– Excuse Me?
– বলুন।
– Help লাগবে?
– কিসের জন্য?
– এই যে এতোগুলো কাগজ পড়ে গিয়েছে আপনার। কুড়োচ্ছেন একা একা।
– ওহ! এগুলো আমার কাগজ না।
– তাহলে?
– এখানেই পড়েছিল দেখলাম। রাস্তা টা নোংরা হচ্ছে দেখে তুলে নিচ্ছি। ডাস্টবিন এ ফেলব।
– বাহ! খুব ভালো ব্যাপার। দাঁড়ান আমিও হাত লাগাই।
– তাহলে আপনিই করুন। আমি চলি।
– মানে? কেন? কী হল?
– কী হবে?
– চলে যাচ্ছেন কেন?
– আপনি তো আমার কাজ টা করে দিচ্ছেন তাহলে আমার আর কি দরকার?
– না মানে… আসলে…
– আমার এডস্‌ আছে।
– What?
– না মানে… রাস্তার নোংরা পরিস্কার করতে গিয়ে আপনি যদি আশা করেন ভবিষ্যতে আমার সাথে শুতে পারবেন, সেই জন্যেই বলে দিলাম আগে থেকে। আমার Aids আছে।
– আমি একদমই ওসব ভাবিনি। আমি তো…
– কাজ টা করে বাড়ি যান। মা দুধের গ্লাস নিয়ে অপেক্ষা করছে।

[ফোন বাজে]

– হ্যালো?
– রাই?
– সেটাই স্বাভাবিক নয় কী? আমার নাম্বারেই তো ফোন টা করা হয়েছে।
– রেগে গিয়েছো কেন?
– ইচ্ছে হল।
– মানে?
– মানে রাগতে ইচ্ছে হল তাই রেগে গেলাম।
– ওহ! কী করছ?
– ফোনে কথা বলছি।
– ওহ হ্যাঁ। তাও ঠিক। তার আগে কী করছিলে?
– রাস্তার নোংরা পরিস্কার করছিলাম।
– What? রাস্তার নোংরা? তুমি? কেন?
– ইচ্ছে হল।
– তোমার যা ইচ্ছে হয় তুমি কি তাই করো?
– হ্যাঁ সাধারনত তাই করি। আচ্ছা মশাই এত খোঁজ নিচ্ছেন কেন তখন থেকে আমার? কে বলছেন আপনি?
– মানে? আমি তো প্রত্যয় বলছি। তোমার বয়ফ্রেন্ড।
– ওহ! আচ্ছা।
– আমার নাম্বার Save নেই?
– আছে বোধ হয়। খেয়াল করিনি।
– তাহলে এতক্ষন কথা বললে কেন? অচেনা ছেলের সাথে?
– ইচ্ছে হল।
– একটু সাধারন মেয়েদের মত আচরন করতে পারো না তুমি?
– সাধারন তো সবাই হয়। অসাধারন হওয়াটাই কঠিন।
– Oh God!
– কিছু বলবে?
– দেখা করবে আজ?
– কখন?
– সন্ধ্যে বেলা?
– ক’টার সময়?
– ৭ টা।
– না।
– ৬ টা?
– না।
– তাহলে পরের দিকে? ৮ টা?
– নাহ।
– কখন হবে Free?
– আমি Free কখনই হবো না।
– মানে কখন সময় হবে বলো।
– হবে না।
– কেন? কাজ আছে।
– না।
– তাহলে?
– ইচ্ছে করছে না।
– উফ!! কেন এরকম করছো তুমি? আমি কী করেছি বলো?
– ঠিক আছে ৭ টার দিকে এসো। আধঘন্টার বেশী ঝাঁটা জ্বালাবে না।
– আমি… আমি তোমার ঝাঁট জ্বালাই?
– মাঝে মাঝে।
– রাখছি আমি।
– রাখবে? আচ্ছা Bye.

[পেছন থেকে]

– বলছিলাম যে…
– আবার আপনিও বলবেন? হ্যাঁ বলুন। নোংরা পরিস্কার হল?
– হ্যাঁ হল। একটা প্রশ্ন ছিল।
– আপনার কী সত্যি Aids আছে?
– কেন? বিশ্বাস হচ্ছে না?
– না মানে…
– নিজে চেক করে দেখতে চান? ঠিকানা দেবো?
– What? কার… কীসের ঠিকানা?
– এই নিন এই কার্ড টা রাখুন।
– এটা তো… একটা নার্সিং হোম এর ঠিকানা।
– হ্যাঁ। গিয়ে ডক্টর প্রত্যয় চক্রবর্তীর খোঁজ করবেন। উনি বলে দেবেন আমার AIDS আছে কিনা।
– আমি…আপনার নাম…
– আমার নাম রাই। খোঁজ নিয়ে নিন। মনে সন্দেহ রাখতে নেই। চলি।

রাই ১

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি