপর সাহস আছে কিনা!
– নাহ। কোনো দরকার নেই।
– What?
– বললাম আসতে হবে না তোকে।
– Shit! I feel so embarrassed. ধুর।
– কী হল?
– কিছু না রে। bye.
– আরে শোন না… রাগ করছিস কেন?
-…
– আরে আমার বাড়িতে মা বাবা আছে আজ। তাই বলছিলাম যে আজ তুই যে জন্যে আসতে চাইছিস সেটা হবে না। তার চেয়ে আমি যাই বরং।
– Um…
– যাবো না?
– I have a better idea.
– কী?
– আজ তোর বাবা মার সাথে আলাপ করব!
– মানে? পাগল নাকি? কথা না বার্তা নেই এক্স এর সাথে মা বাবার আলাপ করাবো? না না। ওসব হবে না!
– প্লিজ!
– না। কোনো দরকার নেই।
– আচ্ছা একটা সিক্রেট বলব। যদি হ্যাঁ বলিস।
– কোনো সিক্রেট এর মূল্য এত নয় যে আমি তোকে বাবা মায়ের সাথে আলাপ করাবো।
– আরে শুনে তো দেখ।
– কী বল?
– আমার ফোনে আজ কেউ রিচার্জ করেনি। আমি তোর সাথে কথা বলার এক্সকিউজ পাচ্ছিলাম না। তাই ওটা বললাম।
– তুই তো দেখছি বিরাট ডেসপারেট!
– মানে? তোকে মেসেজ করেছি বলে?
– নাহ। এই যে বললি কেউ রিচার্জ করেনি। তাই বললাম।
– করেনি তো।
– আমি আজ নিজে তোর ফোনে রিচার্জ করেছি। যাতে তুই মেসেজ করিস। সেই আশায়।
– Seriously??? এই সত্যি কোনো মেসেজ আসে নি রিচার্জ এর!
– মানে? আমি তো করলাম অনলাইনে!
– তুই রিচার্জ স্ট্যাটাস চেক কর। এক্ষুনি।
– হ্যাঁ। করছি।… এই Failed দেখাচ্ছে!
– দেখলি তো ছাগল!
– হুম।
– ঠিক আছে আমি আসছি।
– আসছিস?
– হ্যাঁ। কাকু কাকিমা কতক্ষন থাকবে?
– সন্ধ্যে অবধি।
– বেশ। তাহলে তারপরেই তোর সাহসের পরীক্ষা হবে। আপাতত আমার সাহস টা দেখ।
– বলছিলাম যে…
– কী হল?
– ইয়ে শেষ হয়ে গেছে। আসলে অনেকদিন নিরামিষ কাটছে তো। তাই।
– ঠিক আছে। আমি নিয়ে ঢুকছি। তুই আর বেরোস না।
– Love You.
– What?
– মানে Thank you! Autocorrect অন ছিল আসলে। সরি।
– বুঝেছি। বাল একটা -_-

পরীক্ষা প্রার্থনীয়

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি