বোধন পর্ব ৮ঃ https://secularweirdo.com/2018/01/14/বোধন-পর্ব-৮


দশমী, সন্ধ্যে

রঞ্জনা

একেই দুর্গাপূজো হয় বছরে একবার। তার ওপর যদি নবমী-দশমী একই দিনে পড়ে তখন কার না রাগ হয়? তবে রঞ্জনার এসব নিয়ে কোনো মাথাব্যাথাই নেই। দুর্গাপূজো ৫ দিন হল না ৩ দিন হল কোনো কিছুতেই ওর কিছু যায় আসে না। তবে উৎসবের এই সময় টা খুব একটা খারাপ লাগে না ওর। আজ বিকেলে রাজর্ষি কে ছেড়ে দিয়েছে নার্সিং হোম থেকে। ছেড়ে দিয়েছে মানে ও জোর করে ছাড়া করিয়েছে। আজ ওদের ক্লাবের পূজোর বিসর্জন। ওখানে নাকি ওকে থাকতেই হবে। সেই জন্যে জয় রাজর্ষি দু’জনেই আজ নার্সিং হোম এ থাকতে নারাজ!
ওকেও যেতে বলেছে রাজর্ষি আজ রাতে। বলেছে, “সিঁদুর খেলা হবে। তুই আয় প্লিজ আজ!” ও তো যাবেই আজ। তবে তার আগে ওর গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ আছে। সেই জন্যেই একটু আগে বেরিয়েছে ও।
একটা কমলা রঙ এর কুর্তি পরেছে ও আজ। এদিক টায় আবার আলো নেই। স্ট্রীট লাইট হয় নি এখনো। কাজেই সন্ধ্যে হলেই খুব অন্ধকার হয়ে যায় রাস্তা টা। এই রাস্তাটার মোড়েই একটা ক্লাব আছে। ওদেরও একটা দুর্গা পূজো হয়। পূজো মানে ছেলেগুলোর মদ খাওয়ার একটা কারন চাই সেই জন্যেই এই পূজো!
এই জায়গাটা একটু তাড়াতাড়ি পেরোতে হবে রঞ্জনা কে। একে আজ দশমী কাজেই মদের ফোয়ারা চলবে আজ আর শানু এই ক্লাবেরই কর্মকর্তা। ওদের দল টা অসভ্য টু দি পাওয়ার ইনফিনিটভ! প্রায় সময়ই টোন টিটকিরি করে!
তবে ওই যে বলে না যেখানে ভূতের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়। আর আজ তো সন্ধ্যে আগেই হয়ে গিয়েছে! ঠিক ক্লাবের জায়গাটা পেরোতে যাবে এমন সময় একটি ছেলে ওকে দেখে চেঁচিয়ে উঠল, “আরে এ যে সুন্দরী কমলা যাচ্ছে!” কথা বলার টান দেখে মনে হল পেটে এর মধ্যেই কিছু পড়েছে।
ছেলেটার আওয়াজ শুনে ভেতর থেকে আসতে আসতে বেরিয়ে এল আরও তিন-চার জন! রঞ্জনা এবার জোরে পালিয়ে যাচ্ছে। আবার একটা ছেলে পেছন থেকে টিটকিরি কাটল, “আরে সুন্দরী কমলা পালিয়ে যাচ্ছে যে!”
মাথাটা গরম হয়ে গেছে রঞ্জনার! কিন্তু ও জানে এদের সাথে ঝামেলা করে কোনো লাভ নেই। হঠাৎই সামনে চেনা একজন কে দেখতে পেয়ে একটু স্বস্তি পেল ও। “অনিন্দিতা?” ডাকল রঞ্জনা!
“আরে কি ব্যাপার? তুই এদিকে?” জিজ্ঞেস করল অনিন্দিতা।
– আরে আমি একটা কাজে এসেছিলাম। তুই রাজর্ষিদের ক্লাবের ওখানে যাবি তো?
– হ্যাঁ! তুই যাবি?
– হ্যাঁ চল।
হঠাৎই ওদের সামনে যেন মাটি ফুঁড়ে উদয় হল একটি ছেলে। ছেলেটি কে ওরা দু’জনেই খুব ভালো করে চেনে। গা থেকে প্রচন্ড ভাবে মদের গন্ধ বেরোচ্ছে।
“কি ব্যাপার? এত সেজেগুজে কোথায় চললে মামনি?” জিজ্ঞেস করল শানু!
“That’s None of your business” সাথে সাথে উত্তর দিল রঞ্জনা।
– কী বললি?
“তুই বুঝবি না। ওটা ইংরেজী!” বলল অনিন্দিতা!
শানু এবার চিবিয়ে চিবিয়ে বলল, “খুব কথা হয়েছে না তোদের? তোদের দল এর দু’জন কে হাসপাতালে শুইয়ে দিয়েছি! তোদের দু’জন কেও কী ওষুধ দিতে হবে?”
যখনই কথা বলছে, তখনই মদের গন্ধে গা টা গুলিয়ে উঠছে ওদের! অনিন্দিতা এবার ফস করে বলে বসল, “তোর দম আছে?”
– কী?
– না মানে স্কুল থেকে তো দেখেই আসছি টোন টিটকিরি ছাড়া আর কিছু করতে পারিস নি। ভালো করে কথাও বলতে পারিস না! তাই ভাবছিলাম তোর কিছু করার দম আছে তো?
– দেখবি? দেখতে চাস পারি কিনা?
অনিন্দিতা বলল, “দেখালে দেখতে চাই তো! কিন্তু সবার সামনেই করবি? তোর পেছনের লেজুড় গুলো কে বল ক্লাবের ভেতর ঢুকে বসতে!”
শানু জড়ানো গলায় চেঁচিয়ে হুকুম দিতেই ক্লাবের ভেতর ঢুকে গেল সাঙ্গপাঙ্গ রা। তারপর রঞ্জনার দিকে তাকিয়ে বলল, “আর এ? এ যাবে না?”
রঞ্জনা এতক্ষন চুপ করেছিল। এখন বলল, “না। আমি যাবো না!”
অনিন্দিতা বলল, “রঞ্জনা, তুই যা। আমি আসছি একটু পর”
– মানে? তোকে এভাবে একা রেখে?
– তুই যা না। বলছি তো!
আর কথা বাড়ালো না রঞ্জনা। এমনিতেও মানুষকে বেশি জোর করতে ওর কখনই ভালো লাগে না! যেতে যেতে অনিন্দিতার গলা আবার শুনতে পেল ও। শানু কে বলছে, “কর এবার। কী করবি!”

দশমী, রাত্রি
জয়

খুব বিরক্ত লাগছে জয় এর এবার! একে তো অনিন্দিতা আসে নি। এত রাত হয়ে গেল! তার ওপর অয়ন কোথাও উধাও হয়ে গিয়েছে! এভাবে কী আর একটা বড় পূজো সামলানো যায়। রাজর্ষিদা একেই দুর্বল। ও আর মৈনাক কটা কাজ করবে? সিঁদুর খেলা শুরু হবে আর কিছুক্ষনের মধ্যেই! এখনো কারুর পাত্তা নেই!
আজ সকাল থেকে ওর ফোনে চার্জ ছিল না। আসলে নার্সিং হোম এ চার্জ দেওয়া হয় নি সেভাবে। তাই ক্লাবে এসে চার্জে বসিয়ে ছিল ফোন টা। এখন ফোন টা অন করে অনিন্দিতা কে ফোন করতে গিয়ে দেখল একটা মেসেজ এসেছে অনিন্দিতার নাম্বার থেকে! পরে দেখবে ভেবে অনিন্দিতার নাম্বারটা ডায়াল করল জয়। সুইচ অফ! এরকম সময় সুইচ অফ? কেন?
ফোনটা কান থেকে নামিয়ে মেসেজ টা খুলে দেখল ও! বিরাট একটা মেসেজ পাঠিয়েছে অনিন্দিতা। মেসেজ টা এসেছে সন্ধ্যের দিকে। ওর ফোন অফ ছিল তাই ও পায়নি মেসেজ টা। ও লিখেছে –

“শোন না। তোকে একটা কথা বলার আছে। তুই ছাড়া আর কারুর সাথে তো এটা শেয়ার করা যাবে না। তাই তোকেই বলছি। যেটা চলছে সেটা ঠিক হচ্ছে না। এইভাবে একটা ছেলের জন্য একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে আমাদের সবার সাথে! আমি জানি তুইও ভেতরে ভেতরে খুব অসহ্য বোধ করছিস! তাই আমি আজ ঠিক করেছি এর একটা ব্যবস্থা করবো। তুই হয়তো ভাবছিস তোরা মানে তুই, অয়ন মৈনাক অনেক প্ল্যান করলি ওকে শায়েস্তা করার জন্য তাতে কিছুই হল না, আমি আর কী করব? কিন্তু আমার কী মনে হয় জানিস? পারলে আমিই পারবো। আসলে কী বলত দেবীপক্ষে অসুর বধ দেবীর পক্ষেই সম্ভব! অনেক দেবতা চেষ্টা করেও কিছু করতে পারে নি। যাই হোক, আমি একা নই। আমার সাথে আরও একজন রয়েছে। In fact সেই ফোন করে আমায় উদবুদ্ধ করে। Honestly বলতে গেলে তাকেও যে আমি খুব পছন্দ করি তা নয়। কিন্তু Desperate times, Desperate measures. তবে মেয়েটা খুব একটা খারাপ নয় জানিস। রাজর্ষিদা কে খুব ভালোবাসে! যাই হোক, আমি ইচ্ছে করেই তোকে এখন জানালাম যাতে তুই আমায় আটকাতে না পারিস। চাপ নিস না। I’ll be fine. শুধু ভরসা রাখ আমার ওপর!”

মেসেজটা পড়তে পড়তেই বুকের ভেতর টা ধক করে উঠল জয় এর। ও কি জানে না শানু কতটা ভয়ংকর? ওর দলের ছেলে গুলোর কতটা সাহস? তাহলে কেন এরকম পাগলের মত রিস্ক টা নিতে গেল? ও কী করবে এখন? ফোন টাও তো অফ করে রেখেছে অনিন্দিতা! হঠাৎ মেসেজ এর একটা কথা খেয়াল হতেই ও বুঝতে পারল রঞ্জনা হয়তো ওর সাথে রয়েছে। কথাটা মনে হওয়ার সাথে সাথেই ফোন করল ও রঞ্জনা কে।
– হ্যালো?
– হ্যাঁ বল।
– বলছি অনিন্দিতা আছে তোর সাথে?
একটু কি থেমে গেলো রঞ্জনা। জয় আবার জিজ্ঞেস করল, “কীরে? আছে তোর সাথে অনিন্দিতা?”
– থাকবার কথা ছিল। কিন্তু না। নেই। ও আমায় চলে আসতে বলল।
– চলে আসতে বলে মানে কী ও কোথায়?
– শানুর সাথে কথা বলছে।
কান থেকে ফোনটা নামিয়ে দিল জয়। ওর ভেতর যে কী হচ্ছে সেটা ওই জানে। মাথা কাজ করছে না ওর। শানু কীরকম ছেলে সেটা ওরা সবাই খুব ভালো করে জানে। ওর খুব রাগ হচ্ছে রঞ্জনার ওপর! খুব জোরে আকাশ ফাটিয়ে চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে ওর!

দশমী, রাত্রি 
অনিন্দিতা

“কর এবার! কী করবি!”
অনিন্দিতা মারাত্মক একটা রিস্ক নিচ্ছে আজ। ভয় যে একেবারে করছে না তা নয়। তবে আজ ভয় পেলে চলবে না ও সেটা জানে। শানু এবার একটু থতমত খেয়ে গেছে। রাস্তাটা খুব অন্ধকার। এক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একে অন্যকে ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না এরকম অন্ধকার। শুধু কাছে ওই দুর্গাপূজোর প্যান্ডেল থেকে একটু আলো আসছে। শানু এবার সাহস করে হাতটা ধরল অনিন্দিতার।
অনিন্দিতা বলে উঠল, “এইটুকুই? শুধু একটা হাত? দেখ আমি দেখিয়ে দিচ্ছি।”
কথাটা বলে শানুর আর একটা ধরল অনিন্দিতা। শানু তখন মদের ঘোরে বোঝার চেষ্টা করছে ব্যাপারটা ঠিক কী হচ্ছে। দু’টো হাত শক্ত করে ধরে আর একটু কাছে এগিয়ে গেল অনিন্দিতা। তারপর হঠাৎ বলে উঠল, “এইবার!”
শানু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলে উঠল, “এইবার কী?”
অনিন্দিতা হেসে বলল, “এইবারে আর নাই রে পরিত্রান!”
কথাটা শেষ হওয়া মাত্র শানু গোটা গায়ে প্রচন্ড যন্ত্রনা অনুভব করল! একটা অস্ফূট চিৎকার বেরোলো ওর গলা থেকে। নেশা ওর ততক্ষনে কেটে গেছে। মাটিতে বসে পড়ল ও যন্ত্রনায়।
“ওহ by the way এখন যে যন্ত্রনাটা হচ্ছে সেটা আমার কাঁকড়া বিছেদের সৌজন্যে। যার চারটে রয়েছে এখন তোর জামার ভেতরে।” পেছন থেকে বলে উঠল রঞ্জনা!
তবে এদিকে আর একটা ব্যাপার হয়েছে। শানুর চিৎকারের শব্দ বোধহয় কানে গিয়েছিল ক্লাবের ছেলেদের। ওরা এবার কয়েকজন বেরিয়ে এগিয়ে এল ওদের দিকে। ঠিক এই সময়ই একটা জীপ এর আলো দেখা গেল দূর থেকে। জিপটা এসে থামল ঠিক ওদের সামনে।
জীপ থেকে নামলেন অয়নের বাবা। অয়নও নামল পেছন পেছন! উনি একজন কনস্টেবল কে বললেন, শানু কে জিপে তুলতে। শানুর তখন শরীরে আর শক্তি নেই। ক্লাবের ছেলেগুলোও পুলিশের জীপ দেখে চম্পট দিয়েছে। অয়নের বাবা এরপর অনিন্দিতা দের দিকে ফিরে বললেন “অয়ন এর কাছে সব শুনলাম। ওকে আপাতত থানায় নিয়ে যাচ্ছি। তবে শানু কিন্তু বিজয় বসুর ভাইপো! ওর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির কেস করছো তোমরা। পরে পিছিয়ে আসবে না তো?”
“আসব না কাকু।“ বলল অনিন্দিতা!
– ঠিক আছে চল জিপে ওঠো। তোমাদের নামিয়ে দিই। পূজোর ওখানে যাবে তো?
– হ্যাঁ।
পথে জয় ফোন করেছিল রঞ্জনা কে। অনিন্দিতা বলল, “ফোন ধরে বল আমি নেই তোর সাথে। আমি শানুর কাছে!”
অয়ন বলল, “আরে ও তো টেনশন করবে!”
– আরে কতক্ষনই বা করবে এক্ষুনি তো পৌঁছে যাবো।
রঞ্জনা ফোন ধরে বলল, “হ্যাঁ বল!”
ও প্রান্ত থেকে জয় বলল, “অনিন্দিতা আছে তোর সাথে?”
রঞ্জনার হাসি পেয়ে গেল মিথ্যে বলে গিয়ে। অনেক কষ্টে আওয়াজটা চেপে গেল ও। জয় এর অধৈর্য গলা শোনা গেল আবার!
– থাকবার কথা ছিল। কিন্তু না। নেই। ও আমায় চলে আসতে বলল।
– চলে আসতে বলে মানে কী ও কোথায়?
– শানুর সাথে কথা বলছে।
আর কিছু বলল না জয়। কেটে দিল ফোনটা। অয়ন বলল, “দেখবি এটা নিয়ে একটা ঝামেলা হবে। কী দরকার ছিল বেচারা কে টেনশন দেওয়ার!”
অনিন্দিতা একবার পাশে ঘুমন্ত শানুর দিকে তাকিয়ে বলল, “আরে কিছু হবে না। সামলে নেবো আমি জয় কে!”
কথা বলতে বলতেই ওরা পৌঁছে গেল মন্ডপের কাছে। জীপ থেকে নেমে ওরা তিনজন এগোলো ক্লাবের দিকে। অনিন্দিতা দেখল জয় এর মা বাবা এসেছে। ওকেও দেখতে পেয়েছে ওঁরা। সবার মুখেই কম বেশী সিঁদুর লেগে আছে। এইমাত্র সিঁদুর খেলা হয়েছে বোধহয়!
রঞ্জনা এবার “আমি আসছি একটু” বলে এগিয়ে গেল অন্য দিকে। অনিন্দিতা দেখল ও যাচ্ছে রাজর্ষির কাছে। রাজর্ষি বসে আছে মণ্ডপের কাছে ওর দৌড়োদৌড়ি করা বারন। মৈনাক কে দেখতে পেয়ে এগিয়ে গেল কিন্তু জয় কোথায়? মন্ডপের কাছে তো নেই!
মৈনাক এর দিকে তাকাতেই। মৈনাক আঙুল দেখিয়ে ইঙ্গিত করল ক্লাবের ছাদের দিকে। একবার রঞ্জনার দিকে দেখল ও। রাজর্ষি আর ও, ওরা দুজনেই খুব হাসছে কিছু একটা নিয়ে। ছাদের সিঁড়ি দিয়ে উঠে দেখল জয় দাঁড়িয়ে আছে ছাদের একদম শেষ প্রান্তে।
“জয়” ডাকল অনিন্দিতা! তারপর ছাদে উঠে এগিয়ে গেল ওর দিকে।
জয় হঠাৎ ওর ডাক শুনে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরল অনিন্দিতা কে। অনিন্দিতা এটা একেবারেই আশা করেনি। ও একটু চমকে গিয়েছিল জয় এর এহেন আচরনে! হঠাৎই কয়েক ফোঁটা জল পড়ল অনিন্দিতার কাঁধে।
“এই তুই কাঁদছিস নাকি রে?” অনিন্দিতা জিজ্ঞেস করল অবাক হয়ে।
জয় উত্তর না দিয়ে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল ওকে। অনিন্দিতা আর কিছু বলল না। শুধু নিজেকে সমর্পন করে দিল জয় এর হাতের মধ্যে! আজ বিসর্জনের দিন এটা নতুন কিছুর বোধনের ইঙ্গিত কিনা কে জানে!

(শেষ)

বোধন – পর্ব ৯ [শেষ পর্ব]

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি