– শোন না…

– কী?

– কাছে আয়।

– আচ্ছা।

– তুই আমায় কতটা ভালোবাসিস?

– অনেক টা।

– তবু কত টা হাতে করে দেখা।

– ধুর! হাতে করে কি দেখানো যায় নাকি?

– তবুও। দেখা না।

– এই অ্যাত্তটা!

– বাবাহ! থাক। যখন নিজের বৌ হবে তখন তো তাকেই বেশী ভালোবাসবি।

– বৌ কেন হবে? আমি তো তোকেই বিয়ে করব!

– ধুর অসভ্য! তা আবার হয় নাকি?

– কেন হয় না?

– এমনি হয় না!

– সে যাই হোক, আমি তোকেই বেশী ভালোবাসবো!

– বিয়ের পর এই কথাটা মনে থাকবে?

– হ্যাঁ থাকবে।

– দেখা যাক।

– আচ্ছা বাবা কী তোর চেয়ে দিদা কে বেশী ভালোবাসে?

– কেন বলতো?

– না মানে… বাবার বৌ তো তুই… তাহলে বাবা কাকে বেশী ভালোবাসে!

– (হেসে) কী জানি। সেটা তো বাবাই বলতে পারবে।

– চল না তাহলে বাবা কে জিজ্ঞেস করি।

– এখন?

– হ্যাঁ। চল না। বাবাকে দেখিনি অনেকক্ষন।

– আচ্ছা চল।

[একটু পরে]

– নে এবার জিজ্ঞেস কর তোর বাবাকে?

– আমার না সব গুলিয়ে যায়!

– কেন রে? গুলিয়ে যায় কেন?

– আসলে সবাই তো এক রকম দেখতে। কোনটা বাবা আর কোন টা বাবা নয় বুঝতে পারি না।

– ওই যে দেখ। জ্বলজ্বল করছে তারাটা। ডান দিকে কোনের দিকে। ওটা তোর বাবা। এবার জিজ্ঞেস কর।

– আচ্ছা। এই বাবা, তুই মাকে বেশী ভালোবাসিস না দিদা কে?

– ঐ বাবা! বল না। তুই কাকে বেশী ভালোবাসিস?

– …

– কিছুই তো বলছে না রে মা।

– বলছে না তার কারন আছে তো!

– কী কারন?

– তোকে কতবার বলেছি না বড়দের তুই বলতে নেই! তুই বললে কেউ কথা বলবে না তোর সাথে!

– আচ্ছা আর বলবো না। কিন্তু বাবা তো কিছু বললো না!

– বললো তো।

– কই শুনতে পেলাম না তো!

– তোকে বলেনি কারন ‘তুই-তোকারি’ করে কথা বলছিলি তুই। আমার কানে কানে বলে গেল!

– কী বললো? বাবা কাকে বেশী ভালোবাসে?

– বললো তোকে বেশী ভালোবাসে!

– ধুর! মোটেই না।

– আরে সত্যি রে! আমাকে বললো!

– যদি সত্যি ভালোবাসে আমাকে, তাহলে অতদূরে চলে গেছে কেন? এখানে আসতে বল! আমার কাছে!

খেলা ৩

Arnab Mondal


হিজিবিজি লেখা আর বিরিয়ানি নিয়ে Phd করছি আর আকাশবাণী কলকাতায় নিজের কন্ঠস্বর ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


Post navigation


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করবেন না দাদা/দিদি