– ওগো শুনছো?
– না শুনে উপায় আছে?
– কিছু বললে?
– পাগল নাকি? বলবে শুধু তুমি। আর শুনবো আমি!
– হ্যাঁ সেটাই ভালো। বলছিলাম যে ফ্ল্যাটের ব্যাপারে কিছু খবর এলো?
– নাহ। আমার আর জিজ্ঞেস করা হয়নি। কেন?
– না মানে, আর ভালো লাগে না এই ঘুপছি মত ভাড়াবাড়িতে থাকতে।
– কী সমস্যা তোমার এখানে?
– অনেক সমস্যা তুমি বুঝবে না!
– বলোই না শুনি।
– আরে… রীনা দি দের শোবার ঘর আর আমাদের টা একদম পাশাপাশি। জানো তো?
– জানিনা আবার? তোমার রীনাদির চিৎকারে রাতে ঘুম হয় না মাঝে মাঝেই!
– দেখলে! কেন বলছি ফ্ল্যাট এর ব্যাপার টা দেখতে!
– হ্যাঁ। ঠিক আছে। এবার কথা না ঘুরিয়ে যেটা বলার সেটা বলো! রীনা দি কে নিয়ে কী হয়েছে?
– আসলে রীনা দি সেদিন আমায় বলছিল – “সুনন্দা, আমি কী খুব বেশি আওয়াজ করি রাত্রে?
– তুমি বলোনি হ্যাঁ?
– ধুর ওরকম বলা যায় নাকি? আমি বললাম, “না না সেরকম কিছু বোঝা যায় না।” তারপর উনি আমায় বললেন, “আচ্ছা, তোমার তো চিৎকার শোনা যায় না! তোমার বর এর কী… মানে.. ছোটো বা সমস্যা আছে কিছু?
– কী? এই কথাটা তোমায় জিজ্ঞেস করলো?
– হুম!
– তুমি কী বললে?
– কী আর বলবো?
– মানে? তুমি প্রতিবাদ করলে না?
– কি প্রতিবাদ করবো?
– মানে তুমি বলতে চাইছো আমার টা…?
– তোমারটা কী?
– বুঝতে পারছো না কি বলতে চাইছি?
– বুঝতে পারছি। কিন্তু ওভাবে কিছু বলা যায় নাকি?
– মানে? কেন বলা যায় না?
– কী ভাবতো বলতো!
– তাতে কী হত? এখন যে ভাবছে আমারটা ছোটো তার বেলা?
– রীনাদি তোমারটা ছোটো ভাবলো তো কী হল? আমি তো জানি তোমারটা কীরকম?
– থাক! যাও তো এখন। ভালো লাগছে না!
– আরে এরকম রেগে যাচ্ছো কেন?
– আরে ধুর! বিরক্ত কোরো না তো!
– দেখো একটা মানুষ এর মন কত বড় সেটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। একজন মানুষ কে তার বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে কখনো বিচার করতে নেই! তোমার বড় মন দেখেই তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম। বড় ইয়ে দেখে নয়। বুঝলে?
– (একটু চুপ করে থাকার পর) তোমার কথার কোনো মূল্য নেই আমার কাছে। তুমি রীনা দি কে গিয়ে বলো আমারটা ছোটো নয়!
– এরকম হয় না বাবু! খারাপ দেখায়!
– তাহলে চীৎকার করবে আজ?
– আরে ওসব চীৎকার টীৎকার সব ভুল ভাল। ওরকম পর্ণ এ দেখায়। সত্যি সত্যি কেউ চিৎকার করে না!
– ওই তো রীনাদি করে। তুমিও করবে!
– নাহ। আমি ওসব পারি না!
– Fine!! বেরোচ্ছি আমি একটু!
– ও কি? এই দুপুর রোদে কোথায় চললে?
– 50 Shades of Grey দেখেছো?
– না। কেন?
– দেখে নাও! রাতে কাজে লাগবে!
– এখন কোথায় বেরোচ্ছো?
– আপাতত কয়েকটা জিনিস লাগবে! কিনতে যাচ্ছি!
– কী জিনিস?
– হ্যান্ডকাফ তো লাগবেই একটা। বাকি আরও কয়েকটা জিনিস লাগবে। রীনাদি দের বলে দিও আজ কানে তুলো লাগিয়ে ঘুমোতে। নাহলে তোমার চিৎকার এ ঘুম হবেনা ওদের!
– 😀 

বিবাহ বিভ্রাট ৫

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি