– Busy?
– একটু। বল…
– পরে মেসেজ করবো কী?
– না না। বল না কী বলবি।
– বলছিলাম যে কলকাতায় একটা নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে। Rooftop Restaurant. 
– Wow. Thanks for the General Knowledge. যদিও জানিনা, কোন পরীক্ষায় কাজে লাগবে।
– তুই জানতিস না?
– হুম। পেপারে দেখলাম। আজকেই বেরিয়েছে বোধ হয়।
– যাবি?
– এই রে? যাবো কিনা সেটা তো ভাবিনি। যাবো হয়তো পরে কখনও।
– মানে… আমার সাথে যাবি?
– কেন? আমি কি বাচ্চা নাকি যে আমায় কারুর সাথে যেতে হবে?
– কেন কথা ঘোরাচ্ছিস?
– কেন কথা ঘোরাচ্ছি তুই জানিস না?
– ব্রেক আপ এর পর এক্স এর সাথে বেরোতে নেই নাকি?
– বেরোতে হয়তো আছে। কিন্তু সেই পুরোনো কথা আসবে… আবার কষ্ট… আবার ঝামেলা। কি দরকার এইসবে?
– আসবেনা। পুরোনো কথা আসবে না। Just যাবো, খাবো চলে আসবে। Just Like Old Times.
– এই দেখ আবার পুরোনো সময় এর কথা বলছি।
– আরে পুরোনো মানে যখন আমরা বন্ধু ছিলাম তখন কার কথা বলছি। তখনও তো আমরা বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার Taste করতাম।
– হুম। I still don’t think it’s a good idea.
– উফফ! এতও ভাবিস না। আর এমনিতেও আমি ২ জনের পাস পেয়েছি। একা একা গেলে নষ্ট হবে একটা।
– ও। তার মানে সেই জন্যে আমায় ডাকছিস? একটা pass নষ্ট হবে বলে?
– এই ভাই, তুই যাবি কিনা বল তো। এত ন্যাকামো দোচাস না।
– হুম। কীসের Pass এটা?
– আমি Zomato তে Guest Food Taster. সেই জন্যেই এই নতুন Restaurant এ গিয়ে খাবার পরীক্ষা করার দায়িত্ব আমার পড়েছে।
– Wow! তোর কী এরকম মাঝে মাঝেই থাকে? মানে বিভিন্ন Restaurant এ গিয়ে খাবার Taste করে Review দেওয়া?
– হ্যাঁ থাকে।
– তখন কাকে নিয়ে যাস তাহলে? গার্লফ্রেন্ড কে?
– তখন একটাই pass দেয়। কিন্তু এই নতুন রেস্টুরেন্ট টা Couples Only, সেই জন্যেই দু’জনের পাস দিয়েছে।
– তো গার্লফ্রেন্ড কে না নিয়ে আমাকে যেতে বলছিস কেন?
– ২ টো কারন আছে।
– কী কী?
– একটা হচ্ছে, আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই এই মুহুর্তে। একটা হয়েছিল কয়েকদিন আগে। Rebound টাইপ এর। কেটে গেছে।
– আর? আর একটা Reason?
– তুই আমাকে জেরা করছিস কেন বল তো তখন থেকে? যাবি কিনা বল নাহলে ছাড়!
– যাবো বললাম তো এরকম করছিস কেন? কারন টা বল…
– থাক না…
– না। বল।
– দেখ তুই বারন করলি কিন্তু পুরোনো কথা না বলতে।
– আচ্ছা then আমিই বলছি আবার বলতে। বল শুনি।
– কারন তোর আর আমার একসাথে বহুবার Rooftop রেস্টুরেন্ট এ খাওয়ার প্ল্যান হয়েছে। কিন্তু কখনই সেটা যাওয়া হয় নি সম্পর্কে থাকাকালীন। তাই ভাবলাম…
– আচ্ছা। বুঝলাম… কবে যাবি? কখন যাবি জানিয়ে দিস।
– আজকেই। ডিনারে।
– ওহ। কোথায় এটা?
– এটা তো নিউ টাউন এ।
– মার গেড়েছে!
– কী হল? আরে আমি অত রাতে ওখান থেকে ফিরবো কী করে?
– Ola বা Uber করে নিস।
– নাহ নাহ। অত রাতে Safe না।
– আচ্ছা তাহলে আমি বাড়ি দিয়ে আসব তোকে Ola তে করে।
– তারপর তুই বাড়ি ফিরবি? Impossible. কত রাত হবে ভাব তো!
– আরে কিছু হবে না। Please Cancel করিস না।
– দেখ। না Cancel করে উপায় নেই। নাহলে Lunch Plan কর।
– Rooftop এ লাঞ্চ? শালা খেতে যাচ্ছি নাকি সেদ্ধ হতে?
– তাহলে তো উপায় দেখছি না কোনো।
– দেখ উপায় একটা আছে। আমি সেটা বলতে চাইছিলাম না। তোর Awkward লাগবে ভেবে।
– জানি। তোর Flat এ থাকার কথা বলছিস তো? আমার মাথাতেও এসেছে ওটা। কিন্তু…
– দেখ খেয়ে আসার পর তো ঘুমোবো শুধু। তুই বিছানায় শুয়ে যাস, আমি মাটিতে শুয়ে যাবো চাদর পেতে। এমনিতেও আগে থেকেছিস তুই।
– তখন ব্যাপারটা আলাদা ছিল। তখন কাউকেই মাটিতে শুতে হত না।
– হুম। জানি। দেখ বোন এলে এমনিতেও আমায় মাটিতে শুতে হয়। আমার অসুবিধে হবে না।
– Sure?
– হ্যাঁ রে। কোনো চাপ নেই।
– আচ্ছা তাই হবে। খাওয়া টা মিস করতে ইচ্ছে করছে না। তাও আবার Rooftop এ।
– হ্যাঁ। ওহ by the way, তোর বয়ফ্রেন্ড রাগ করবে না তো?
– তুই কি জানিস এই Trick টা পুরোনো হয়ে গেছে।
– কি Trick?
– এই যে বয়ফ্রেন্ড এর কথা জিজ্ঞেস করে ঘুরিয়ে জানতে চাওয়া বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা।
– তাই? পুরোনো হয়ে গেছে?
– Yup.
– তা… আছে?
– ডিনার এ হবে ওসব কথা।
– এক্ষুনি না বলে দিলে খাবার টা ভালো হজম হত।
– It’s complicated.
– আচ্ছা তাই সই।
– ঠিক আছে। কখন বেরোবি জানাস।
– হ্যাঁ। একদম। লাস্ট একটা কথা…
– আবার কী?
– বলছিলাম যে মাটিতে শুতে আমার একদমই চাপ নেই। কিন্তু… মানে… বিছানায় ঘুমোনোর কি চান্স রয়েছে আমার কোনো?
– নাহ। নেই।
– Sure?
– Confident.
– কত পার্সেন্ট?
– 99.99%
– যাক একটু আশা আছে তাহলে।
– হ্যাঁ ওইটুকুই।
– মেসি এই চান্স থেকেও গোল করে দেয় শুনেছি।
– দেখা যাক, তুই পারিস কিনা।
– Challenge Accepted.

তবু মনে রেখো ৬

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি